বিশ্ব অর্থনৈতিক ঐতিহ্যের সাথে ফিরিঙ্গীবাজার ওতপ্রোত ভাবে জড়িত-আবদুচ ছালাম
ফিরিঙ্গীবাজারস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে গতকাল শনিবার সকালে কোতোয়ালী থানাধীন ৩৩ নং ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ডে ঈদ বস্ত্র বিতরণ করেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও মাবিয়া রশিদিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। ফাউন্ডেশনের নিজস্ব তহবিল হতে এ ঈদবস্ত্র বিতরণকালে তিনি বলেন, আমার আর ব্যাক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই। গণমানুষের সেবা ও জীবমানের উন্নয়নই আমার একমাত্র লক্ষ্য। এ মহান পবিত্র ব্রত নিয়েই আমি কাজ করে যাচ্ছি। চরম দৈন্যতা নিয়ে শুরু করা জীবনে আল্লাহর রহমতে অনেক সম্মান ও অনেক গৌরব এবং স্বচ্ছলতা পেয়েছি। প্রত্যেক স্বচ্ছল ব্যাক্তিকে তুলনামূলক কম স্বচ্ছল মানুষের পাশে থেকে সাম্যতার সমাজ প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নবীজি নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি যাকাত নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা দিয়েছেন। ঠিক করে দিয়েছেন, কারা যাকাতের প্রাপ্তির অধিকারী। তাই একে কারো দয়া বা করুনা হিসেবে মনে করার কোন কারণ নেই। যাকাত হল নির্ধারিত অধিকার বা হক। এই হক আদায় করা মুসলমান হিসেবে আমাদের পবিত্র কর্তব্য।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ব ঐতিহ্যের একটি অন্যতম অঙ্গ। আর চট্টগ্রাম তথা বিশ্ব অর্থনৈতিক ঐতিহ্যের সাথে ফিরিঙ্গীবাজার ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। নৌ ও সড়ক পথের অপার সুবিধার কারনে এখানে গড়ে ওঠে দেশের অন্যতম বৃহৎ ফলের আড়ত ও চেড়া কাঠের বাজার। দক্ষিন চট্টগ্রামের সাথে নগরীর মেলবন্ধন ছিল ফিরিঙ্গীবাজার । চট্টগ্রামের উন্নয়নের সুযোগ পাওয়া মাত্রই সংকীর্ণ রাস্তাঘাট, অপরিকল্পিত উন্নয়ন, যানবাহন ও জনসংখ্যার চাপে নাকাল হয়ে ওঠা ফিরিঙ্গীবাজার এলাকার উন্নয়নের আওতায় নিয়ে আসি। কোতোয়ালী হতে ফিরিঙ্গীবাজার রোড সম্প্রসারনের সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। রাস্তার উপর গড়ে ওঠা স্থাপনা অপসারনকে অনেকেই অসম্ভব বলেছিলেন। এলাকাবাসীর সহায়তায় অসম্ভবকে করেছি সম্ভব। ফিরিঙ্গীবাজার এর ব্যাবসা বাণিজ্য আবারো প্রাণ ফিরে পেয়েছে। অধিবাসীরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারছে। কেবল এ ওয়ার্ড নয়, পাশ্ববর্তী ওয়ার্ডসহ দক্ষিন চট্টগ্রামের মানুষের যাতায়াত নির্বির্ঘন করতে এ সড়কটি অসামান্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। এলাকাবাসীর সমর্থন ও সুযোগ পেলে ফিরিঙ্গীবাজারের পরিকল্পিত উন্নয়নে তার গৌরব ও ঐতিহ্যের প্রতি সুবিচার করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিডিএ বোর্ড সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লবের সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুদ্দিন আহমদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন শাহাদাত হোসেন, নাছির আহমেদ, হাজী ইমরান কাদের, হাজী জাফর আহমদ, হাজী মোকতার সওদাগর, হাজী ফয়েজ আহমেদ, মাসুদ আহমেদ, সঞ্জয় সিকদার দয়াল, মহানগর যুবলীগ নেতা তানভীর আহমেদ রিংকু, জাহাঙ্গীর আলম, তাজউদ্দিন রিজভী, কামরুল হক, এনামুল হক, আবদুল মতিন, হুমায়ুন মোরশেদ শাকিল, হাসান শাহরিয়ার, মো. পারভেজ, আবদুল আজিম, নিয়াজ মোরশেদ, সামিউল হাসান রুমন, ছাত্রনেতা সাফাত বিন আমিন, অনিন্দ্য দেব প্রমুখ। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন সাবেক ছাত্রনেতা হাসান শাহরিয়ার।