নগরীর করোনা প্রতিরোধের নির্দেশনা মানছে না ইপিজেড অঞ্চলের শ্রমিক
নজরুল ইসলাম চৌধুরী
গত কাল চটগ্রমে দামপাড়ায় প্রথম একজনকে করোনা সনাক্ত ও ৬টি বিল্ডিং লক ডাউন করার পর থেকে এ অঞ্চলের জনসাধারণের মাঝে উদগ্রীব ও আতংক বেড়ে গেছে। কখন কি হয় এই চিন্তায় দিন কাঠাচ্ছে শ্রমিকেরা ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার দিক নির্দেশনা প্রশাসন কঠোরভাবে এলাকার ঘুরে ঘুরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রতিনিয়ত বার্তা দিয়ে যাচ্ছে জনসাধারণকে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন গুলো করোনা ভাইরাস সম্পর্কে গনসচেতনা এবং বিনা প্রয়োজনে অযথা বাইরে ঘুরাফেরা না করার জন্য অনুরোধ করে গেলেও তা মানছেন না নগরীর অধিকাংশ জনসাধারণ।
অলি গলিতে খোলা রয়েছে নানান রকমের দোকানে রয়েছে নানান বয়সের দলবদ্ধ আড্ডা। প্রশাসন এসে দোকান বন্ধ করে জনসারণকে ঘরে ঢুকিয়ে গেলেও চলে যাবার পর “যেই লাউ সেই কদু ” নগরীরতে লোক সমাগন একটু বেশি পরিলক্ষিত হয় ইপিজেড থানা এলাকায়।ইপিজেড থাানার অধীনে গুরুত্বপূর্ণ ২টি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল সিইপিজেড ও কর্ণফুলী ইপিজেড থাকার কারণে এই এলাকায় প্রায় চার হতে পাঁচ লক্ষের অধিক সাধারন লোক ও শ্রমিকের বসবাস। তাই করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বুঝাতে প্রশাসনের অন্যন্যা সংস্থা ও থানা পুলিশকে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। কোনভাবেই লোকজনকে ঘরে ঢুকানো যাচ্ছে না। তাই অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে গণ অধ্যুষিত এই এলাকাটি। সচেতন মহলের দাবি কোবিড -১৯ প্রতিরোধে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাশাপাশি এই এলাকার সার্বক্ষনিক ভ্রাম্যমান আদালতের টহলও প্রয়োজন। তা না হলে করোনা প্রতিরোধে কার্যকরী সুফল বয়ে আসবেনা।