১ মে ২০২৪ / ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১০:০৪/ বুধবার
মে ১, ২০২৪ ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে উপজেলা চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত

     

 

সাইফুর রহমান শামীম
বয়স্কভাতা ও বিধবাভাতার নাম ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসীকে লাঞ্ছিত ও সমাজসেবার ইউনিয়ন সমাজকর্মী আব্দুল্লাহ হেল কাফিকে মারধর ও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটায় উপজেলা আ’লীগের কয়েকজন নেতা। পরে পুলিশী হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ ব্যাপারে কোন পক্ষই মামলা করেনি।
স্থানীয় আ’লীগের কয়েজন নেতা জানান, বৃহস্পতিবার সমাজসেবা’র বিধবাভাতা ও বয়স্কভাতা নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের কক্ষে একটি মিটিং ছিল। ওই মিটিংয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ইউপি চেয়ারম্যানদের দেয়া নামের তালিকা কাটছাট করতে চাইলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি রাজু আহমেদ খোকা ইউনিয়ন সমাজকর্মী আব্দুল্লাহ হেল কাফিকে চরথাপ্পর মারেন। সেই সাথে উপজেলা চেয়ারম্যানকেও লাঞ্ছিত করেন।
এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় আ’লীগ সভাপতি ও সাবেক এমপি জাকির হোসেন, আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিনু, জেলা পরিষদ সদস্য জাইদুল ইসলাম মিনু, যুগ্ম সম্পাদক আবিদ শাহ নেওয়াজ তুহিন, আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি হারুনর রশিদ হারুন, দুই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, ৬ ইউপি চেয়ারম্যানসহ অনেকে।
তারা আরও বলেন, মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- তার একার সিদ্ধান্তে বাস্তবায়ন করেন। ফলে কিছু দিন আগে তার বিরুদ্ধে সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল।
উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী বলেন, তারা আ’লীগের নেতা বলেই কি তাদের অন্যায় আবদারগুলো আমাকে মেনে নিতে হবে? আমিও আওয়ামীগ করি। তারা সব সময় ভাগবাটোয়ার দিক থেকে একটু বেশি চান অনেক সময় তাই করা হয়। তাকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার অফিসে ঢুকে আমাকে এভাবে লাঞ্ছিত করার অধিকার জনগণ তাদের দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে মামলা করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু উপজেলা চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত করার কথা অস্বীকার করে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সবসময়ই বাড়াবাড়ি করে চলেন। তার সিদ্ধান্তটাই যেন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এটা ঠিক নয়। তিনিও জনপ্রতিনিধি আমরাও যে জনপ্রতিনিধি তা তিনি বারবার ভুলে যান।
বিষয়টি নিয়ে সাবেক এমপি ও আ’লীগ সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, তাদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল পরে আমি সেটা মীমাংসা করে দিয়েছি।
রৌমারী থানার ওসি এবিএম সাজেদুল ইসলাম বলেন, তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল এটা ঠিক কিন্তু কোন পক্ষই আমাকে অভিযোগ করেনি তাছাড়া বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে তাই আমরা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছি না।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply