২ মে ২০২৪ / ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৬:০৫/ বৃহস্পতিবার
মে ২, ২০২৪ ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে নিখোঁজ যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার এলাকায় তোলপাড়

     

মুহাম্মদ আতিকুর রহমান
গাজীপুরের কালীগঞ্জে নিখোঁজের প্রায় ৬ মাস পর বন্ধুর বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে এক যুবকের বস্তাবন্দি কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। কঙ্কাল ছাড়াও একটি টি-শার্ট এবং একটি প্যান্ট উদ্ধার করা হয়।

নিহত যুবকের নাম সাখাওয়াত হোসেন (২৯)। তিনি উপজেলার বাহাদুরসাদী গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে এবং মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনের কাজ করতেন।

আজ ১৫ মে সোমবার সকালে সাখাওয়াতের লাশ উদ্ধারের পর জামাকাপড় দেখে পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করে।

অভিযুক্ত ওই বন্ধুর নাম হুমায়ুন। উপজেলার দক্ষিণবাগ এলাকার আলী আফসার ভাড়ারির ছেলে তিনি।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত হুমায়ুনের মা, বাবা, মামা, মামীকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংঙ্কজ দত্ত জানান, গোপন সংবাদে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হুমায়ুনের বাড়ির পূর্ব পাশে তার চাচা মোশাররফ ভাড়ারির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে বস্তাবন্দি গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

পরে তার পরিবারের লোকজন নিহতের জামাকাপড় দেখে সাখাওয়াতকে শনাক্ত করেন।

স্থানীয়রা জানায়, সাখাওয়াত নিখোঁজের তিন দিন পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বন্ধু হুমায়ুনকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছিল। পরে থানা থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

নিহতের মামা বাদল মিয়া জানান, গত বছরের ১৬ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সাখাওয়াত হোসেন। পরদিন স্থানীয় জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের গাধাইয়া গ্রাম থেকে সাখাওয়াতের মোটর সাইকেলটি পাওয়া যায়। নিখোঁজের পর থেকে তার ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

নিখোঁজের পর ১৮ নভেম্বর সাখাওয়াতের স্ত্রী আয়েশা আক্তার (২৪) বাদী হয়ে সাখাওয়াতের বন্ধু স্থানীয় হুমায়ন, কাইয়ুম এবং নাজমুলসহ কয়েকজনের নামোল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ (নং ৫৯৬) ডায়েরী করেন। এরপর তখন পুলিশ হুমায়ুনসহ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়েও দেয়। সাখাওয়াত হোসেন জামালপুর-বাহাদুরসাদী রুটে মোটর সাইকেলে করে যাত্রী বহন করতো। সাখাওয়াতের স্ত্রী ছাড়াও লামিয়া (৪) নামের একমাত্র মেয়ে রয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আলম চাঁদ জানান, সাখায়াত হোসেন ও হুমায়ুন দুই বন্ধু ছিল। তারাসহ কয়েকজন এলাকা মাদক ব্যবসা করতো। মাদক ব্যবসার বিরোধীতার জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা ওই পুলিশ কর্মকর্তার। হুমায়ুন পলাতক থাকলেও পুলিশ তার মা-বাবা এবং মামা-মামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ধরে নেয়া হয়েছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply