লালদীঘি জব্বারের বৈশাখী বলি খেলায় কুমিল্লার শাহজালাল চ্যাম্পিয়ন
চট্টগ্রামের লালদীঘি জব্বারের বৈশাখী বলি খেলায় কুমিল্লার শাহজালাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। গতবারের প্রতিযোগি চকরিয়ার শহিদুল ইসলাম জীবনকে পয়েণ্টে হারিয়ে কুমিল্লার শাহজালাল এই গৌরব অর্জন করেন।
বিকেল সোয়া চারটায় বেলুন উড়িয়ে বলীখেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।বিশেষ অতিথি ছিলেন গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার অ্যান্ড ডেপুটি সিইও ইয়াসির আজমান।
এবার বলীখেলায় চ্যাম্পিয়নকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ট্রফি এবং রানারআপকে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ট্রফি দেওয়া হয়। অন্য বলীদের নগদ ১ হাজার টাকা ও একটি করে ট্রফি দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানে আবদুল মালেক কমিশনার রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন।এই খেলায় স্হানীয় কমিশনার ইসমাইল বালি, জহরলাল হাজারী ও হাসান মুরাদ বিপ্লব সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন।প্রধান অতিথি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ঢাকা থেকে অনলাইনে বক্তব্য দেন।প্যনেল মেয়র হাসান মাহমুদ হাসনী বিশেষ অতিথি ছিলেন।পুলিশের ডিসি আমেনা বেগম চট্টগ্রামের বক্তব্য দেন।
রানার্সআপ হয়েছেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন চকরিয়ার জীবন বলি। সিরাজগঞ্জের মো. শফিকুল ইসলাম ও মহেশখালীর সিরাজুল মোস্তফার মধ্যে লড়াইয়ের মাধ্যমে শুরু হলো ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলার এবারের আসর।
জব্বারের বলী খেলায় প্রথম রাউন্ডে ৬২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। চ্যালেঞ্জিং রাউন্ডে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়েছিলেন জীবন, কাঞ্চন, বজল, মো. হোসেন, কালাম, সাহাবউদ্দিন, কালু এবং শাহজালাল।
প্রসঙ্গত,১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে এ প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। তার মৃত্যুর পর এ প্রতিযোগিতা জব্বারের বলীখেলা নামে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে।
প্রতি বছর ১২ বৈশাখ নগরের লালদীঘি মাঠে এ বলীখেলা অনুষ্ঠিত হয়।