নুসরাত হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মুকছুদসহ গ্রেফতার ২
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির শ্লীলতাহানি ও পুড়িয়ে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমকে ঢাকা থেকে এবং তার সহযোগী মো. জাবেদকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মনিরুজ্জামান। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, আটক দুই জনকে ফেনীতে আনা হচ্ছে এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির ঘটনাকে নাটক বানাতে চেয়েছিলেন ওসি
উল্লেখ্য, ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। তার বান্ধবী নিশাতকে মাদ্রাসার ছাদে মারধর করা হচ্ছে বলে একজন এসে তাকে জানায়। এমন সংবাদে তিনি ছাদে যান। সেখানে বোরকা পরা চারজন তাকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে করা যৌন নিপীড়নের মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। এসময় নুসরাত বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ব। এরপর তার হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অধ্যক্ষের অনুসারীরা।
১০৮ ঘণ্টা আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় মারা যান অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা নুসরাত। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুর আগে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। আর এই মামলায় আসামিদের আইনি সহায়তা দেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা বুলবুল।
এর আগে গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজউদদৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা করেন মেয়েটির মা। আর এ মামলা প্রত্যাহারের চাপ দেওয়া হচ্ছিল। সবটুকু খবর পড়তে ক্লীক করুন