৬ মে ২০২৪ / ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ভোর ৫:০৭/ সোমবার
মে ৬, ২০২৪ ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ

মিমি-নুসরতকে মাঠে নামিয়ে বড় চমক মমতার, বাদ সন্ধ্যা-তাপস, কমল তারকার সংখ্যাও

     

লোকসভার প্রার্থী তালিকায় কমবে তারকা, বাড়বে রাজনৈতিক মুখের সংখ্যা— তৃণমূল সূত্রে ইঙ্গিত মিলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। সে পূর্বাভাস খানিকটা মিলল। তৃণমূলের যে প্রার্থী তালিকা মঙ্গলবার ঘোষিত হল, তা থেকে স্পষ্ট যে, অন্তত দুই তারকা সাংসদের উপরে এ বার আর ভরসা রাখেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক তারকাকে জেতা আসন থেকে পাঠিয়ে দিয়েছেন হারা কেন্দ্রে। তবে তারকা-তালিকায় সবচেয়ে বড় চমক মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহান।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বসিরহাটের বিদায়ী সাংসদ ইদ্রিস আলিকে টিকিট দেওয়া হয়নি। বসিরহাট মূলত গ্রামীণ এলাকা। সংখ্যালঘু প্রধানও। গ্রামীণ এলাকায় সেলিব্রিটি প্রার্থীদের ঘিরে উন্মাদনা তৈরি হয় অপেক্ষাকৃত বেশি। তার পাশাপাশি নুসরত সংখ্যালঘু মুখও। ফলে বসিরহাটে নুসরতের আশু সাফল্য নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।

তবে নুসরত জাহানের চেয়েও বড় চমক মিমি চক্রবর্তী। নুসরত যে প্রার্থী হতে পারেন, সে জল্পনা রাজ্যের রাজনৈতিক শিবিরে বেশ কিছু দিন ধরেই চলছিল। কিন্তু মিমি চক্রবর্তীর নাম সে ভাবে আলোচনায় আসেনি। যাদবপুরের মতো আসনে সেই মিমিকে প্রার্থী করে বেশ চমকে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভারতে সাধারণ নির্বাচনের ইতিহাস সম্পর্কে এই  তথ্যগুলি জানেন?

যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের গুরুত্ব ঐতিহাসিক ভাবেই বেশি তৃণমূলের কাছে। ১৯৮৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম বার সাংসদ হয়েছিলেন এই যাদবপুর থেকেই। তখন অবশ্য তিনি কংগ্রেসে। কিন্তু তৃণমূল তৈরি হওয়ার পরে প্রথম লোকসভা নির্বাচনে অর্থাৎ ১৯৯৮ সালেই যাদবপুর তৃণমূলের কৃষ্ণা বসুর দখলে গিয়েছিল। ১৯৯৯ সালেও তাই। ২০০৪ সালে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীর কাছে হারেন কৃষ্ণা। তবে ২০০৯ সালে ফের তৃণমূলের কবীর সুমন এবং ২০১৪ সালে তৃণমূলেরই সুগত বসু যাদবপুর থেকে জিতে সংসদে গিয়েছেন। মিমির মতো তরুণ এবং প্রায় সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক কোনও মুখ সেই যাদবপুরে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন, এমনটা অনেকেই ভাবতে পারেননি।

মেদিনীপুরের সাংসদ সন্ধ্যা রায় এবং কৃষ্ণনগরের সাংসদ তাপস পাল যে বাদ পড়বেন, সে জল্পনা আগে থেকেই ছিল। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে সন্ধ্যা রায়কে পাশে নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে, তাঁকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না এবং দল তাঁকে অন্য রকম কাজে লাগাবে। আর তাপস পাল শারীরিক কারণে টিকিট পেলেন না বলে তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: ৮ সাংসদ বাদ, মমতার প্রার্থীতালিকায় এ বারও বেশ কিছু চমক​

মুনমুন সেনের উপরে কি ভরসা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এ প্রশ্ন নিয়ে নানা মত তৃণমূলের অন্দরেই। বাঁকুড়ার বিদায়ী সাংসদ মুনমুন সেন এ বার আর টিকিট পাচ্ছেন না বলে জল্পনা বেশ কিছু দিন ধরেই ছিল। নিজের কেন্দ্রে গত পাঁচ বছরে মুনমুন সেন ঠিক কতটা সময় দিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে কোনও কোনও মহলের। শেষ পর্যন্ত বাঁকুড়ায় তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হল রাজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম। তবে মুনমুন প্রার্থী তালিকা থেকে বাদও পড়লেন না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে টক্কর নেওয়ার জন্য মুনমুনকে পাঠিয়ে দেওয়া হল আসানসোলে।

আরও পড়ুন: এ বারের লড়াই স্বাধীনতা সংগ্রামের চেয়ে কম নয়, বললেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী​

ঘাটাল, হাওড়া, বীরভূম এবং বালুরঘাট কেন্দ্রের সেলিব্রিটি সাংসদরা অবশ্য নেত্রীর আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন। ঘাটালে দেব, হাওড়ায় প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূমে শতাব্দী রায় এবং বালুরঘাটে অর্পিতা ঘোষ এ বারও টিকিট পেলেন।সবটুকু খবর পড়তে ক্লীক করুন

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply