২৮ এপ্রিল ২০২৪ / ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৬:৩৯/ রবিবার
এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারা-বাখরাবাদ এলএনজি সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ধীরগতি

     

চট্টগ্রাম থেকে বাইরে এলএনজি সরবরাহের জন্য সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজে ধীরগতি চলছে। সীতাকুণ্ড অংশের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ঝুলে রয়েছে। কর্ণফুলি নদীর তলদেশে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ এখনো শেষ হয়নি। ফলে চট্টগ্রামের বাইরে এলএনজি সরবরাহ বিলম্ব হচ্ছে। প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, এই সঞ্চালন লাইন দিয়ে দৈনিক এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। বিরাজমান সমস্যা দ্রুত নিরসনের কাজ চলছে। আগামী জুনের মধ্যে ২১০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শেষ হবে।
জানা যায়, মহেষখালী থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ৯১ কিলোমিটার দীর্ঘ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এই পাইপ লাইনের মাধ্যমে এখন চট্টগ্রামে এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলে এলএনজি সরবরাহের জন্য আনোয়ারা থেকে কুমিল্লা বাখরাবাদ পর্যন্ত ২১০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপ লাইন নির্মাণের জন্য পৃথক দুটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
আনোয়ারা থেকে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের একটি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। এই পাইপ লাইন নির্মাণে ধীরগতির কারণে চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত এলএনজি সরবরাহ দেওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে কর্ণফুলির তলদেশে পূর্বে নির্মিত লাইনের মাধ্যমে দৈনিক ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, আনোয়ারা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনের মধ্যে সমতল এলাকায় পাইপ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। তবে কর্ণফুলি নদীর তলদেশে ১২শ মিটার পাইপ লাইন নির্মাণ এখনো শেষ হয়নি। ৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ লাইন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা। প্রকল্প পরিচালক সুশীল কুমার সরকার জানান, দ্রুত কাজ চলছে। চলতি অক্টোবরের মধ্যে প্রকল্পের বাকি অংশের কাজ শেষ হবে।এদিকে ফৌজদারহাট থেকে কুমিল্লার বাখরাবাদ পর্যন্ত প্রায় ১৮১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৩৬ ইঞ্চি ব্যাসের আরেকটি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত রয়েছে। জানা যায়, প্রকল্পের সীতাকুণ্ড অংশের প্রায় ৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ঝুলে রয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এখনো অনুমোদন হয়নি। প্রকল্প সূত্র জানায়, ভূমি অধিগ্রহণে নতুন নীতিমালায় মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে প্রকল্প ব্যয় ১ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা ধরা হলেও ব্যয় আরো প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা বাড়তে পারে।
প্রকল্প পরিচালক আইনুর কবির ইত্তেফাককে বলেন, এখনো প্রকল্পের সীতাকুণ্ড অংশের ভূমি অধিগ্রহণের অনুমোদন মিলেনি। প্রকল্পের কাজ দ্রুত করতে ৮টি ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের পাইপ ছাড়া অন্যান্য মালামাল চলে এসেছে। পাইপও কিছু দিনের মধ্যে চলে আসবে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply