২৮ এপ্রিল ২০২৪ / ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ২:৩৬/ রবিবার
এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ২:৩৬ পূর্বাহ্ণ

টিএন্ডটিঃ রাজস্ব অফিসের সাইনবোর্ড আছে কিন্ত অফিসই চালু হয়নি

     

চট্টগ্রামে টিএন্ডটি গ্রাহকেরা হয়রানি ও বিল প্রদানে চরম ভোগন্তির কবলে পড়ছে। শুধুমাত্র একটি রাজস্ব অফিসে  গোটা চট্টগ্রাম ৪টি সংসদীয় আসনের  লোকজন বিল সংক্রান্ত বিষয়ে যোগাযোগ করে থাকে। মাত্র ২০০ থেকে ১০০০ টাকার বকেয়া বিল দিতে ২০০ টাকা ৩০০টা পর্যন্ত গাড়ী ভাড়া দিতে হয়। কালুরঘাট ও অক্সিজেন থেকে গ্রাহকেরা আগ্রাবাদ আসতে  ও  যেতে গোটা দিন চলে যায় । ফলে বিল প্রদানের এই যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে অনেকে নতুন সংযোগ নিতে কিংবা বিচ্ছিন্ন সংযোগ পুনঃ চালু করতে আগ্রহ হারাচ্ছে দিন দিন। ফলে রাজস্ব আয় যেমন কমছে তেমনি সংস্হাটি দিনদিন সুনাম ও ঐতিহ্য হারিয়ে মূখ থুবড়ে পড়ছে । আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, একটি চক্র টিএণ্ডটিতে আখের গোছাতে থাকলেও সরকারের সুনাম, গ্রাহকসেবা ও সংস্হার ঊন্নয়নের ব্যাপারে বরাবরই উদাসীন।

নন্দনকানন টেলিগ্রাফ অফিসটি মূখথুবড়ে পড়ে আছে। অফিসের গেইটে রাজস্ব অফিসের নামে সাইনবোর্ড থাকলেও অফিসটি  বন্ধ রয়েছে  দিন দুপুরেই। অথচ এই অফিস চালু হলে কোতোয়ালী বাকলিয়া থানার বিশাল জনগোষ্টি এখানে বিল সংক্রান্ত কাজ সারতে পারতেন। তেমনিভাবে মুরাদপুরে শাখা অফিস হলে পাঁচলাইশ, বায়োজি্‌দ,চান্দগাঁও ও কালুরঘাট এলাকার বিপুল জনসাধারণ উপকৃত হতো। খবর নিয়ে জানা গেছে,নন্দনকানন ও মুরাদপুর এলাকায় বিশাল পরিসরে জায়গা ও ভবন রয়েছে। বিশালাকার ভবন অকেজো পড়ে আছে আগ্রাবাদে। ভবনটি সংষ্কার করে আইটি সংশ্লিষ্ট অফিস করে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা যায় সহজে। ঘাপটে মেরে থাকা চক্রটিকে কর্মমূখী করা গেলে টিএন্ডটির সুনাম ফিরিয়ে গ্রাহক সেবা বৃদ্ধি করে রাজস্বও বৃদ্ধি করা যায়। শুধুমাত্র ১০ কোটি টাকার অধিক অনাদায়ী বকেয়া পড়ে আছে চট্টগ্রামে। নন্দনকানন ও মুরাদপুরে দুটো রাজস্ব খুলে দিলেই গ্রাহকেরা বিল বিড়ম্বনা থেকে বাচঁবে।অনেক গ্রাহক বকেয়া দিয়ে পুনঃ সংযোগও নেবে। এই বিষয়ে কথা বললে জিএম প্রবাল কুমার শীল বলেন, আমি এখন অফিসের বাইরে ও বিষয়টি আমার নয় রাজস্ব অফিসের। রাজস্ব অফিসের নাম্বার মেসেজ করছি বলে লাইন কেটে দেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply