২ মে ২০২৪ / ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৯:০৮/ বৃহস্পতিবার
মে ২, ২০২৪ ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ

কোটা সংস্কারের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের রুখে দাঁড়ান

     

কোটা সংস্কারের নামে দেশব্যাপী নৈরাজ্য ও তাণ্ডব সৃষ্টিকারীদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদ। কোটা সংস্কারের নামে সম্প্রতি স্বাধীনতা বিরোধী চক্র সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে যে নৈরাজ্য ও তাণ্ডব চালাচ্ছে তা সুপরিকল্পিত। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, দেশব্যাপী নৈরাজ্য ও তা-বের প্রতিবাদে আজ ৯ এপ্রিল সোমবার বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর শাখা কর্তৃক আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ সংগঠনের জেলা কমিটির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মশিউজ্জামান সিদ্দিকী পাভেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর শাখার যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান সজিব ও জেলা’র সদস্য সচিব কামরুল হুদা পাভেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোজাফ্ফর আহমদ আরো বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিঃস্বার্থভাবে নিজেদের জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে দেশ স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আহবানে। মুক্তিযোদ্ধারা রক্ত দিয়ে বিশ্বমানচিত্রে লাল সবুজের পতাকা প্রতিষ্ঠা করেছিল। তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আন্দোলনকারীরা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাবমূর্তি ক্ষুর্ণ করছে। তিনি কোটা নিয়ে ষড়যন্ত্র কারীদের প্রতিহত করার আহবান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ মাহমুদ বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষার্থে এবং সর্বস্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করনের জন্য বিশ্ব নেত্রী বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতী-নাতনীদের জন্য মুক্তিযোদ্ধার সংরক্ষিত কোটা বহাল রাখেন। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর ২০১৮ সালে এসে স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহল কোটা সংস্কারের নামে ষড়যন্ত্র করেছে। বক্তারা মুখোশ পরিহিত আন্দোলনকারীদের পরিচয় নিশ্চিত করার আহবান জানান। যারা কোটার বিরোধীতা করেন তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে মানে লাল-সবুজের পতাকা যারা এনেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা শুধু লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেই যাতে চাকরী পায় সে দাবী জানাই।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, অধ্যক্ষ ফজলুল হক, মুক্তিযোদ্ধার সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, সংগঠনের মহানগর শাখার যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ মুরাদ সাকু, সদস্য মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, আশরাফুল হক চৌধুরী, মেজবাহ উদ্দিন আজাদ, সৈকত চক্রবর্তী, পুলক বড়–য়া, মোশারফ হোসেন, শেখ ফরিদ মিটু, ফয়সাল জামিন চৌধুরী শাকি, রিপন চৌধুরী, জোনায়েদ আহমেদ, বিবি গুল জান্নাত, ফিরোজ আহমদ, মাঈন উদ্দিন রিপন, মোহাম্মদ জহির, সৈয়দ ওমর, ওয়াসিফুল হক চৌধুরী কৌশিক, জাহিদুল হক জিহাদ, রাকিব হোসেন, বাকলিয়া থানা আহবায়ক মো. টিপু, সদস্য সচিব মো. সাইফুল, জামাল হোসেন, বায়েজিদ থানা সদস্য সচিব জাবেদ পাটোয়ারী, মো. হাফিজ, চান্দগাঁও থানার মো. নাঈম খান, মো. জয়, খুলশী থানার মোহাম্মদ নাঈম ইসলাম, মো. প্রিন্স প্রমুখ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply