বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের দুই সমঝোতা স্মারক সই
আজ সোমবার দুপুরে সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট ভবন ইস্তানায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লোংয়ের উপস্থিতিতে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়।
বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে বিমান চলাচল বিষয়ে দুই দেশের সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশে বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব এস এম গোলাম ফারুক এবং সিঙ্গাপুরের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি লোহ নাই সেং।
সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্বের প্রকল্পে তুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে অপর সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আফসর এইচ উদ্দিন এবং সিঙ্গাপুরের ইন্টারন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজের সহকারী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ট্যান সুন কিম।
প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লোংয়ের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে রবিবার সিঙ্গাপুরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সকালে তিনি সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট ভবন ইস্তানায় পৌঁছালে লি সিয়েন লোং সেখানে তাকে স্বাগত জানান।
বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে ইস্তানায় লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই সিঙ্গাপুরের সশস্ত্র বাহিনীর একটি বিশেষ দল তাকে অভিবাদন জানায়। এ সময়, দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরে সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুব এবং প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লোংয়ের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন। পরে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
শেখ হাসিনা দুপুরে লি সিয়েন লোংয়ের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন। বিকালে যাবেন সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটিতে।
মঙ্গলবার সকালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সিঙ্গাপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার সম্মানে সেখানে একটি অর্কিডের নামকরণ করা হচ্ছে ‘শেখ হাসিনা’।
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন। সন্ধ্যায় তিনি যোগ দেবেন সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসের নৈশভোজে।
৪ দিনের সফর শেষে ১৪ মার্চ দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।সৌজন্য এবিনিউজ থেকে