২৮ এপ্রিল ২০২৪ / ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৬:২২/ রবিবার
এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

‘বিজিবিকে শক্তিশালী করতে যা করা প্রয়োজন সেটা করবে’

     

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয় ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করব। বাংলাদেশ যেহেতু অর্থনৈতিকভাবে মজবুত ও শক্তিশালী, তাই আমরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) শক্তিশালী করতে যা করা প্রয়োজন সেটা করব।

আজ বুধবার সকালে বিজিবি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর পিলখানা বিজিবির সদর দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।’ এ সময় তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধসহ বিভিন্ন কাজে বিজিবির বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পর এ বাহিনীর অনেক উন্নয়ন করেছি। ২০০৯ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর একটা অনভিপ্রেত ঘটনা (বিডিআর বিদ্রোহ) ঘটে যায়। যেখানে ৫৭ জন কর্মকর্তা নিহত হন। আমি তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তারা নিয়ম শৃঙ্খলা মান্য করবে বলে আমি আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিজিবি ভূমিকা রাখবে। মানুষকে হত্যা করা, আগুন দিয়ে রেল, গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় বিজিবি মানুষের জানমাল রক্ষায় কাজ করেছে। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, দেশের সাধারণ মানুষ যখন একটু ভালো থাকার চেষ্টা করে তখনই দেশের স্বাধীনতার বিরোধীতাকারীরা মানুষের ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালিয়েছে। দেশের মানুষকে অত্যাচার থেকে রক্ষায় বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সীমান্ত আইন করে গিয়েছিলেন। আমরা সেটা বাস্তবায়ন করেছি। ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় হয়েছে। যেখানে বিজিবি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। যা পৃথিবীর মধ্যে বিরল। তাছাড়া মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা চলাকালে বিজিবি বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেন।’

প্রসঙ্গত, ২০ ডিসেম্বর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বুধবার দিবসটি পালিত হচ্ছে। আজ সকাল ৮টায় বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বাহিনীর রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন এবং সকাল সোয়া ৮টায় ‘সীমান্ত গৌরব’ এ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সকাল ১০টায় কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী অনারারি সহকারী পরিচালক হতে অনারারি উপপরিচালক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের র‌্যাংক ব্যাজ পরিধান, অপারেশনাল কার্যক্রম, চোরাচালান নিরোধ এবং মাদকদ্রব্য আটকের ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য পুরস্কার প্রদান, মহাপরিচালকের অপারেশনাল ও প্রশাসনিক ইনসিগনিয়াসহ প্রশংসাপত্র প্রদান এবং বিজিবির খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অথবা উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply