অযৌক্তিক হারে বর্ধিত গৃহকর বাতিল করতে হবে -এইচ,এম মুজিবুল হক শুক্কুর
বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির মহাসচিব আলহাজ্ব এইচ,এম মুজিবুল হক শুক্কুর বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নতুনভাবে পঞ্চবার্ষিক গৃহকর পুনঃমূল্যায়নের নামে উন্নয়নবঞ্চিত চট্টগ্রামের অধিবাসীদের উপর কয়েকগুন বর্ধিত কর আরোপের প্রচেষ্টা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বিধায় আমি তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অতিশীঘ্রই বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিল করে আগের হার পুনর্বহাল করার জোর দাবী জানাচ্ছি। গৃহকর নির্ধারণে এলাকাভিত্তিক রেট থেকে ভাড়া আদায়ের ভিত্তিতে কর নির্ধারণী ত্রুটিপূর্ণ ও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া গ্রহণ করায় চসিকের হোল্ডিং ট্যাক্স এখন প্রত্যেকটি বাড়ির মালিকের কাছে এক আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চট্টগ্রামের মেয়র বিষয়টিকে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বলে জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার অপচেষ্টা নিতান্তই দুঃখজনক। কারণ বাংলাদেশে বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোন আইন না থাকায় ভাড়ার ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণ গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আসলে মন্ত্রণালয়ের তুগলকি কান্ড ও সিদ্ধান্তের কারণে দেশের ১১টি শহরে করের হার ৬ রকম। এ হার ঢাকায় ১২ শতাংশ আর চট্টগ্রামে ১৭ শতাংশ। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও করবিধি অনুসরণ না করে জনস্বার্থে অতীতের দুই জননন্দিত মেয়র ২২ বছর যাবৎ স্থাপনার আয়তনের ভিত্তিতে (বর্গফুট প্রতি ) হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করে গৃহকর আদায় করে শহরে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন আর এতে মন্ত্রণালয় ও সরকারেরও বিরাগভাজন হননি। বর্তমান মেয়র সে পদাঙ্ক অনুসরণ না করে জনস্বার্থের বিপক্ষে তার অবস্থান গ্রহণ খুবই দুঃখজনক। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়র মহোদয়ের নিকট আমার প্রত্যাশা , চট্টগ্রামে নিম্নমুখী নাগরিক সেবার প্রতি উদাসীনতা পরিহার করে সব ধরণের ভোগান্তি লাঘবে তিনি সচেষ্ট হবেন। বিশেষতঃ চট্টগ্রামের বেহাল সড়ক যোগাযোগ ,পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জলাবদ্ধতা নিরসনকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বল্প মেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আমি জোর দাবী জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন , আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পরও চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার। বিভিন্ন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, একটি কায়েমী স্বার্থবাদী মহলের অপতৎপরতার কারণে বন্দরের সক্ষমতা যেমনি কমেছে তেমনি উন্নয়ন কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বিগত ১০ বছরের মধ্যে গৃহীত ৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের একটিও এ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। তাই অনতিবিলম্বে বন্দরের দ্রুত আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করে বন্দরের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে এবং চট্টগ্রামে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে দ্রুত কার্যকর পদেক্ষপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
তিনি অাজ বিকেল ৩ টায় পতেঙ্গা ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় কালে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। পতেঙ্গা নিজাম মার্কেটস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির আহ্বয়াক ডা : মোহাম্মদ হানিফ খান জিলানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন – ৪১ নং ওয়ার্ড কমিটির সচিব আলহাজ্ব মো : আব্দুর রাহিম , মৌলানা আব্দুর রাহিম তৈয়বী, আলহাজ্ব আমির আহাম্মদ , সালেনুর সাগর , তবারক আলী প্রমূখ।