২৮ এপ্রিল ২০২৪ / ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:৩২/ রবিবার
এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ৬:৩২ অপরাহ্ণ

তিন বছর পর অবশেষে টেন্ডার হল তিস্তা সেতুর

     

মোঃ গোলজার রহমান
২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাইবান্ধার সার্কিট হাউজে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হরিপুর -চিলমারি তিস্তা সেতুর উদ্বোধন করেন । অবশেষে তিন বছর পর ২৮ সেপ্টেম্বর তিস্তা সেতুর টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হল। প্রকল্প পরিচালক খন্দকার মাহাবুব হোসাইন ২৮ সেপ্টেম্বর টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেন। আগামী ২২ নভেম্বর টেন্ডার খোলা হবে।
কুড়িগ্রামের চিলমারি, রাজীবপুর ও রৌমারী এবং গাইবান্ধা জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি হরিপুর চিলমারি তিস্তা সেতুর। ১ দশমিক ৪৯০ কিলোমিটার পিছি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। বিভিন্ন জটিলতার কারণে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৯ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দে নির্মাণ করার হবে এই তিস্তা সেতু। এর মধ্যে ২৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে। সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদী শাসনে ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে ৬ কোটি টাকা। সেতুটিতে পিলার থাকবে ৩০টি এর মধ্যে ২৮টি পিলার থাকবে নদীর ভিতরে অংশে এবং ২টি পিলার থাকবে বাহিরের অংশে। সেতুর উভয় পাশের্^ নদী শাসন করা হবে ৩ দশমিক ১৫ কিলোমিটার করে। সেতুর উভয় পার্শে^ সড়ক নির্মাণ করা হবে ৫৭. ৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে চিলমারি মাটিকাটা মোড় থেকে সেতু পর্যন্ত ৭.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার। চিলমারী অংশে একসেস সড়ক সেতু থেকে কাশিম বাজার পর্যন্ত ৫.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধা ধাপেরহাট থেকে হরিপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার। সড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ করা হবে ৯০.৮৪ হেক্টর। এর চিলমারী এলাকায় ২২.৫ হেক্টর এবং গাইবান্ধা এলাকায় ৬৮.৩৪ হেক্টর।
গত ১৫ জুন জাতীয় সংসদে ২৯ গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আহমেদ বাজেট অধিবেশনে হরিপুর তিস্তা সেতু নিয়ে জোড়াল বক্তব্য রাখার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইতিমধ্যে সড়ক নির্মাণের মাটি ভরাটের টেন্ডার হয়েছে। সাংসদ গোলাম মোস্তফা আহমেদ জানান- মুল সেতুর টেন্ডার হওয়ায় দুই জেলার মানুষ জন অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি আরও বলেন ব্রিজটি নির্মান হলে ব্যাবসা- বানিজ্য সহ দুই জেলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মুনছুর জানান- তিস্তা সেতুর যাবতীয় কার্যক্রম গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় হতে পরিচালিত হচ্ছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply