২ মে ২০২৪ / ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৬:৩৬/ বৃহস্পতিবার
মে ২, ২০২৪ ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড জঙ্গল সলিমপুর এলাকাটি ধর্ষক এলাকা হিসাবে চিহ্নিত

     

 

 

চট্টগ্রাম থেকে বিশেষ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড ছিন্নমূল এলাকার রাশেদা (৩৫) স্বামীঃ বাচ্চু বিগত ২ বৎসর পূর্বে মারা যায় তার স্বামীর মৃত্যুর পরে এই রাশেদা বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে যায়, একদিন এলাকাবাসী সম্মিলিত হয়ে তাকে অসামাজিক কাজে হাতে নাতে ধরে ফেলেতারপর ৬নং সমাজের সভাপতি গোলাপ মিয়ার সভাপতিত্বে এই নিয়ে সমাজে একটি বৈঠক বসানো হয়সমাজের শালিশী বিচারে তাকে কান টানা নাকে খত দিয়ে সমাজ থেকে বের করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন

কিন্তু ওই  সমাজের সভাপতি গোলাপ মিয়া নিজ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাশেদাকে সমাজের অন্য একজনের বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসাবে আশ্রিতা রাখার নির্দেশ দেয় এবং ৬ নং সমাজের সভাপতি গোলাপ তাকে একতরফাভাবে আশ্রয় দেওয়াতে সমাজের বাকি লোকজন তা মেনে নিতে একপর্যায়ে বাধ্য হয় কিন্তু বর্তমানে সে সভাপতি গোলাপ আশ্রয় দেওয়াতে সে এখন ছিন্নমূল এলাকায় আলাউদ্দিনের চেরাগ পেয়েছে মনে করেনসে এলাকাবাসী প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে সমাজের মান্যগণ্য ব্যাক্তিদেরকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খারাপ অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেনশুধু তাই নয় বহিরাগত পুরুষদের এনে অসামাজিক কাজ কর্ম  চালায় বলেও এলাকাবাসী জানানতার পার্শবর্তী একজন প্রতিবেশী রিপনের বাবা মানে রহমান তাকে পুরুষ নিয়ে অপকর্মের সময়  হাতে নাতে ধরেতখন তার হাতে পায়ে ধরে কাকতী মিনতি করাতে মানবিক দৃষ্টিতে তিনি তাকে ছেড়ে দেনছেড়ে দেওয়ার দুই দিন পর সে আবার বেপরোয়া হয়ে এলাকাবাসীদেরকে বিভিন্ন ধরনের গালমন্দ করে বলে এলাকাবাসী জানান

 

 ৬ নং সমাজের সভাপতি গোলাপ মিয়ার কাছে জানতে চাইলে মুঠো ফোনে তিনি বলেন, বিচারের দিন সমাজে ২১ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন ,তাদের সবাইকে সাথে করে নিয়ে  এই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ সভাপতি গোলাপ মিয়া এক তরফা ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাজের অন্য ব্যাক্তির বাড়ির কেয়ারটেকার হিসাবে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া

 

আামাদের কাছে এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ আছে এবং শুধু তাই নয়  বিগত ২৫/ ০৭/২০১৭ইং তারিখ ৬ নং সমাজে কাশেম সওদাগরের মেয়েকে ধর্ষণ করেন ০৪ নং সমাজের নীল মিয়া  এই ঘটনা সম্পর্কে সরাসরি ০৬ নং সমাজের সভাপতি গোলাপ মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, নীল মিয়ার শালির একটি প্লটে কাশেম সওদাগরের পরিবারকে অস্থায়ী হিসাবে থাকার জন্য তাদেরকে ঐ প্লটে থাকার অনুমতি দেন   কিন্তু তাদের এই দর্বলতার সুযোগ নিয়ে নীল মিয়া (৭৫)কাশেম সওদাগরের মেয়ে বকুল (১২) কে  ঘরে নিয়ে ধর্ষন করা অবস্থায় এলাকাবাসী হাতে নাতে ধরে ফেলে কিন্তু ছিন্নমূল এলাকার ১১ টি সমাজের প্রধানগণ উপস্থিত থেকে সামাজিক ভাবে মাত্র ৩০ ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন

 

বকুলের বাবার কাছে এই প্রতিবেদক ঘটনাটি তিনি বলেন, জলে থেকে কুমিরের সাথে লড়াই করা সম্ভব না তাই আমি অনিচ্ছাকৃত ভাবে ব্যাপারটা মিমাংসা করে দিয়েছিশুধু তাই নয় অত্র এলাকায় এই ঘটনা অহরহ ঘটে যাচ্ছে প্রান্তিক এলাকা  পরিবে হওয়ায় প্রশাসনের নজরের বাহিরে থেকে যাচ্ছে

 

সমাজের জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময়ে অর্থের বিনিময়ে  মেয়েদের জন্ম নিবন্ধন করে দিয়ে অল্প বয়সে বা বাল্য বিবাহে বন্দনে আবদ্ধ হতে সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্চেন বলে এলাকাবাসী জানান।তবে উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে ঐ এলাকার কোন জনপ্রতিনিধির বক্তব্য সুনির্দিষ্ট ভাবে পাওয়া যায় নি।জঙ্গল সলিমপুরে এই রকম জঘন্যতম ঘটনা নিত্য নৈমিত্তিক হারে ঘটছে বলে একাধিক সচেতন বাসিন্দা এই প্রতিবেদক কে জানিয়েছেণ্‌।বিষয়টি দ্রুত প্রশাসন সুনজরে না আনলে সামনে ভহাবয় দূর্ঘটনা ঘটবে।

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply