ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে আতঙ্ক বেড়েছে
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ-মিয়ানমার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে থামছে না বিস্ফোরণের আওয়াজ। গত প্রায় ৭৪ দিন ধরে চলে আসা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরকান আর্মি তাদের ভিতর অভ্যন্তরিণ কোন্দল নিয়ে তাদের মাঝে চলা সংঘর্ষে ভারী অস্ত্রের বিস্ফোরণের বিকট শব্দের ঝাকুনির কবলে পড়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষ।
আবার মাঝে মাঝে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার,যুদ্ধ বিমান,আর্টিলারি মটারশেল, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রাইফেলের গুলি, রাতের আঁধারে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে ড্রোন আসা সহ,নানা ভাবে তারা আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন না মানা একঘেয়েমি মনভাব দেখিয়ে তাদের কর্মতৎপরতা সীমান্তের অভ্যন্তরে অব্যাহত রাখায় সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ আতঙ্ক।
১১ অক্টোম্বর মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে নতুন করে নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি এলাকার দুই দেশের সীমান্ত পিলার ৪৫ দিয়ে পরপর তিনটি বিকট শব্দের আওয়াজ মিয়ানমারের কিছু ভিতর থেকে আসা আওয়াজ শোনেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় শিক্ষক মোঃ আবুল ফয়েজ।
ঘুমধুমের ৩ নং ইউপি সদস্য মোঃ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, তাদের তমব্রু এলাকার ৩৪,৩৫,সীমান্ত পিলার দিয়ে মিয়ানমারের ভেতর থেকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত ঘুমধুম,তমব্রু সীমান্ত দিয়ে কোন বিস্ফোরণের শব্দ আসেনি ।তবে তমব্রুর ব্যবসায়ী সরোয়ার জানান মাগরিবের আজানের সামান্য আগে তমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে একটি মাত্র বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন তিনি।
চলমান মিয়ানমার সীমান্তের ভেতরে সংঘাতের দারুন প্রভাব ফেলেছে বাংলাদেশ সীমান্ত জনপদে বসবাসকারী শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধাদের মাঝেও।