৩০ এপ্রিল ২০২৪ / ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১:৫৭/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ৩০, ২০২৪ ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

ঠান্ডা মিয়ার গরম কথা ( ৩০৯) জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী সমীপে

     

মাননীয়,

জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী সমীপে,

শ্রদ্ধেয় সামশু ভাইজানরে,

গরম গরম কথার শুরুতেই আমার লাখ কোটি সালাম জানিবেন। আশা করি, আল্লাহ মালিকের অপার মহিমায় ভালো থাকিয়া  আপনার নির্বাচনী এলাকার জন্য ভিশন ও মিশন কায়েমের লক্ষ্যে নানান ফর্মূলা তৈরী ও বাস্তবায়ন করিয়া মহা সুখেই আছেন। আমিও গ্রাম বাংলার এক মফস্বল শহরে থাকিয়া দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করিয়া ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মতো খাইয়া না খাইয়া বাঁচিয়া আছি। গেল বারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী সমীপে ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা  লিখিবার সময় এইবার আপনার সমীপে লিখিব বলিয়াছিলাম, তাই  লিখিতেছি বলিয়া রাগ করিবেন না বরং শত ব্যস্ততার মধ্যেও গরম কথাটুকু পড়িয়া দেখিবেন ও যাহা প্রয়োজন তাহা করিবেন এবং ভুল হইলে নিজ গুনে মাফও করিয়া দিবেন।

ভাইজানরে,

আপনি হইলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম তথা গোটা দেশের একজন আলোচিত ও সমালোচিত ব্যক্তি। আপনি ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮  সালে পর পর ৩ বার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হইয়া জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইয়াছেন। হালে, জাতীয় সংসদের হুইপ আপনি।এর আগে  ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামের আলকরন ওয়ার্ড থেকে কমিশনারও নির্বাচিত হইয়াছেন  আপনি।  ওয়ার্ড কমিশনার  থেকে এক লাফে এমপি হইবার যোগ্যতা আর কাহার কাহার আছে এই মুহূর্তে আমার মনে পড়িতেছে না।  থাকিলেও গোটা দেশে হাতে গুনা কয়েকজন থাকিতে পারে।  আপনি তৃণমূল একজন রাজনৈতিক কর্মী তাহা নিঃসন্দেহে বলা যায়।সাধারণ মানুষের সাথে আপনার ব্যাপক যোগাযোগ রহিয়াছে, যাহা সত্যিই একজন  সংসদ সদস্যের জন্য বড় গুণ হিসাবে  সচেতন  লোকেরা বলিয়া থাকেন।

ভাইজানরে,

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তাহার ছেলে সায়েম সোবহান আনভীরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আপনি ৫০০ কোটি টাকার একটি মানহানি মামলা দায়ের করিয়াছেন। এই মামলার পর এক ব্যাক্তি পত্রিকা পড়িয়া জানিতে চাহিলেন সামশুল হক চৌধুরী কখনো ৫০০ কোটি টাকার  মালিক ছিলেন। টাকা দিয়া মান মাপিবার কৌশল কী ?

আপনার পরিবারের  সদস্যদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে আপনি  মানহানি মামলা করিয়াছেন। বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন গণমাধ্যম কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ডেইলি সান, banglanews24 এবং নিউজ 24-এ এসব সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ওই মামলায়  বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলম, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ছাড়াও বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ ২৪ সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কন্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ডেইলী সান সম্পাদক ইনামুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের রিপোর্টার সাইদুর রহমান রিমন ও রিয়াজ হায়দার, কালের কণ্ঠের এস এম রানা, মোহাম্মদ সেলিম এবং বাংলা নিউজের সম্পাদক জুয়েল মাজহারকেও বিবাদী করিয়াছেন । এই বিষয়ে আপনার শুভাকাঙ্খীরা বলিতেছে ,  সাংবাদিক ও সম্পাদকদের প্রতিপক্ষ না করিয়া বরং অন্যান্য পত্রিকার মালিক, সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সাথে আপনার সখ্যতা গড়িয়া তোলা অনেক ভালো হইত। যাক, বিষয়টি আপনিই ভালো বুঝিবেন।

ভাইজানরে,

ঘরের শত্রু বিভীষণ  কিংবা ঘরের ইদুরে বেড়া কাটিলে যাহা হয় তা কিন্তু সামাল দেওয়া অনেক কঠিন। বীর মুক্তিযোদ্ধা সামছুদ্দিন আহম্মদ, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, ভাস্কর রাশা, মো. আল মামুন, এ জেড ইউ প্রিন্স ও সনেট মাহমুদ প্রকাশ্য চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে  আপনি ও আপনার পুত্রকে গ্রেফতারের দাবীতে আলটিমেটাম দিয়াছিলেন।  জামায়াতের সাথে সম্পর্ক আপনার, আপনার  ভাই মোহাম্মদ আলী নবাব ও পুত্র শারুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলিয়াছে। ক্যাসিনো কান্ডের পক্ষে কথা বলিতে গিয়া আপনি নিজেও দেশ জুুড়িয়া বিতর্কিত হইয়াছেন। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে কান্নায় ভেঙে পড়েন বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুদ্দিন আহম্মদ। ৮০ বছর বয়সী  মুক্তিযোদ্ধাকে লুঙ্গি খুলে পেটানোর হুমকি দিয়াছেন আপনি এইরকম  বহু অভিযোগ তাহারা করিয়াছেন। এই অভিযোগগুলো জোরালো ভাবে উত্থাপন করিবার পিছনে আপনার শত্রু পক্ষের হাত রহিয়াছে বলিয়া অনেকে বলিতেছে । বিষয়টি গভীরভাবে মাথায় রাখিবেন।

ভাইজানরে,

দেশের খ্যাতিবান ধনী ব্যাক্তিদের গ্রামের বাড়ী আপনার নির্বাচনী এলাকায়। এস আলম গ্রুপ ,  টিকে গ্রুপ, কেডিএস সহ অসংখ্য শিল্পপতির এলাকার সংসদ সদস্য ও বর্তমানে জাতীয় সংসদের হুইপ আপনি। আপনাকে বসুন্ধরা গ্রুপ নাজেহাল করা মানে তাহাদেরও সম্মানের আঘাত আসে।  একটি সুত্র দাবী করিতেছে, আগামীতে যাহাতে আপনি নৌকার মনোনয়ন না পান সেইজন্য  একটি গ্রুপ যাহা যাহা প্রয়োজন তাহা তাহা করিবে। মনোনয়ন পাইলেও নির্বাচিত যাহাতে না হোন সেই চেষ্টাও চালাইবেন বলিয়া শুনিতেছি।  লোকেরা বলিতেছে,  শহিদুল আলম মাসুদকে প্রার্থী করাইবার জন্য একজন মন্ত্রীকে দিয়া একটি ব্যবসায়ী গ্রুপ এখন থেকে প্রচেষ্টা  চালাইতেছে। ওই মন্ত্রী বলিলেই  শহিদুল আলম মাসুদও প্রার্থী  হইবে বলিয়া শুনিতেছি।  শহিদুল আলম মাসুদ প্রার্থী হইলে এমপি নির্বাচিত হইতে অসুবিধা হইবে না বলিয়া সচেতন লোকেরা বলিতেছে। ইতিমধ্যে শহিদুল আলম মাসুদকে এমপি বানাইয়া বাণিজ্যমন্ত্রী করিতে ব্যবসায়ীরা এক পায়ে খাড়া হইয়া আছে বলিয়া শুনিতেছি। যাহারা এইসব বলিতেছে তাহারাই বলিতেছে আপনাকে আর সংসদে যাইতে দিবে না। তাহারা বীর মুক্তিযোদ্ধা সামছুদ্দিন আহম্মদের প্রতি অসম্মানের প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুতি নিতেছে। এখন থেকে সকল মানুষের মন জয় করিয়া চলুুন। সময় ও পরিস্থিতি  সব বলিয়া দিবে তবে সতর্ক  থাকিয়াই মিশন কায়েম করুন। আবরো সময়মতা লিখব।

আজ আর না। আপনার মঙ্গল ও সুস্বাস্থ্য কাামনায়  ইতি আপনারই গ্রাম বাংলার অখ্যাত ঠান্ডা মিয়া

গ্রন্থনা ম. আ. হ

আগামী সংখ্যায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী হাসান মুরাদ সমীপে ঠান্ডা মিয়ার গরম (৩১০) সম্প্রচার করা হইবে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply