৬ মে ২০২৪ / ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১:২৪/ সোমবার
মে ৬, ২০২৪ ১:২৪ পূর্বাহ্ণ

জনবল সংকটে ধুঁকছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

     

শরিফুল আলম চৌধুরী, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক:
জনবল সংকটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে কুমিল্লার ২৫০ শয্যার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল। দীর্ঘ ১৩ বছর আগে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও জনবল বাড়েনি।  ফলে ২৫০ শয্যার জনবল দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে প্রায় ২৯ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালের প্রশাসনিক ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। 
 
বর্তমানে এ হাসপাতালের উপ-পরিচালক, চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য রয়েছে ৩৫টি। দীর্ঘদিন ধরে এমন জনবল সংকটের কারণে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।  কুমেক হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।  
 
জানা যায়, ১৯৯২ সালে ২৫০ শয্যার কুমেক হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।  এ হাসপাতালে সময়ে সময়ে শয্যা, ওয়ার্ড ও রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও জনবল বাড়েনি।  এ অবস্থায় ২০০৮ সালে এ হাসপাতালটি ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও জনবল দেওয়া হয়নি।  বর্তমানে এ হাসপাতালটি কুমিল্লার ১৭টি উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলার হতদরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্তসহ নানা শ্রেণির মানুষের চিকিৎসা সেবায় ভূমিকা রাখছে।  কিন্তু চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জনবলের সংকটের কারণে এ হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। 
 
রোগীদের অভিযোগ, এ হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম, জনবল ও শয্যা সংকটে তারা এখানে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না।  কুমেক হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, এ হাসপাতালে উপপরিচালক, চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের অনুমোদিত ১৭৮টি পদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৩৫টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে।  এর মধ্যে হাসপাতালের উপপরিচালক, কনসালটেন্ট সার্জারি, অর্থো-সার্জারি, চক্ষু, ডার্মাটোলজি, মেডিসিন, ইএনটি, অ্যানেসথেসিয়া, রেজিস্ট্রার ইএনটি, বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে একটি করে পদ শূন্য রয়েছে। 
 
এছাড়া সহকারী রেজিস্ট্রার (সার্জারি) পদে দুইটি, অর্থোপেডিক্স, সহকারী রেজিস্ট্রার (শিশু) ও ইএনটি পদে একটি করে, পেডিয়েট্রিক সার্জারি, বার্ন-প্লাস্টিক সার্জারি, নেফ্রোলোজি, ক্যাজুয়েলটি, ইউরোলোজি পদে দুইটি করে, ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার, মেডিকেল অফিসার, ডায়ালাইস মেডিক্যাল অফিসার সহ সার্জন (এমও) অর্থোপেডিক্স ও ট্রমাটোলজি, ইনডোর গাইনি মেডিকেল অফিসার, নিউরো মেডিসিন, মেডিক্যাল অফিসার শিশু ও ক্যাজুয়েলটি পদে একটি করে ও রেডিওলজিস্ট (রেডিওলজি ও ইমেজিং) পদে একটিসহ ৩৫টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। 
 
এছাড়াও তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীসহ পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকট রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্তত ৫জন চিকিৎসক ও কর্মকর্তা জানান, ২৫০ শয্যার জনবল দিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে ৫০০ শয্যার এ হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে। এখানে প্রতিদিন গড়ে অন্তত সাড়ে ৮০০ রোগী ভর্তি হন এবং আউটডোরে গড়ে প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা নেন অন্তত ১ হাজার ২০০ রোগী।  ফলে চিকিৎসা সেবাসহ প্রশাসনিক কাজকর্মে কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। 
 
মঙ্গলবার দুপুরে কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন জানান, এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর শয্যা ও ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়লেও জনবল বাড়েনি।  এখানে ৫০০ শয্যার জনবল নিয়োগ ও শূন্য পদগুলো পূরণসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জামাদির প্রয়োজন।  রোগীদের সেবার মান আরও বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply