৪ মে ২০২৪ / ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:১৩/ শনিবার
মে ৪, ২০২৪ ৪:১৩ অপরাহ্ণ

করোনাকালীন নতুন বছর -২০২১

     

আবছার উদ্দিন অলি

বাংলাদেশ এবার নতুন এক নববর্ষ উৎযাপন হবে। করোনাকালীন নতুন বছর ২০২১ সাল। করোনার কারনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরে নিজে নিরাপদ থেকে অপরকে নিরাপদ রাখার প্রত্যয় নিয়ে নতুন বছরের কার্যক্রম চলবে এমনটি প্রত্যাশা রাখি। কেননা, বাংলাদেশের আবহাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শীতকাল হওয়াতে করোনা প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সেটাকে মাথায় রেখে আমাদের জীবন জীবিকা সচল রাখতে আমরা সরকারের দেওয়া সকল নিয়মনীতি মেনে নতুন বছরে নতুন করে এগিয়ে যাবো সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে।

করোনাকালীন সময়ে আমরা আমাদের অনেক প্রিয়জনকে হারিয়েছি। যা আমাদের হৃদয়ে অনন্তকাল ধরে স্মৃতি বয়ে বেড়াতে হবে। যারা আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেছেন তাদের জন্য রইল শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। বছরের প্রথম মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, আসবে নতুন নগরপিতা। নতুন সাজে সাজবে চট্টগ্রাম। মানব সভ্যতার আলোকেই একদিন মানুষ এক সেকেন্ডকে সময়ের একক হিসেবে ধরে নিয়ে তারপর মিনিট, ঘন্টা, দিন মাস বর্ষ শতাব্দী ইত্যাদির গণনা শুরু করে। সময় হল অখন্ড এক চিরন্তন গতি। সময়ের ভেতরে পৃথিবীর সকল প্রাণীর জন্ম মৃত্যু ক্রমাগত ভাবে ছুটে চলছে। সময় কারো পক্ষপাতিত্ব করে না। আমরা তাই উন্মুক্ত সময়ের মুক্ত মানুষ হয়ে কর্মফলকে বিশ্বাস করি। কথায় আছে যৎ কর্ম তৎ ফল। অতএব, এই নববর্ষটি কি রকম হওয়া উচিত এই বিষয়ে নিছক কথার ফুলঝুরি না ছড়িয়ে আমার সকল কর্মে বলনে চলনে দায়িত্ব পালনে আগামী দিনগুলোর প্রতিটি মুহুর্তকে সততার সাথে সৃজনশীল করে তুলতে চাই। উন্নয়নের বাংলাদেশ এই শ্লোগানের মর্মবানী এই প্রজন্মের মনে প্রাণে ও মননে মিশিয়ে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরো আরো শাণিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পুরো ২০২০ সাল বৈশ্বিক করোনা মহামারীর ছোবলে মানুষের দৈনন্দিন যাপন সহ পুরো বিশ্ব স্থবির হয়ে গেছে। একেবারেই অন্যরকম বছর আমরা অতিবাহিত করলাম। সংগত কারণে করোনার প্রকট এখনও বিদ্যমান থাকায় ২০২১ সালের নববর্ষটি অন্যান্য বারের চেয়ে একটু ব্যতিক্রম।

২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে পালিত হয়েছে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। তাই এ বছরটি আমাদের জন্য ঐতিহাসিক স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বছরের শুরুর এবং শেষের প্রতিবারের মত যে বর্ণাঢ্য আয়োজন থাকে এবার করোনার কারণে তা হচ্ছেনা। এমনকি ঘরোয়া আনন্দ উৎসবও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মের মধ্যে করতে হবে। নিরাপত্তা জনিত ও করোনার কারণে এবার থাকছেনা বর্ষ বিদায়ের কোন আয়োজন। গেলো বছরের হিসেব খাতায়, যোগের চেয়ে বিয়োগের অংকটাই এখন বড়। সে যাই হোক আশা করি নিরাশার দোলা চালেইতো জীবন চলে। মৃত্যুর আগ মুহুর্তে পর্যন্তইতো মানুষ আশায় বাঁচে। আমরাও মানুষ, তাই ক্ষেত্র বিশেষে অতীতের স্বীয় ব্যর্থতার গ্লানিকে পিছনে ঠেলে দিয়ে নতুন বছরের পথ পরিক্রমনে যাত্রাকালে চেনা এ পৃথিবীটার সবার জন্যে সুখ কামনায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ ছাড়া চৌচির কোন মাঠ ফসলের চৈতি ক্ষরায় কান্না কারো কোন দুঃখ ব্যাধি জ্বরায় নির্ঝর বারিধারা বিমূর্ত হাসি আশার একান্ত কাম্য। অনোদার যুদ্ধ বারুদের মানুষ মারায় নিত্য দিবারাত সন্ত্রাস জীবন পাড়ায় শান্তির প্রচ্ছায়া চিরায়ত খুশী আমাদের প্রানান্ত চাওয়া। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনায় স্বাধীন স্বদেশ প্রিয় মাতৃভূমিকে গড়ে তোলার বিমূর্ত অঙ্গীকারে- যে কোন ত্যাগ স্বীকারে হাঁ বলার সৎ সাহসে উদ্দীপ্ত আমরা। দেশের মানুষ অস্থিতিশীল পরিবেশকে পেরিয়ে ভালভাবে বেঁচে থাকুক এই প্রত্যাশা করি। নতুন কোন দূর্ঘটনায় আগুনে পুড়ে যাওয়া অসহায় মানুষদের কান্না আর দেখতে চাই না, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো নতুন করে কারো প্রাণহানি ঘটুক, আমরা দেখতে চাই না, আসুন সবাই মিলে নতুন বছরে নতুন করে সুন্দরভাবে বাঁচতে ঐক্যবদ্ধ হই। সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে দাঁড়াই। তবেই আমরা ফিরে পাবো সেই “স্বপ্নের বাংলাদেশ”। রাষ্ট্র কিংবা কোন দায়িত্বপূর্ণ ব্যক্তির অবহেলায় নতুন কোন দূর্ঘটনায় কোন মায়ের বুক যেন খালি না হয়, কোন স্ত্রী যেন স্বামী- সন্তান হারা না হয়। এই কামনা করি। নতুন বছরের সূর্যোদয়ের সোনালী আভায় লাখো গোলাপের সুভাসে আন্দোলিত হোক ২০ কোটি বাঙ্গালী, বাস্তব হোক সেই লাখো বীর শহীদ সূর্য সন্তানদের স্বপ্ন একটি “স্বপ্নীল বাংলাদেশ”। পুরোনকে বিদায় দিয়ে নতুন কে বরন করে নেয়াই মানুষের সহজাত ধর্ম। আবহমান কাল ধরে মানুষ পুরাতন কে শুকনো ঝরা পাতার মত ত্যাগ করে নতুন কুঁড়ির উদগমন হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করে। ইংরেজী নতুন বছর ২০২১ কে জানাই সাদর সম্ভাষণ। এক বুক অনাবিল আনন্দ সিঞ্চনে স্বাগত জানাই নতুন বছরের নবীন প্রভাতের নবীন সূর্যকে। অতীত সবসময়ই ইতিহাস। এ বছরের ভুলগুলো শুধরে সমস্ত ইতিহাস থেকে ভাল শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে সুন্দর ভবিষ্যত নির্মাণের লক্ষে এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে।

২০২১ সালে যেন সব অসহনীয় বৈরী পরিবেশ কে পেছনে ফেলে কাঙ্খিত, মনোরম, ভালবাসায় এক গুচ্ছ প্রত্যাশা ও আশ্বাস কে খুঁজে পায় অনায়াসে। ইংরেজি নতুন বৎসর শুরুর দিন থেকে আশার আলোতে প্রত্যাশার পদধ্বনি বেজে উঠুক। বছরের প্রথম মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নির্বাচন হওয়াতে এবারের নতুন বছর এক অন্যরকম নতুন বছরে পদার্পণ করবে। নতুন নগর পিতার জন্য অগ্রিম অভিনন্দন। সবকিছুর পরও সুখ শান্তির প্রত্যাশায় স্বাগত নতুন বছর ২০২১ সাল। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে বৈশি^ক মহামারী করোনা থেকে নিরাপদ রাখুক এবং সুখ শান্তি আর আনন্দে কাটুক আমাদের সবার জীবন।লেখক: সাংবাদিক ও গীতিকার, বিশেষ প্রতিনিধি: দৈনিক লাখো কন্ঠ।

 

 

 

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply