২ মে ২০২৪ / ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১:২৯/ বৃহস্পতিবার
মে ২, ২০২৪ ১:২৯ অপরাহ্ণ

ফিটিং দিয়ে ছিনতাই ও ইভটিজারদের দৌরাত্ব বেড়েছে ইপিজেড বেপজা গেইটে !

     

পরিকল্পিতি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা

অনুসন্ধানী রিপোর্ট

পরিকল্পিত ফিটিং দিয়ে ছিনতাই ও ইভটিজারদের দৌরাত্ম বেড়েছে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সিইজিডে বেপজা মেইন গেইটের সংযোগ সড়ক রেল বিট মন্দির রোড ও নারী শক্তি রোডের আশ পাশে। লক্ষ লক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিক প্রতিদিনের আসা যাওয়ার পথে এই ফিটিং ছিনতাই ও ইভটিজিং এর শিকার হয় তারা। বেপজা সিইপিজেড গেইটে বেপজার সিকিউরিটি ও শিল্প পুলিশের সদস্যগণ সার্বক্ষনিক ডিউটিরত অবস্থায় থাকলেও তাদের চক্ষু দর্পনে এই সমস্ত অপরাধগুলি সংগঠিত হয়। তাছাড়া গেইটে ২০০ গজের মাথায় রয়েছে ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ি। পুলিশ ফাঁড়ির ভূমিকাও সচেতন মহল ও গার্মেন্টস শ্রমিকদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। নাম না বলার শর্তে গার্মেন্টস শ্রমিক ও এলাকাবাসী জানায় আগে ইভটিজারদের আড্ডা থাকলেও বেশ কিছুদিন যাবত কথিত বাহিনীর শজিব গ্রুপের শজিব তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাহিনীর আকবর, রোমান, শাহীন, রাব্বি, নুরুদ্দিন, আউয়াল, ইরফান, সুমন, রিপন, আলমগীর কর্তৃক বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে গার্মেন্টস শ্রমিকরা কর্মস্থলে আসা যাওয়ার সময় রেল বিট মন্দির রোড ও নারী শক্তি অফিস রোডে এই সমস্ত পরিকল্পিত ছিনতাই ও ইভটিজিং এর শিকার হয় বলে গার্মেন্টস কর্মীরা অভিযোগ তুলেছে। গার্মেন্টস কর্মীদের অফিসে আসা যাওয়ার পথে রাস্তার দুই ধারে বিভিন্ন বয়সের বখাটে ছেলেরা মেয়েদের নানা রকমের অশ্লীল ভাষায় মন্তব্য ছুড়ে দেয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় বিগত ১৯/০৪/২০১৮ইং তারিখে মালেক নামে এক দোকানদারের কাছ থেকে পরিকল্পিতভাবে জোর পূর্বক উনত্রিশ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে মারধর করে দোকানের সামনে রেখে যায় ফরহাদ, আকবর ও তাদের ৩০/৩৫ জনের একটি গ্রুপসহ ।

এবিষয়ে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ ও করেন মালেক। বিগত ২১/১১/২০২০ইং তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার সময় ইপিজেড মেরিমো ফ্যাক্টরীর এক শ্রমিক অফিস থেকে বের হয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার পথে রেল বিট মন্দির রোডে তার শরীরের সাথে ধাক্কা লেগে ঝগড়া সৃষ্টি করে সজিব গ্রুপ। সর্বস্ব কেড়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে আটকিয়ে রাখে তাকে, পরে মেরিমো ফ্যাক্টরীর ম্যানেজারের হস্তক্ষেপে ওই শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। নাম না বলা শর্তে ইয়ং ওয়ানের এক শ্রমিক জানায় আমি অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে রেল বিটে হঠাৎ আমার গতিরোধ করে বলে যে তোর কাছ থেকে দশ হাজার টাকা পাওনা আছি। এগুলো এখন দিয়ে যাবি। আমি বললাম আপনাদেরকে জীবনেও দেখিনি বা চিনিনা কিসের টাকা আবার ? এরই মধ্যে তার গ্রুপের আরো ৩/৪ জন এসে আমাদের সামনেইতো টাকা হাওলাত নিলি, এখন ভালোয় ভালোয় টাকাটা দিয়ে দেয়, না হলে তোকে জানে মেরে ফেলব। প্রাণ ভয়ে আমার ব্যবহারের ওয়ালটন মোবাইল সেটটি ভয়ে তাদের দিয়ে চলে যায়। স্মার্ট জেকেটের এক নারী শ্রমিক নাম প্রকাশ করা শর্তে জানায় বেতনের দিন বাসায় যাওয়ার পথে বেপজা গেটে এক মহিলা এসে আমার পথ আটকিয়ে বলে তোর কাছে পাঁচ হাজার টাকা পাওনা আছি এইগুলি দিয়ে যা। না হলে ছেলেদের দিয়ে বেইজ্জত করব । এই কথা বলতে না বলতে ৪/৫ জন ছেলে আমার সামনে এসে বলে এই মেয়ে টাকা এক্ষুনি দিয়ে দেয়। না হলে যেতে পারবিনা। আমি প্রাণ ও ইজ্জতের ভয়ে টাকা দিয়ে দিতে বাধ্য হই। তাই আমরা গার্মেন্টস শ্রমিকদের দাবী কর্মস্থলে যাওয়া আসার পথে যাতে জান মাল ও ইজ্জত রক্ষা পাই সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে দাবী,  ছিনতাইকারী ও ইভটিজারদের আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হোক । সজিব গ্রুপের রেল বিটে তার আড্ডা। দল বল নিয়ে রেল বিটের এই মাথা থেকে ওই মাথা পর্যন্ত যত অপকর্ম আছে সে এসব করে বেড়ায় । তার দলে ২/১ জন মহিলাও রয়েছে। তাদের ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ  ফিটিং কাজে। দল বল ভারি তাই কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। সজীব গ্রুপ নিজেদের ব্যারিস্টার কলেজ ছাত্র লীগের এক নেতার অনুসারী বলে দাবী করেন। এই বিষয়ে ইপিজেড থানাধীন ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির আইসি ইয়াসিনকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, এই বিষয়ে আমাদের কাছে কারো কোন অভিযোগ আসেনি। তা ছাড়া আমাদের ফোর্স সব সময় এই রেল বিটে দায়িত্বরত অবস্থায় থাকেন। এ রকম কিছু হলে আমরা অবশ্যই জানতাম। এই বিষযে ৩৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই গার্মেন্টস শ্রমিক ও এলাকাবাসীর দাবী অনতিবিলম্বে এই সমস্ত ইভটিজার ও ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। এই বিষয়ে আমরা গার্মেন্টস শ্রমিকরা পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছে বলে জানা যায়।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply