৬ মে ২০২৪ / ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৫:৫৫/ সোমবার
মে ৬, ২০২৪ ৫:৫৫ অপরাহ্ণ

গ্রেফতার তালিকায় নেই বাংলাদেশি নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সি থেকে ১৬০জন অভিবাসী গ্রেফতার

     

বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সি থেকে ১৬০ জন অভিবাসী গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন এ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)। নানা ধরনের অপরাধে জড়িত থাকার কারণে গত ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে ৮৩ ও নিউ জার্সি থেকে ৭৭ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা। এদের মধ্যে কোন বাংলাদেশি আছেন কিনা আইস-এর ওয়েবসাইটে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এখবর জানিয়েছে।
আইস পরিচালক টনি ফ্যাম জানিয়েছেন চলতি অভিযানে পূর্ববর্তী গ্রেপ্তার, দোষী সাব্যস্ত হওয়া বা ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে জড়িত অপরাধের জন্য অভিযুক্তদের অনিবন্ধিত অভিবাসীদের টার্গেট করা করেছে।
টনি ফ্যাম বলেন এই অপারেশনের মূল লক্ষ্যবস্তু হলো এসব অপরাধীরা পুরুষ, এদের দ্বারা বিভিন্ন মহিলা এবং শিশুদের নানা ধরনের যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গুরুতর অপরাধের সাথে জড়িত। এবস অপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। নানা সম্প্রদায় থেকে এদের হুমকি সরাতে এবং ভবিষ্যতে নির্যাতন রোধ করতে সক্ষম হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন টনি ফাম।
নিউ ইয়র্ক সিটি এবং নিউ জার্সিতে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের কয়েকজনকে অতীতে শিশু নির্যাতন, হয়রানি, যৌন ও উত্তেজিত লাঞ্ছনা, দোষ-তদন্ত, অস্ত্র লঙ্ঘন, ডাকাতি, মাদকের অভিযোগ ও মাদকাসক্ত হয়ে গাড়ি চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আইস সূত্র জানায়, একজনকে তৃতীয়-ডিগ্রি ধর্ষণের জন্য ২০০৫ সালে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পরে তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গুয়াতেমালার কর্মকর্তারা একজনকে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে আরেক ব্যক্তির নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড রিমুভাল অপারেশনস ডিরেক্টর টমাস ডেকার নিউ ইয়র্ক সিটির অভয়ারণ্য শহরের অবস্থানের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে নিউ ইয়র্কের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ৮৩ জন ব্যক্তির মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি আটককৃতদের স্থানীয় হেফাজতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। অভয়ারণ্য শহর হিসাবে নিউ ইয়র্কের স্থিতি এটি কিছু ক্ষেত্রে, অনাবন্ধিত অভিবাসীদের মামলার অনুমতি দেয় যারা নির্বাসন অনুরোধ থেকে আইন ভঙ্গ করে।
ডেকার বলেন, “এই ভেবে অবাক করা বিষয় যে অপরাধী এলিয়েনদের নিরাপদে আইস হেফাজতে স্থানান্তরিত করার পরিবর্তে, স্থানীয় অভয়ারণ্য নগর নীতি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে আরও ফৌজদারি অপরাধের জন্য রাস্তায় আন্দোলন করেন এবং মুক্তি দিতে বাধ্য করেন।
এনওয়াইপিডি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কেবল অভিবাসন বন্দীদের সম্মান জানায়। এর আগে একজন মুখপাত্র বলেছিলেন যে পরিস্থিতিতে “আইস যদি কোনও ফেডারেল বিচারক দ্বারা জারি করা একটি ওয়ারেন্ট উপস্থাপন করে যে ব্যক্তিটিকে হেফাজতে নেওয়ার সম্ভাব্য কারণ রয়েছে এবং সেই ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের মধ্যে হিংসাত্মক বা গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে” গ্রেপ্তার বা সন্ত্রাসবাদী নজরদারি তালিকার একটি সম্ভাব্য মিল খুঁজে পাওয়া যাবে।
মেয়র বিল ডি ব্লাসিওর কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন যে, তারা কেবল আইসকে সহযোগিতা করে “যেখানে সহিংসতা এবং গুরুতর অপরাধের দোষ রয়েছে এবং আইস তার আইনী এবং যথাযথ প্রক্রিয়া প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেছে।
আইস অভিবাসী ও অপরাধ সম্পর্কিত ভয়ভিত্তিক মিথকথাকে উত্সাহিত করার জন্য যদিও তথ্যগুলিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে, আমরা নিউ ইয়র্ককে নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় কাজটি চালিয়ে যাবেন বলে উল্লেখ করেন ওই মুখপাত্র।
গত ৫ সেপ্টেম্বর, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশের অভিযোগে এক নারীসহ ১০১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটির সরকার। ওমনি এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমানে দেশে ফেরত পাঠানো হয় ওই ১০১ বাংলাদেশিকে।
এসব বাংলাদেশিরা একেকজন ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ করে বিভিন্ন দেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটির হাতে গ্রেফতার হন তারা। এরপর বিভিন্ন মেয়াদে ডির্পোটেশন ক্যাম্পে থাকার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর একটি বিশেষ বিমানে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে এভাবে কর্মীরা ফেরত গেছন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply