২৭ এপ্রিল ২০২৪ / ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:০৭/ শনিবার
এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ৮:০৭ অপরাহ্ণ

গণধর্ষণের সাথে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

     

 

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চার সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা শাখা আজ বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও সংহতি সমাবেশ করেছে। সংগঠনের জেলা সভাপতি আসমা আক্তারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ স¤পাদক পূরবী চক্রবর্তীর পরিচালনায় মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, প্রগতিশীল চিকিৎসক ফোরামের আহ্বায়ক ডাঃ সুশান্ত বড়ূয়া, এডঃ বিশুময় দে, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সমন্বয়ক ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য সোমা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহীন মঞ্জুর, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগর শাখার সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ খন্দকার, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি মন্টি চাকমা, সূর্য সেন পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জয় বনিক প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, “গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষের উৎসবমূখর পরিবেশে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় নিজের মত প্রকাশের কথা থাকলেও বাস্তবে হয়েছে উল্টো ঘটনা। মহাজোট সরকার ভোট চুরি করে জনগনের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আরো জঘন্য ঘটনা হল নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক নারী নৌকায় ভোট না দেওয়ার ‘অপরাধে’ রাতের অন্ধকারে আওয়ামী লীগের ১০-১২ জন কর্মী তার বাড়ি স্বামী ও চার সন্তানকে বেঁধে রেখে তাকে গণধর্ষন করেছে। সেই নারী এখন নোয়াখালী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৪৭ বছর পূর্ণ হল। আমরা একাত্তরের ভয়াবহতার কথা শুনেছি, শুনেছি পাশবিক নির্যাতনের কথা। তখন ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও দেশীয় বিশ্বাসঘাতক রাজাকার, আলবদর, আল-শামস। তাদের হাতে ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকার হয়েছিল বাংলার মায়েরা-মেয়েরা। আজ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির দাবিদার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে গণধর্ষিত হচ্ছে স্বাধীন দেশের মায়েরা।”
বক্তারা আরো বলেন, “টানা তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় এলেন মুক্তিযুদ্ধের মানসকন্যা শেখ হাসিনা। অথচ দেশের কোন মানুষ আজ নিরাপদ নয়। সংবাদ মাধ্যম, আইন, বিচার, পুলিশ, প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলকে জিম্মি করে রেখেছে সরকার। গত মেয়াদে সেনা ক্যা¤েপ পাওয়া গিয়েছিল তনুর ধর্ষিত লাশ। এর বিচার তো দূরের কথা অপরাধীদের শনাক্তও করতে পারেনি প্রশাসন। শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারের তান্ডবের কথাও আমাদের মনে আছে। এছাড়াও সারা দেশে প্রতিদিন ঘটে চলেছে ধর্ষণ নির্যাতনের ঘটনা, যেগুলোর বেশীরভাগের সাথেই ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা যুক্ত। রাষ্ট্রই যখন নির্যাতক, ধর্ষক ও খুনীর ভূমিকায় থাকে তখন রাষ্ট্রের কাছে দাবী করার কিছুই নেই। তখন সকল শুভবুদ্ধিস¤পন্ন মানুষদের এক হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলাটাই মুক্তির পথ।”

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply