আনোয়ারায় নাটকীয় মোড় নিচ্ছে ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনাটি
সোহেল আনোয়ারা প্রতিনিধি
যতই দিন গড়াচ্ছে ততই নাটকীয় মোড় নিচ্ছে আনোয়ারার আলোচিত সেই ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষন ঘটনাটি। আনোয়ারার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে প্রশাসন নড়ে চড়ে বসে। খোজঁ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার পর পরেই মেয়ের বাবা থানায় মামলা করতে যান,খবর পেয়ে সেখানে ধর্ষকের পরিবার পলাশ নামক জনৈক এক ব্যক্তিকে নিয়ে ছুটে যান, তারা ভিকটিমের বাবাকে হুমকি ধমকি দেন, বদনামের ভয় দেখান এবং টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করার প্রস্তাব দেন। ভিকটিমের বাবা সহজ সরল নিরিহ মানুষ হওয়াতে তাদের হুমকি ধমকিতে ভয় পেয়ে যান। আরো জানা যায় ওই সময় আনোয়ারা থানায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তার ভুমিকাও ছিলো রহস্যজনক। তারা তখন বিষয়টি জেনেও কোন এক অজানা কারণে নীরব ভুমিকা পালন করেছিলো। পরে পলাশ এবং তার দলবল থানার পাশে মন্দিরে গিয়ে ৫০ হাজার টাকায় আপোষের প্রস্তাব দেন। ভিকটিমের বাবা ভয়ে মানসিক চাপে তখন তাদের প্রস্তাব মেনে নিয়ে চলে আসেন। ঘটনাটি এলাকার কিছু সচেতন যুবকের কানে আসলে তারা ভিকটিমের পরিবারের পাশে দাঁড়ান। এবং ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করেন। মুহুর্তেই সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে মামলা নিতে বাধ্য হয় থানা। মামলার সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে খোজঁ নেওয়ার জন্য আনোয়ারা থানায় গেলে কর্তব্যরত এ এস আই সোহেল জানান, মামলাটি র্যাব ৭ এর অধীনে চলে গেছে, র্যাব ৭ এর একটি টিম আসামীদের গ্রেফতারে প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, আশাকরি শীঘ্রই আসামীদের গ্রেফতার করা হবে। তিনি আরো জানান, যারা সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করতে চেয়েছেন তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।