২৯ এপ্রিল ২০২৪ / ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৯:২৯/ সোমবার
এপ্রিল ২৯, ২০২৪ ৯:২৯ অপরাহ্ণ

মৌলভীবাজারে এনডিএফ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

     

 

সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক লড়াই-সংগ্রামের বেগবান করার প্রত্যয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ এর ৩০-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌলভীবাজার এনডিএফ’র উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে ৫ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজার জেলা এনডিএফ’র উদ্যোগে কোর্টরোডস্থ কার্যালয় হতে এক র‌্যালী বের হয়ে চৌমুহনা, টিসি মার্কেট প্রদক্ষিণ করে পুণরায় কার্যালয়ে ফিরে আসে। পরে সন্ধ্যার সময় জেলা এনডিএফ’র সভাপতি কবি শহীদ সাগ্নিকের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এনডিএফ’র জেলা সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি মৌলভীবাজার জেলা কমিটির আহবায়ক ডা. অবনী শর্ম্মা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল, ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদ মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক অমলেশ শর্ম্মা, মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৩০৫ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন মিয়া, মৌলভীবাজার জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং চট্টঃ ২৪৫৩এর সভাপতি মোঃ সোহেল আহমেদ, মোঃ জসিমউদ্দিন প্রমূখ। সভায় বক্তারা বলেন আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বে ভু-রাজনৈতিক ও রণনীতিগত গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রন নিয়ে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা বৃদ্ধির ফলে ক্ষমতা ও গদি নিয়ে কামড়াকামড়ি, খেয়োখেয়ী তীব্রতর হয়ে সংঘাত জনিত পরিস্থিতি বৃদ্ধি পেয়ে অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্যকে বৃদ্ধি করবে। বাংলাদেশের মত নয়া উপনেবিশক দেশের নিয়ন্ত্রক হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ। তাই সাম্রাজ্যবাদের এক দালালের পরিবর্তের আরেক দালাল বা জোট নয়, এক সাম্রাজ্যবাদের পরিবর্তে আরেক সাম্রাজ্যবাদ নয়, সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদ ও আমলা দালাল পুঁজি বিরোধী শ্রমিক কৃষক জনগণের রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে। এ জন্য শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বে শ্রমিক-কৃষকের মৈত্রীর ভিত্তিতে সকল সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী শক্তি এবং শ্রমিক-কৃষক-জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিপ্লবী বিকল্প ধারার লড়াই সংগ্রামকে অগ্রসর করতে হবে।

সভা থেকে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালাল ভারতের সাথে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী সকল চুক্তি বাতিল, গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ, শ্রমিক-কর্মচারিদের জন্য বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে মজুরি নির্ধারণ ও গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়ন, ভূমিহীন দরিদ্র কৃষকের হাতে জমি ও কাজ, কৃষি উৎপাদনের খরচ কমানো এবং ফসলের ন্যায্যমূল্য, সার, ডিজেল. কীটনাশকের দাম কমানোর দাবিতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply