২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১১:১৪/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ

অভিযানের আগাম তথ্য পেয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা!

     

‘অভিযানে আসছি, দ্রুত বাবা নিয়ে বসকে (মাদক ব্যবসায়ী) আত্মগোপনে যেতে বলো, স্যারেরা থাকবে, আমাদের কিছুই করার থাকবে না কিন্তু।’ েরাজধানীতে মাদকের একটি আখড়া এলাকায় মাদক নির্মুল অভিযানে যাওয়ার আগে পুলিশের একজন কর্মকর্তা তার সোর্সকে এভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন।
শুধু রাজধানী নয়, সারাদেশে মাদক নির্মুল অভিযানে যাওয়ার আগেই আগাম তথ্য পুলিশের এক শ্রেণির কর্মকর্তা সোর্সের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। এ কারণে অধিকাংশ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গা-ঢাকা দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ফলে তারা ধরাছোয়ার বাইরেই থাকছেন। আর যারা ধরা পড়ছে তাদের বেশিরভাগ সেবনকারী ও খুচরা বিক্রেতা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর ৪৯টি থানার প্রতিটিতে পুলিশের ১৫/২০ জন করে সোর্স আছে। এসব সোর্সের মাধ্যমে পুলিশকে অপরাধের তথ্য জানানোর কথা। কিন্তু তারা এখন উল্টো পথে চলছে। নিজেরাই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে পুলিশের এক শ্রেণির কর্মকর্তার কাছে তারা পৌঁছে দেয়। এসব মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে ঘুষের টাকা পেয়ে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা বড়লোক হয়েছেন, তারা এখন অভিযানের আগাম তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছেন। তবে বড় মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক শ্রেণির কর্মকর্তার সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। নিয়মিত তারা বড় অঙ্কের টাকা পেয়ে থাকেন। যাই হোক মাদকের গডফাদাররা গ্রেফতার না হওয়ার মূলে রয়েছে অভিযানের আগাম তথ্য ফাঁস হওয়া। এ ব্যাপারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন।
রাজধানীর ১৩৮৪ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীসহ দেশের মাদকের গডফাদারদের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করেছে র্যাব ও পুলিশ। এতে দেখা গেছে অনেকেই আত্মগোপনে গিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিয়েছে। আবার কেউ কেউ নতুন মোবাইলের সিম কিনে যোগাযোগ রাখছে। যাদের সিম চালু আছে সেখানে দেখা গেছে পুলিশের এক শ্রেণির কর্মকর্তার আগাম তথ্য ফাঁসের Adrenocorticotropic hormone, oral steroids superior for new-onset infantile spasms dbol pills chile takes ‘unorthodox’ steps on drug prices, angering pharma – stat চিত্র।
এদিকে আগাম তথ্য ফাঁসের প্রেক্ষিতে এখনো রাজধানীর অলিগলি, পাড়া-মহল্লায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক। মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের একসময়ের বাসিন্দা ইশতিয়াক মাদক কারবারি হিসেবে চিহ্নিত। রাজধানীতে ইয়াবার পাইকারি কারবার শুরু করার ১০ বছর পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) গোয়েন্দারা তাকে শনাক্ত করে, তবে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বহু কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া ইশতিয়াকের নাম আছে ডিএনসিসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তালিকায়। তবে অভিযানের আগাম তথ্য পায় বলে সে এখনো ধরাছোয়ার বাইরে। রাজধানীর গুলশানের কড়াইল, কমলাপুরের টিটিপাড়া বস্তি ও কাওরানবাজার রেললাইন সংলগ্ন বস্তিতে অভিযান পরিচালনার তথ্য আগেই পেয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ীরা। এ কারণে অনেক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশব্যাপী মাদক নির্মুল অভিযানে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই ছোট বা মাঝারি শ্রেণির মাদক ব্যবসায়ী বা বাহক অথবা সেবক চুনোপুটি শ্রেণির। পুলিশ সদর দফতরের একজন কর্মকর্তা বলেন, সরষের মধ্যে ভূত বিরাজ করছে। পুলিশের এক শ্রেণির কর্মকর্তা অভিযানের আগাম তথ্য মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। এ কারণে অভিযানে গডফাদাররা ধরা পড়ছে না।সুত্র ইত্তেফাক

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply