২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১২:৫৯/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ১২:৫৯ অপরাহ্ণ

লামার সরই ইউনিয়নকে থানা প্রশাসন ঘোষণার দাবী জোরদার হচ্ছে

     

লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি
লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নকে উপজেলা করার দাবীতে আন্দোলনে নেমেছে ইউনিয়নবাসী। সম্প্রতি সরই ক্যায়াজুপাড়া বাজারে এক জনসভা করে মানোন্নিত থানা করার দাবী করেন স্থানীয়রা। বক্তারা বলেন, বিগত ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার সরই ইউনিয়নকে থানা বা উপজেলা করার পক্ষে সুপারিশ করে স্থানীয় সরকার বিভাগে একটি গোপন প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। এ সূত্রধরে ২০১৬ সালের শেষদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়’র সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে পূনরায় প্রতিবেদন চেয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট চিঠি আসে। মহল বিশেষ প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন কর্তৃক প্রেরিত ওই প্রতিবেদনটিতে সরইকে বাদ দিয়ে অন্য একটি ইউনিয়নকে থানা করার ষড়যন্ত্র করে চলছে।
আন্দোলনকারীরার বলেন, সরই ইউনিয়নে রয়েছে কোয়ান্টম ফাউন্ডেশন, যা দেখার জন্য দেশ-বিদেশের বহু মানুষ ছুটে আসে। এছাড়া ম্যারেডিয়ান চিপ্স, মোস্তফা গ্রুপ, গাজী গ্রুপ, বিভিন্ন রাবার বাগান মালিকসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করায় এই ইউনিয়নে বছরে ৫ কোটি টাকার রাবার ও ১০ কোটি টাকার ফল উৎপাদন হয়। সামাজিক নিরাপত্তা, যোগাযোগ-ভূ-আয়তন, ভৌগলিক অবস্থান, জনসংখ্যাসহ সব কিছু অনুকুল নিশ্চিত হয়ে সরকারের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ ইতোপূর্বে এই ইউনিয়নকে থানা করার পক্ষে মতামত প্রদান করেন। কিন্তু মহল বিশেষ সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিপরীতে অন্য একটি ইউনিয়নকে থানা করার জন্য লবিং তদবির করে চলছে। বক্তারা বলেন, পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর-এর হাতদিয়ে এ্ই ইউনিয়নে ব্যপক উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। তারই সু-যোগ্য নেতৃত্বে টংকাবতি ইউনিয়ন নিয়ে সরই’কে থানা/উপজেলা করা হবে। কোন ষড়যন্ত্র সরই ইউনিয়নকে থানা প্রশাসন ও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করতে পারবেনা।
সরই ইউনিয়নকে উপজেলা বা থানা ঘোষণা না করা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা; তাদের দাবী আদায়ে ‘সরই থানা’ বাস্তবায়ন ও উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ-এর নেতৃত্বে ইইনয়নের নারী-পুরুষ নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। থানা বাস্তবায়ন কমিটিরি আহবায়ক প্রভাষক আল আমিন ও আওয়ামীলীগ নেতা আ: রহিম মাস্টার।
প্রসঙ্গত : ১৯৮২ ইং সালের ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারের ‘থানা প্রশাসন পূণর্বিন্যাস অধ্যাদেশ ১৯৮২’ এর অনুবলে প্রশাসন বিকেন্দ্রিকরণ করেন।
সে সাথে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে গণমুখী করতে বেশ কয়েকটি নতুন এলাকাকে থানায় রপান্তরিত করেন। এর মধ্যে লামা মহকুমাধিন গজালিয়া, আলীকদম ও বাইশারী ইউনিয়নকে থানা করা হয়। একই সময় লামা মহকুমাকে জেলা করেন। এর কিছুদনি পর আলীকদমকে থানা বহাল রেখে বাকী দু’টি থানা ও লামা জেলা স্থগিত করেদেন সরকার।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply