২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৫:৩৯/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ৫:৩৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতা নুরুর দাফন সম্পন্ন

     

আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে জানাজা শেষে নুরুল আলমকে মিসকিন শাহ্ মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়। নুরুর বাড়ি রাউজানের গুজরা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের কমলার দিঘীর পাড় এলাকায়।

রাউজান থানার ওসি মো. কেফায়েত উল্লাহ বলেন, “নিহতের পরিবার হয়তো মরদেহের দাফন নিয়ে ব্যস্ত আছেন। তাই পরিবারের কেউ এখনও মামলা করতে আসেননি। তবে তারা মামলা না করলে পুলিশ বাদি হয়ে করবে। ”
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে নুরুল আলমের মরদেহ নিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে ভিড় করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টায় মর্গ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এ সময় মর্গে লাশ দেখতে আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. ফাওয়াজ হোসেন শুভ, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসক নেতা ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী প্রমুখ।

এ সময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “অমানবিক এ হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক পরিবেশকে কলুষিত করেছে। যা কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। বিএনপি হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি দিয়ে বিএনপি হত্যার রাজনীতি মোকাবেলা করবে। ”
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “ছাত্রদল নেতা নুরুকে নগর এলাকা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। তাই এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা জড়িত তা বের করা সিএমপির দায়িত্ব। তৃণমূল থেকে উঠে আসা ত্যাগী ছাত্রনেতা ছিলেন নুর। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা ছাড়া অন্য কোনো মামলা নেই। ”

প্রসঙ্গত গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর কাতালগঞ্জ এলাকার বাসা থেকে নুরুল আলম নুরুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরের রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়া গ্রামের খেলাঘাট এলাকায় উপুড় হওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত লাশের মাথায় গুলির ও সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। তার হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা, পরনে ছিল লুঙ্গি। চোখ বাধা ছিল শার্ট দিয়ে। মুখের ভেতর ওড়না ঢোকানো পাওয়া গেছে বলে সেদিন পুলিশ জানিয়েছিল।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply