কর্ণফুলীতে বর্তমান মেম্বারের সন্ত্রাসী হামলায় সাবেক মেম্বার সিরাজুল ইসলাম সহ আহত-১০জন
কর্নফুলী প্রতিনিধি
গতকাল রাত্র আনুমানিক সাড়ে ৮টা হতে ৯টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার ডাঙ্গার চর ইউনিয়নের (ঘাটঘর) এলাকায় কর্ণফুলী এন্টারপ্রাইজে বসে সাউদ আফ্রিকার সাথে বাংলাদেশে টিমের ক্রিকেট খেলা দেখার সময় এলাকার বর্তমান ইউপি মেম্বার বদিউল আলম বদি’র নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় সাবেক মেম্বার ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম হৃদয় সহ ১০জন কে মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে চমেক হাসপাতালের জুরুরী র্ভতি আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে দুই জনেই বর্তমান (আওয়ামী লীগ) সরকার সমর্থিত এবং একই ইউপি’র বাসিন্দা।পূর্ব থেকেই দুই জনের মধ্যে ব্যাপক মনোমালিন্য ছিল। এবং বিগত ইউপি নির্বাচনে বদির কাছে হৃদয় সামন্য ভোটের ব্যবধানে হেরে ছিলেন। হামলায় আহত কর্ণফুলী এন্টারপ্রাইজের সাঃ সম্পাদক মোঃ আব্বাস বলেন, পূর্ব থেকেই বর্তমান মেম্বার বদি এলাকায় অবৈধ ও চোরাকারবারী ব্যবসা সহ নদী পথে অনৈতিক ব্যবসার জন্য ঘাটঘরের আধিপত্যবিস্তার নিতে চান।আমরা স্বদল বলে প্রতিরোধ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এই হামলা করেন। তিনি আঃলীগ বা যুবলীগের কেউ নহে মূলত দলের নাম ভাঙ্গিয়া এলাকায় আধিপত্যবিস্তার করতেই লোকমান,ফোরখান,হারুণ,ওসমান,বাবুল,জয়নাল,তালেব সহ আরো ৮/৯জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের ব্যবসায়ীক অফিসে হামলা চালান।
এই ঘটনায় সিরাজুল ইসলাম হৃদয়,মোঃ আব্বাস উদ্দিন,আনসার আলী,হাফেজ আহম্মদ,মনির,সাদ্দাম,মাহবুব,রহমান,খোকন ,শাহবুদ্দিন আহত হন। রাতেই আহতদের চমেকের জরুরী বিভাগের ২৬নং ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান নিকট আত্মীয়রা। ঘটনার পরেই রাতে সাড়ে ১০টার দিকে কর্ণফুলী থানা পুলিশ’র এস আই রেজাউল করিম(রেজা)র নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থ পরিদর্শন করে আহতের আত্মীয়-স্বজন কে শান্ত থাকতে অনুরোধ এবং কঠোর আইনী শাস্তির আশ্বস্ত করেন।
এই বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম(রফিক) কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান,দোষী বদি মেম্বার যদি সত্যিই দোষ করে থাকেন তাইলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে রাতেও পুলিশ কে বলেছি আর এখন আপনাদের সংবাদ মাধ্যমে জানাচ্ছি। সেই আমার পরিষদের মেম্বার হলে অন্যায় করলে কোন ছাড় নেই ।তবে মনে হচ্ছে তাদের মথ্যে কোন ব্যক্তিগত ব্যবসায়ীক দন্ধের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে।আমি রাতেই পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেছি।এখানে বেশ কিছু ভাঙ্গচুর হবার কথা এলাকাবাসী মারফতে জেনেছি।
ইউনিয়ন আঃলীগ সভাপতি হাজী আমীর আহম্মদ বলেন, তারা দুইজনেই আমাদের দলের লোক এবং একজন সাবেক মেম্বার আর অভিযুক্ত বদি বর্তমান মেম্বার । বেশ কয়েকভার তাদের সাথে ব্যবসার জন্য ঘাটঘরের আধিপত্যবিস্তার কে কেন্দ্র বাক প্রতিবাদ হলে আমরা মিমাংশা করেছি। আর এই ঘটনাটি সেই ব্যবসাকে কেন্দ্র ঘটেছে বলে এলাকার স্থায়ী লোকদের মাধ্যমে জেনেছি।তবে এটি আঃলীগ বা সরকার দলের কোন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নাই।এছাড়া এলাকার শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে এই ধরনের সন্ত্রাসী হামলায় দোষীদের বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ নিতে ওসি কর্নফলী কে অনুরোধ জানিয়েছি।
আহত আনসার আলীর ছেলে বলেন,অভিযুক্ত বাবুল ও বদির গং তার পরিবার কে আজ বৃহস্পতিবার সকালে হুমকি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা করেছেন বলে শাসিয়ে দেন।ঘটনাস্থলে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং ঘাটঘর এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোকায়েন রয়েছে বলে কর্ণফুলি থানার ডিউটি অফিসার সংবাদ মাধ্যম কে জানান।
