২৭ এপ্রিল ২০২৪ / ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ২:১৯/ শনিবার
এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ২:১৯ পূর্বাহ্ণ

কুড়িগ্রামে এগিয়ে চলছে ২য় ধরলা সেতু নির্মাণ কাজ সুবিধা পাবে স্থলবন্দরসহ ৩ উপজেলার মানুষ

     

 

সাইফুর রহমান শামীম
কুড়িগ্রামের ফলুবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের কুলাঘাট এলাকায় এগিয়ে চলছে দ্বিতীয় ধরলা পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের কাজ। লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলা লাগোয়া ১৯১ কোটি ৭৬ লাখ ৬৩ হাজার ২শ ২৩ টাকা ব্যায়ে ৯৫০ মিটার দীর্ঘ ও ৯.৮ মিটার প্রস্ত এ সেতুর কাজ করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিমপ্লেক্স নাভানা জেভি। ২০১৪ সালের মে মাস থেকে ২৬ মাসের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করার কথা থাকলেও সময় বাড়ানো হয়েছে আরো ১ বছর। এ হিসেবে কাজ শেষ হবে ২০১৭ সালের জুন মাসে। এ পর্যন্ত ৪০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। সেতুটি বাস্তবায়নে কাজ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের ফুলবাড়ী উপজেলার প্রকৌশলী শামছুল আরেফিন খান জানান, মূল সেতু নির্মাণে ব্যায় ধরা হয়েছে ১৩৩ কোটি ৭২ লাখ ৫৬ হাজার ৯শ ৬ টাকা। এছাড়া ফুলবাড়ী অংশে সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যায় ৪ কোটি ৭৬ লাখ ১ হাজার ৮শ ১৫ টাকা ও লালমনিরহাট অংশে ৮ কোটি ৮৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩শ ৫২ টাকা। নদী শাসনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ও সেতু বিদ্যুতায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫ লাখ ৭২ হাজার ১শ ৫০ টাকা। এই সেতুতে স্পানের সংখ্যা ১৯ টি ও পিলারের সংখ্যা ১৮ টি।
সেতুটি নির্মিত হলে সুবিধা পাবে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার প্রায় ৭ লাখ মানুষ ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার মানুষ। এ চার উপজেলার মানুষের দ্রুত জাতায়াতের সুবিধাসহ প্রসার ঘটবে ব্যবসা বাণিজ্যের।
ফুলবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা ইউনুছ আলী আনন্দ জানান, সেতুটি নির্মিত হলে ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার মানুষের লালমনিরহাট, রংপুর কিংবা ঢাকার সাথে যোগোযোগের দুই ঘন্টা সময় বেঁচে যাবে। নৌকায় করে নদী পার হতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এতে করে এ অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দ্রুত চিকিৎসা সেবা ও ব্যবসায়ী সাফল্য থেকে বঞ্চিত ছিল। সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ হলে সকল ক্ষেত্রেই সুবিধা ভোগ করবে মানুষজন।
ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজির হোসেন বলেন, এ তিন উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রানের দাবী দ্বিতীয় ধরলা সেতু নির্মিত হচ্ছে। সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ হলে অবহেলিত এ জনপদের মানুষের দুঃখ দুর্দশা কেটে যাবে। দীর্ঘ পথ ঘুরে আর রংপুর ও ঢাকায় যেতে হবে না। ব্যবসায়ীরা দ্বিতীয় ধরলা সেতু দিয়েই তাদের মালামাল আনা-নেয়া করতে পারবে।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরী জানান, সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ হলে দেশের সীমান্ত ঘেষা জেলার ভারতের সীমান্ত লাগোয়া তিন উপজেলার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটবে। পাশাপাশি বঙ্গসোনাহাট স্থল বন্দর থেকে খুব সহজেই কয়লা পাথরসহ অন্যান্য পন্য সামগ্রী দেশের যেকোন প্রান্তে পাঠাতে পারবে এখানকার ব্যবসায়ীরা। এতে করে খরচ অনেকটাই কমে যাবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী শামছুল আরেফিন খান জানান, সেতু নির্মাণে ভুমি অধিগ্রহন ও বন্যার কারনে অনেক সময় কাজ বন্ধ ছিল। এজন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের আবেদনের ভিত্তিতে কাজ শেষ করার সময় সীমা এক বছর বাড়ানো হয়েছে।
সেতু বাস্তবায়নকারী স্থানীয় সরকার বিভাগ কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রুহুল আমিন জানান, দ্বিতীয় ধরলা সেতু নির্মাণ কাজের প্রায় ৪০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পাইলিং ও পিলার নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হবে।

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply