নিজেস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সমন্বয়ে ৫ মার্চ( বুধবার ) বন্দর নগরীতে বাজারে নিয়মিত তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
সাকসেস অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর বোতলজাতকরণ কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, ৯০০মি.লি. এর বোতলে ৮২০/৮৩০ মি.লি. সুপার পাম তেল দিচ্ছে কিন্তু বোতলের লেভেলে ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল এর বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এবং লিটার হিসেবে তারা প্রতি লিটার ২২৫ টাকা দরে বাজারজাত করছে। এছাড়াও মেয়াদ উত্তীর্ণ ভিটামিন এ সহ বিভিন্ন মেয়াদ উত্তীর্ণ ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করছে। এ সমস্ত কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এবং সাময়িক সময়ের জন্য প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে মোরক জাত কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কাজীর হাট এলাকায় অবস্থিত মেসার্স আল্লাহর দান স্টোরে ক্রেতার কাছে অধিক মূল্যে খোলা সুপার তেল বিক্রয় করা ও বোতলজাত সয়াবিন তেল লুকিয়ে রাখার কারণে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
একই এলাকায় মেসার্স মালতি স্টোরে অধিক মুল্যে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করায় ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
উক্ত এলাকার মেসার্স বিসমিল্লাহ স্টোরে সুপার পাম তেল নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে (১৯০ টাকা / লিটার) বিক্রি করায় ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
একই অপরাধে উক্ত এলাকায় মেসার্স স্টোরে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
আজকের অভিযানে ৫টি প্রতিষ্ঠানে মোট ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ এবং তা আদায় করে ভবিষ্যতে যেন এহেন অপরাধ সংগঠিত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
অভিযান পরিচালনায় ছিলেন ফয়েজ উল্যাহ (উপ-পরিচালক), আনিছুর রহমান (সহকারী পরিচালক), রানা দেবনাথ (সহকারী পরিচালক), মাহমুদা আক্তার (সহকারী পরিচালক) এবং মোঃ আফতাবুজ্জামান (ক্যামেরাম্যান)।
জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।