২ মে ২০২৪ / ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ভোর ৫:২২/ বৃহস্পতিবার
মে ২, ২০২৪ ৫:২২ পূর্বাহ্ণ

তিন থানায় এক কুদ্দুস : পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও ও সদরঘাট থানার ক্যাশিয়ার পরিচয়ে চাঁদাবাজি  

     

 

বিশেষ প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকা থেকে গাছ বহনকারী ট্রাক চট্টগ্রাম শহর দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার পথে শহর এলাকায় নামধারী কিছু সোর্স, পুলিশ ও ডিবি পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করার গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছে।একইভাবে বনবিভাগের লোকজনও চাঁদা নিয়ে থাকেন।

ভোলা সদরের আব্দুল কুদ্দুস চট্টগ্রাম শহরের বাঁশ এবং গাছের গাড়ি থেকে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের নাম ভাঙিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা সাধারণ চালক এবং কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে যখন নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকা দিয়ে বাঁশ এবং গাছের ট্রাক, মিনি ট্রাক চলাচল করে বায়েজিদ বোস্তামী থানা থেকে শুরু করে নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকায় ডিবি পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে আব্দুল কুদ্দুস নামের পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও ও সদরঘাট থানা ক্যাশিয়ার খ্যাত চাঁদাবাজের কাছ থেকে গাছের ট্রাকের চালকদের কাছ থেকে প্রতি গাড়ি ৫০০-১৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। গাছ বহনকারী ট্রাকের চালকরা যদি সোর্স আব্দুল কুদ্দুসের কথা মত চাঁদা দিতে অস্বীকার করে তাহলে গাছের ব্যবসায়ীদেরকেও গুনতে হয় অনেক লোকসানের বোঝা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন গাছের গাড়ির চালক বলেন, আমরা যখন কোন বিপদে পড়ি তখন পুলিশের কাছে যাই। কিন্তু যেখানে পুলিশ নিজেরাই চাঁদাবাজির মহােৎসবে যোগ দিয়েছে সেখানে অভিযোগের সমস্যা থেকে পরিত্রাণের কোন সুযোগ নেই। চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সড়ক মহাসড়কে যত্রতত্র পুলিশের বিশেষ চেকিং আর মাসোহারা আদায়ের প্রতিযোগিতা বন্ধের সাধ্য যেন কারো নেই। অভিযোগ আছে চট্টগ্রামের একপাশ থেকে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে যেতে ট্রাক প্রতি ৫০০-৮০০ টাকা গুনতে হয়। পুলিশের টোকেন বাণিজ্যও চলে সমান তালে। আবার তারই মধ্যে থানা ও ডিবি পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে আব্দুল কুদ্দুস নামের পাঁচলাইশ, চাঁদগাও ও সদরঘাট থানা ও ডিবি পুলিশের ক্যাশিয়ার পরিচয়ে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে যাচ্ছে। এটা আমাদের উপরে প্রতিনিয়ত জুলুম করা হচ্ছে, পুলিশের পাশাপাশি বিশেষ করে পাঁচলাইশ থানা ক্যাশিয়ার পরিচয়ে আব্দুল কুদ্দুসের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ।

এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানা ক্যাশিয়ার খ্যাত আব্দুল কুদ্দুসের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে যেভাবে বাড়িয়ে বলা হচ্ছে ঠিক আমি তেমনটা না। ২০১৩ সাল থেকে আমি এগুলো সব বন্ধ করে দিয়েছি। আমাকে ছোট করার জন্য একটি চক্র আমার বিষয়ে এ কথাগুলো বলে বেড়াচ্ছে।

আব্দুল কুদ্দুস সম্পর্কে ডিবি উত্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, এ নামের কাউকে আমি চিনি না এবং ডিবি পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে যে কেউ চাঁদাবাজি করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কুদ্দুস সম্পর্কে আরো বলেন, আমার থানা এলাকায় এ নামের কোন ক্যাশিয়ার নেই সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply