২৮ এপ্রিল ২০২৪ / ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:১৭/ রবিবার
এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ৪:১৭ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে রাতারাতি জোর পূর্বক জায়গা দখলের সাইন বোর্ড

     

নিজস্ব প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম নগরীর বিবিরহাট এলাকায় দীর্ঘদিনের বিরোধপূর্ণ জায়গার রায় বিপক্ষে যাওয়ার পর জোর পূর্বক জায়গাটিতে দখলের চেষ্টার সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জোর পূর্বক সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করেছে। যে কোন সময় বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
জোর পূর্বক জায়গা দখলের ঘটনায় মোহাম্মদ জাহেদ, মো. ইদ্রিস, মো. ইলিয়াছ. মির্জা আহমদসহ ২০/৩০ জনের বিরুদ্ধে গত ২৩ ডিসেম্বর জসিম উদ্দীন লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছে। সন্ত্রাসী দিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টার ঘটনায় সিএমপি কমিশনার এবং পাঁচলাইশ থানায়ও অভিযোগ করা হয়েছে। পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জোর পুর্বক তোলা সাইন
বোর্ডটি নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে বলে অফিসার ইনচার্জং জাহেদুল কবির জানিয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় মো. ইউসুফ ও আইয়ুব আলীসহ কয়েকজন মিলে নগরীর ষোলশহর এলাকায় জায়গাটি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ইউসুফের মৃত্যু হলে তার ছেলে জসিম উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক হয়। উক্ত জায়গাতে তাজমহল কমিউনিটি সেন্টার নামে প্রায় ২৫/৩০ বছর ধরে পরিচালনা করে আসছে। কমিউনিটি সেন্টারটি সংস্কার করাতে সিডিএ থেকে ৬ তলার প্ল্যানও অনুমোদন নেন। ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলে হলে মৃত আইয়ুব আলীর স্ত্রী জোহরা বেগম ২০১৮ সালের ১৪৫ ধারায় আদালতে একটি মামলা করেন।
মামলাটিতে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ২০১৯ সালে আদালতে বাস্তব চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে মৃত ইউসুফের পরিবার উত্তরাধিকার সূত্রে ও ক্রয় সূত্রে মালিক এবং দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখলে থাকার বিয়ষটি তুলে ধরেন।
প্রতিবেদনে জোহরা বেগমের পরিবার জসিমের পরিবারের শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে হস্তক্ষেপ করলে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ধিসঢ়;নত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। পুলিশের প্রতিবেদনটি আদালতে প্রেরণের একদিন পর ১৯ নভেম্বর জোহরার ছেলে জাহেদ বাদী হয়ে একই ধারায় একই আদালতে পূর্বে তার মায়ের করা একই তপশীলে বর্ণিত বিষয়ে মিথ্যা হলফনামার মাধ্যমে আরেকটি মিছ মামলা করেন। এরপর প্রথম মামলার বাদী জোহরা বেগম আদালত থেকে ২০২০ সালে করা মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন। দাবিকৃত জায়গা তাদের প্রমান করতে না পারায় জসিমের পক্ষে রায় দেন এডিএম কোর্ট।

এদিকে তার ছেলে জাহেদের করা মামলাটিতে সরেজমিন তদন্ত করে বাস্তব প্রতিবেদন দেন ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির আদালতে চান্দগাঁও সার্কেল ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার নাজমুল হাসান। এই প্রতিবেদনের বিপক্ষে বাদী জাহেদ নারাজি আবেদন করলে, চান্দগাঁও সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কমিশনারকে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। এরপর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামনুন আহমেদ অনীক মামলার বাদী জাহেদ ও তার পরিবার বিরোধপূর্ণ জমিটি দখলে আছেন মর্মে বিভ্রান্তিমূলক আদালতে রিপোর্ট দেন। ৩টি প্রতিবেদন আদালত পর্যালোচনার পর উভয় পক্ষকে নিজ নিজ প্রাপ্য অংশে শন্তিপূর্ণভাবে বসবাসের নির্দেশ দেন এবং মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। প্রতিবেদন দেয়ার আগে ১২ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছিল। মো. জসিম জানান, জায়গাটির মালিকানা ও দখলের সব ধরণের কাগজ পত্র দেখানোর পরও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনগড়া আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। উক্ত প্রতিবেদন দেয়ার ঘটনায় এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১২ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবীর বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগও করা হয়েছে। মিথ্যা প্রতিবেদন দেয়ার কিছুদিনের মাথায় বিরোধীয় জায়গাটিতে বর্তমানে জোহরা বেগম ও তার সন্তানদের মালিকানার সাইনবোর্ড ঝুুলিয়ে দখলের চেষ্টা চালায়। জোর পূর্বক সাইন বোর্ড লাগিয়ে জায়গা দখলের প্রসঙ্গে জাহেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, তার বাবার মৃত্যুর পর জসিম জায়গাটি বুঝিয়ে না দিয়ে নানাভাবে জবর দখল করে রেথেছে বলে অভিযোগ করেন। প্রতিবেদন পক্ষে আসার পর সাইন বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলর মোবারক আলী জানান, জায়গাটি নিয়ে বিরোধ চলছে বলে শুনছি, তবে কমিউনিটি সেন্টারটি দীর্ঘদিন ধরে জসিম পরিচালনা করে আসছে অনেকে জায়গাটি জসিমের বলে জানে এর মধ্যে তাদের কি সমস্যা হয়েছে বিস্তারিত জানে না বলে তারা জানান।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply