সয়াবিনের রেকর্ড মূল্যের বছর
চলতি বছর চালের পাশাপাশি, শাকসবজির দাম ছিল বেশ চড়া। গরিবের কম দামের যে মাংস সেই ‘ব্রয়লার মুরগি’র দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশের বেশি। করোনা মহামারির প্রকোপ অনেকটা কমে আসলেও অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনেকে ঠিকমতো বেতনভাতা পাচ্ছেন না। ফলে তারা সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেয়েছেন। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাক থেকে কম দামে নিত্যপণ্য কিনতে সাধারণ মানুষের দীর্ঘ লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো।
চালের বাড়তি দরেই শেষ হলো বছর : চলতি বছর সরু চাল নাজিরশাইল/মিনিকেটের দাম সর্বোচ্চ ৬৮ টাকায় উঠেছে। আর মোটা চাল ইরি/স্বর্ণার দাম ৫২ টাকায় উঠেছে। এ দুটি দামই সরকারের সংস্থা টিসিবির হিসেবে। যদিও চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণে খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে বলে কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। সরকারের তথ্য মতে, এ বছর বোরো চাল উৎপাদন হয়েছে ২ কোটি টনের বেশি, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। একই সময়ে মোট চাল উৎপাদিত হয়েছে ৩ কোটি ৮৬ লাখ টন, গম ১২ লাখ টন, ভুট্টা প্রায় ৫৭ লাখ টন, আলু ১ কোটি ৬ লাখ টন, শাকসবজি ১ কোটি ৯৭ লাখ টন, পেঁয়াজ ৩৩ লাখ টন, তেলজাতীয় ফসল ১২ লাখ টন ও ডালজাতীয় ফসল ৯ লাখ টন। সব মিলে দেশের এ বছর মোট খাদ্যশস্যের উৎপাদন দাঁড়িয়েছিল ৪ কোটি ৫৩ লাখ টনে। উৎপাদন বেড়েছে সার্বিকভাবে গড়ে ৩ শতাংশ হারে। কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় উৎপাদন বৃদ্ধির সুবিধা পায়নি ভোক্তারা। বছরের মাঝামাঝিতে চালের বাজার এতটাই অস্হির হয়ে ওঠে যে, সরকার চাল আমদানি শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনে। মূলত বছরের শুরুতে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের মজুত খাদ্যশস্যের পরিমাণ বেশ কমে যায়। ফলে দ্রুত চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।সবটুকু জানতে ক্লিক করুন