১ মে ২০২৪ / ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৬:৪৭/ বুধবার
মে ১, ২০২৪ ৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানে নিরাপত্তা চৌকির নির্ধারিত স্থান দখলের চেষ্টা বিজিবি কর্তৃক উদ্ধার

     

মো:কামরুজ্জামান: লামা(বান্দরবান)
বান্দরবানের লামা উপলজেলার দুর্গম এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা চৌকির নির্ধারিত স্থান দখলের চেষ্টা করেছে একদল দুর্বৃত্তরা।
 লামার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম গয়ালমারা গ্রামে গত ১২ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে। ঐ সময় সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর কোন টিম উপস্থিত ছিলো না।
ওই সময় স্থানীয়রা বিষয়টি লামার ত্রি-ডেবা বিজিবি ক্যাম্পে অবগত করলে, বিজিবি সদস্য সেখানে দ্রুত উপস্থিত হয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
গ্রামবাসী জানায়, লামায় পাহাড়ের গহীনে দুর্গম জনবিচ্ছিন্ন এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় গলায়মারা গ্রাম একটা সময় বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর আস্তানায় পরিণত হয়েছিলো।
কিন্তু সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর নিজস্ব  কোন পাহারা চৌকি ছিলনা। এর ফলে নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে বেশি সময় অবস্থান করতে পারতো না।
পরিস্থিতি বিবেচনায় গ্রামের জন-নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয় মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মাদ্রাসা তাদের নিজস্ব ক্রয়কৃত জমিতে ২০১৫ সালে একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়।
ওই ঘরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বছরে বিভিন্ন সময় ক্যাম্প স্থাপন করে।
 এবং বছরে ২-৩ বার ১০-১২ দিন সেখানে অবস্থান করে গ্রামবাসীর নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করেন।
 নিরাপত্তা বাহিনী নিজ উদ্যোগে সেই বাড়িতে “নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য নির্ধারিত স্থান” লিখিত একটি সাইনবোর্ডও লাগায়।
 এছাড়া এর পাশেই রয়েছে সেনাবাহিনীর তৎকালীন জোন কমান্ডার ‘সাঙ্গু দুর্বার মৈত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয় নামক একটি স্কুলপ্রতিষ্ঠা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প ও স্কুল স্থাপনের পর ঐ এলাকায় সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ব হ্রাস পায় এবং এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসে।
সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর অস্থায়ী চৌকি ও স্কুল নির্মানের বিষয়টি স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসী অপরাধী চক্রগুলো ভালোভাবে মেনে নেয়নি।
বহিরাগত দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন সময় ওই স্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান ও আসা-যাওয়াকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রমূলক চেষ্টা করেছে। যার অংশ হিসেবে গত শুক্রবারের ঘটনাটি ঘটে।
গয়ালমারা গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান সংবাদ কর্মিরা। গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মুহম্মদ নুরুল আযিম ও মুহম্মদ রিদওয়ান জানান, গত ১২ নভেম্বর সন্ধা নামার পর বহিরাগত সন্ত্রাসী ও ভূমি দস্যুদের নেতা জিন্নাত আলী কুতুবী ওরফে আলু গোলা ৪০-৫০ জন সশস্ত্র অপরিচিত লোক নিয়ে গ্রামের প্রবেশ করে।
 সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীর নির্ধারিত চৌকি ওই ঘরটি দখল করে নেয়। ঐ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর কোন দল সেখানে ছিলো না। পরিস্থিতি খারাপ দেখে স্থানীয়রা সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে পার্শ্ববর্তী ত্রি-ডেবা বিজিবি ক্যাম্পে অবহিত করে।
এতে বিজিবি ক্যাম্প থেকে একটি টহল দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে জিন্নাত আলী কুতুবী ওরফে আলু গোলা তার সন্ত্রাসী দল নিয়ে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
দীর্ঘদিন ধরে কুতুবদিয়ার এই সন্ত্রাসী চক্রটি প্রতারক, ভূমি দস্যু, মিথ্যা আইনজীবি, ডাক্তার, রাজনৈতিক নেতা ইত্যাদি পরিচয়দানকারী জিন্নাত আলীর অত্যাচার থেকে রেহায় প্রার্থনা করছেন দূর্গমের বাসিন্দারা।
বিষয়টির প্রতি লামা উপজেলা ও বান্দরবান জেলা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তা ব্যাক্তিরা নজর দেয়া উচিৎ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply