ধুলোর রাজ্যে এখন পতেঙ্গা
মোঃ শাহিন
চট্টগ্রাম নগরীর অসহনীয় যানজট নিরসনে লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেস । ইপিজেড পতেঙ্গা এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসের কাজ চলছে, সড়কের একটি বড় অংশ ঘেরাও করার ফলে সড়কটি গিয়ে ঠেকেছে ৮ থেকে ১০ ফুটে ।তার ওপর সড়কের মাঝখানের বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো সরানো না গেলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে প্রাণহানির মত বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সিমেণ্ট ক্রসিং, নারিকেল তলা, স্টিলমিল বাজার, জিএম গেট ও কাঠগর বাজার এলাকায় সড়কের মাঝখানে রয়েছে একাধিক বৈদ্যুতিক খুঁটি। প্রত্যেকটি বৈদ্যুতিক খুঁটিই খুবই বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে ।এই জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স হালিশহর ও নিউমুরিং বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃপক্ষকে এই অবহেলার জন্য দায়ী করছেন এলাকাবাসী।
বুধবার ১৪ অক্টোবর বেলা ১২ টায় ইপিজেড পতেঙ্গা এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সড়কের উপর থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটি গুলো সরানোর বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কোন আগ্রহই নেই অথচ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ভিআইপি সড়কের মাইলের মাথা থেকে শুরু করে সিমেণ্ট ক্রসিং পর্যন্ত সড়ক ঘেরাও করে এলিভেটেড এক্সপ্রেস এর চলমান প্রকল্পের কারণে বর্তমান সড়কটি গিয়ে ঠেকেছে ৮ থেকে ১০ ফুটে। এই সড়কের মাঝখানে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো আরেক বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এখানকার ফুটপাত ও হকারদের দখলে ফলে দীর্ঘ যানজটের পাশাপাশি বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলাচল করে ভারী যানবাহন, কভার ভ্যান, লোরি সহ বাস-ট্রাক, টমটম ও রিকশা।
মুহাম্মদ আব্দুল খালেক নামের এক পথচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স এর কাজ একেবারে অপরিকল্পিত সড়কের একপাশ মেরামত করলেও অন্যপাশের কোন খবর নেই। সড়কজুড়ে ভাঙ্গা ও বড় বড় গর্তের কারণে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। ধুলোর রাজ্যে পরিণত হয়েছে পতেঙ্গা এলাকা ।পতেঙ্গা বাঁশি ভাঙ্গা সড়ক ও যানজটসহ নানান কারণে অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সড়ক থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ করা না গেলে দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।