কুরআন সুন্নাহ মাল্টিমিডিয়া ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা দেয়ার ক্ষেত্রে ইসলামী স্কালারদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও শীর্ষ আলেমে দ্বীন প্রিন্সিপাল মাওলানা যাইনুল আবেদীন বলেন: জাতীকে সঠিক গাইড লাইন দেয়ার দায়িত্ব ইসলামীক স্কলারদের। ইসলামের দুশমনদের খপ্পরে পা দিয়ে পারস্পারিক ইখলিতাফ করা খুবই দুঃখজনক। সকল মাকতাব, দরবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া কঠিন বটে, তবে দ্বীনি স্বার্থে ইসলামের সঠিক বিধান প্রচারের ক্ষেত্রে অভিন্নমতে দাওয়াত প্রচার সময়ের অপরিহার্য দাবী। আজ সকাল ৯টায় ঢাকা বিজয়নগরস্থ একটি অডিটোরিয়ামে বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও ইসলামী স্কলারদের “মতবিরোধপূর্ণ বিষয়ে ইসলামী স্কলারদের কাঙ্খিত ভূমিকা” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
হাফেজ মাওলানা লুৎফর রহমান ফারুকীর(উপস্থাপক এন, টিভি) সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, প্রিন্সিপাল আনোয়ার হোসাইন মোল্লা, কে. এম আব্দুস সোবহান, হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ বকসি, মাওলানা কাজী জালাল উদ্দীন, মীরের সরাই পীর মাওলানা আব্দুল মোমেন নাসেরী, মাওলানা নাসির উদ্দীন হেলালী, মুহাদ্দিস আমিরুল ইসলাম বিলালী, মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, শায়খ আরিফুর রহমান, মাওলানা আব্দুর রহমান আজাদী, মাওলানা আব্দুর রব, অধ্যক্ষ মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, গাজী আবুল কাশেম, সাদেকুর রহমান আজহারী, মাওলানা ফখরুদ্দীন, অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, মুফতি তাজুল ইসলাম কাওসার, মুহাদ্দিস আবুল হাসান, অধ্যাপক মাওলানা নুরুল আমীন, মুফতী মোঃ মিজানুর রহমান, মাওলানা হাফেজ কাজী মারুফ বিল্লাহ, নাসির ইকবাল বিন শাফী প্রমুখ বিভিন্ন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব পরামর্শমূলক বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি বলেন এদেশে যতবারই ঐক্য প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে ততবারই বিভক্তি আরো বাড়ছে। এব্যাপারে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। সমাজ সংস্কার ও সমাজ উন্নয়নে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার অনেক সুযোগ রয়েছে। এসুযোগ সঠিকভাবে কাজে না লাগালে থেমিস দেবী বসানোর মতো আমাদেরকে ধর্মহীন ও বেদ্বীন বানানোর চক্রান্ত ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন বিভিন্ন চ্যানেলে আমাদের ইসলামী স্কলারদের বিভেদ পূর্ণ বক্তব্যে সরল প্রাণ মুসলিম সমাজ সংশয়ে পড়ছেন। তাই আমাদেরকে মুস্তাহাব নফল কোনো বিষয়ে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও ইখতেলাফ সৃষ্টি মোটেই কাম্য নয়। শিরক, বিদআত উচ্ছেদ করতে হলে দ্বীনের সহীহ দাওয়াত দেওয়ার পাশাপাশি ইস্তেলাফি মাসআলা-মাসায়েল এড়িয়ে চলা জরুরী। সকল মারকার্য, মাকতাবের প্রতি পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ একান্ত জরুরী।
প্রিন্সিপাল আনোয়ার হোসাইন মোল্লা বলেন সকল উলামায়ে কেরাম অভিন্ন আওয়াজ না তুলতে পারলে বাতিল আমাদেরকে পেয়ে বসবে।
মাওলানা কে. এম আব্দুস সোবহান বলেন আমাদের পারস্পারিক বিরোধ, বিভেদ ও হিংষাত্মক মনোভাবের কারণে ইসলামের শত্রুরা দেশকে ধর্মহীন করার নানামুখি চক্রান্ত, আয়োজন করতে সাহস পাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রায় ১০০জন বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবি উপস্থিত ছিলেন। সকলকে তহাবী শরীফ হাদিয়া দেয়া হয় ও ইফতারীর প্যাকেট দেয়া হয়।