৩০ এপ্রিল ২০২৪ / ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৭:৫০/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ৩০, ২০২৪ ৭:৫০ অপরাহ্ণ

সেই শিল্পপতির ‘ঋণখেলাপি স্ত্রী’ কারাগারে

     

ঋণ খেলাপি ও টাকা আত্মসাতের দায়ে গ্রেফতারকৃত আসামি,বাগদাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ফেরদৌস খান আলমগীরের স্ত্রী মেহেরুন নেছা দোভাষ কে (৫০) কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

মেহেরুন নেছা দোভাষকে প্রথমে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল আমিনের আদালতে (আদালত-১) নেয়া হয়। ওখান থেকে মহানগর যুগ্ম দায়রা জজ জহির উদ্দিন (৫ নং আদালত) নেয়া হয়। পরে মহানগর যুগ্ম দায়রা জজ বেগম আফরোজা জেসমিন কলির (৭ নং আদালত) আদালতে নেয়া হয়। সেখান থেকে আবার মহানগর যুগ্ম দায়রা জজ মো. সালামত উল্লাহর (আদালত নং-২) এ নেয়া হয়। ওসব আদালত তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এর আগে খেলাপি ঋণ ও অর্থ আত্নসাতের ১১ মামলায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতারের পর চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে সেখান থেকে তাকে আদালতে চালান দেয়া হয়।

মেহেরুন নেসা বাগদাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ফেরদৌস খান আলমগীরের স্ত্রী এবং খুলশী থানাধীন পূর্ব নাসিরাবাদের বাসিন্দা নবী দোভাষের মেয়ে এবং তাদের নিজ বাড়ি রাউজান উপজেলার গহিরা ইউনিয়নে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মেহেরুন নেসার বিরুদ্ধে অর্থ ঋণ আদালতের ১১টি পরোয়ানা জারি রয়েছে। ওইসব পরোয়ানামূলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেহেরুন নেসাকে গ্রেফতারের জন্য আগে থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানানো হয়েছিল। সোমবার (১৯ আগস্ট) তিনি কানাডা থেকে একটি ফ্লাইটে করে ঢাকার বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাপ্ত অভিযোগে প্রকাশ , ২০১৩ সালে ফিনিক্স ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেষ্টমেন্টস লিমিটেড নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চট্টগ্রাম শাখা থেকে মেহেরুন নেসা দুই কোটি ত্রিশ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করে পরবর্তীতে ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে কর্তৃপক্ষ। পরে আদালত তার বিরুদ্ধে চেকের সমপরিমাণ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত ও জেল প্রদান করে। উক্ত আসামী দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর গোপনে পাসপোর্ট ও ভিসা করে কানাডায় চলে যান।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply