পুলিশী হয়রানী বন্ধসহ ১২দফা দাবী বাস্তবায়নে ২০ডিসেম্বর সর্বাত্মক ধর্মঘট
চট্টগ্রাম অটোরিকশা অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়ন-১৪৪১ এর সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ বলেছেন, চট্টগ্রামের জন্য সিএনজি চালিত অটোরিকশা পরিচালনা সংক্রান্ত আলাদা নীতিমালা বা সার্ভিস রুলস প্রণয়ন করা, ৪হাজার নতুন গাড়ী রেজিষ্ট্রেশন প্রদান, পার্কিং ব্যবস্থা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত নো-পার্কিং মামলা বন্ধ করা, সহজ শর্তে চালকদেরকে লাইসেন্স প্রদান, মালিকের জমা ৬০০টাকা ও মান সম্মত মিটার প্রদান করার মাধ্যমে নগরীতে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ১২ দফার দাবীতে ১বছর আগে পরিবহন ফেডারেশনের সাথে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলাম প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা ধর্মঘট স্থগিত করেছিলাম। দীর্ঘ ১বছর অতিবাহিত, ৬মাস আগে প্রশাসনকে স্মরকলিপি দিয়েছি তারপরও আমাদের দাবী বাস্তবায়ন করেনি। প্রশাসনের এ ব্যর্থতার জন্য আগামী ২০ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নগরী ও জেলা গুলোতে সবার্ত্মক ধর্মঘট পালন করা হবে। তিনি বলেন, এই ধর্মঘটের মাধ্যমে যদি দাবী আদায় না হয়, তাহলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য থাকব।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর অক্সেজেন মোড়ে এক বিশাল শ্রমিক সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে হারুনুর রশীদ উপরোক্ত কথা বলেন। বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা অক্সিজেন শাখার সভাপতি মো: সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহ-সভাপতি ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল নবী লেদু।
শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথি বলেন, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের করুন অবস্থা বিরাজ করছে। একদিকে মালিকে অতিরিক্তি দৈনিক জমা আদায় অন্যদিকে পুলিশের হয়রানী ও যত্রতত্র মামলার ভারে চালকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন অটোরিকশা গুলোকে যে কোন মামলায় ৩০০টাকার বেশী জরিমানা করা যাবে না। মামলা হামলা দিয়ে চালকদের যেন তেন দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। তিনি দ্রুত ১২দফা দাবী বাস্তবায়ন করে শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
প্রধান বক্তা হারুনুর রশীদ আরো বলেন, আগামী ১৯ ডিসেম্বর শহীদ মিনার চত্তরে স্মরনকালে বিশাল শ্রমিক সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে। এর আগে প্রতিটি থানা ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে শ্রমিকদের সমাবেশ করা হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ২৬হাজার শ্রমিক ১৩হাজার গাড়ী সময় ভাগ করে চালিয়ে কোন মতে জীবন যাপন করছে। চট্টগ্রামের মতো একটি বাণিজ্যিক রাজধানীতে ২০০২সালে সর্বশেষ গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশন দিলেও সেই গাড়ীর অনেক গুলো এখন অকেজো হয়ে পড়ে আছে। কিন্তু নগরীর পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে তারপরও সরকার চট্টগ্রামের জন্য নতুন করে গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশন দিচ্ছে না। অথচ অনুমোদন দিয়ে ৪হাজার গাড়ী আন রেজিষ্ট্রেশন হিসেবে চলাচল করছিল দীর্ঘদিন বর্তমানে সেই গাড়ী গুলোও বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি অবিলম্বে নগরীরতে ৪হাজার গাড়ীর অনুমোদনসহ অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের ১২ দফা দাবী মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, রফিকুল ইসলাম, কার্যকরী সভাপতি আনোয়ার হোসেন, আমান বাজার শাখা সভাপতি আলী আকবর, সেক্রেটারী মো: শাহীন, টেক্সটাইল সভাপতি মো: কবীর সেক্রেটারী মো: আজম, শেরশাহ সভাপতি হানিফ, সেক্রেটারী বেলাল, রুবী গেইট শাখার সভাপতি খোকন ও বাবুল, কাপ্তাই রাস্তার মাথা শাখার আজাদ, জাফর মেহেদী, চবি’র সভাপতি শামসু সেক্রেটারী হারুন ও খোরশেদ, মুরাদপুর সভাপতি মোধ সেলিম, কামরুল ও আলাউদ্দিন প্রমুখ