গ্রেফতারী ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ গ্রেফতার করছে না
হুমায়ুন চৌধুরী
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার কাকৈরতলা গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র ইমাম হোসেসের বিরুদ্বে গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট থাকলেও পুলিশ গ্রেফতার করছে না। তার বিরুদ্বে একাধিক মামলা রয়েছে। জি, আর- ১০০২/১৫ মামলার ১৪৩/৩০৭/৩২৪/৩২৬/৩৭৯/৪২৭/৫০৬(২) দঃবিঃ ধারায় কুমিল্লা বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিষ্টেট ১নং আমলী আদালতে ইমাম হোসেনকে গ্রেফতারী ওয়ারেন্টের দায়িত্ব দিয়েছে বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে। কিন্তু বরুড়া থানার পুলিশ আজও ইমাম হোসেনকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ইমাম হোসেন ঢাকায় পড়াশুনা করলেও বাড়িতেই থাকে বেশিরভাগ সময়। এদিকে ইমাম হোসেন গ্রেফতার না হওয়ায় ভিকটিম মনিরুজ্জামান মনির বিভিন্ন হুমকি ধমকির মধ্যে দিন যাপন করছেন। কিছুদিন পূর্বে ইমাম হেসেনের বড় ভাই মানিক মিয়া বিদেশ থেকে বাড়িতে আসার পর মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে মনিরুজ্জামান মনির। আমাদের প্রতিবেদককে মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, গত (২০১২-২০১৪) ৩ বছর পূর্বে অসহায় ইমাম হোসেন আমার বাসায় থেকে পড়ত এবং আমার সন্তানকে পড়াতো। ৩ বছর পরে কবি নজরুল হলে তার জায়গা হলে, সে চলে যাওয়ার জন্য বলে। কিন্তু হলে উঠতে তার কাছে যথেষ্ঠ টাকা ছিল না বলে আমার কাছ থেকে টাকা ধার নেয়। কিছু দিন পর তার বোন খাদিজা আক্তার টাকা নিয়ে আসে। পরে আমাকে বলে খাদিজা আক্তার কুমিল্লা থাকবে, একটি বাসা দেখে দেওয়ার জন্য। খাদিজা আক্তারের স্বামী মোস্তফা কামাল (প্রবাসী) বিদেশ থেকে আমাকে ফোন করে বাসা দেখে দেওয়ার কথা বললে আমি একটি বাসা দেখে দেই। মোস্তফা কামাল বিভিন্ন সময় মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে খাদিজা আক্তার সম্পর্কে ফোন করে জানতে চাইলেও বলতে চাইতো না। এক সময় তিনি মোস্তফা কামালকে কোন তথ্য দিতে পারবে না বলে জানায়। এ নিয়ে মোস্তফা কামাল ও তার স্ত্রী খাদিজা আক্তারের মধ্যে দ্বন্দ দেখা দেয়। এর জের ধরে গত ১৭/১০/২০১৫ ইং রোজ শনিবার রাত ১০টায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সামনে চায়ের দোকানে টেবিলে বসা নিয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ইমাম হোসেনসহ আরও কয়েকজন মিলে মনিরের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ৬-৭ টি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে, কর্তব্যরত ডাক্তার গুরুতর অবস্থা দেখে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিলে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় সহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ১৮/১০/২০১৫ ইং তারিখে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে, যার মামলা নং- ৬৮। মনিরুজ্জামান মনির বলেন, এই ইমাম হোসেনকে ধরতে পুলিশের আর কত সময় লাগবে। তিনি ইমাম হোসেনকে দ্রুত গ্রেফতারের জোর দাবি জানায়।