৩ মে ২০২৪ / ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১২:৪৭/ শুক্রবার
মে ৩, ২০২৪ ১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ

বিএম কনটেইনার ডিপোতে দগ্ধদের পাশে র‍্যাব-৭ 

     

রানা সাত্তার
একের পর এক এম্বুল্যান্স আসার সাইরেন।বাতাসে দগ্ধ পোড়া লাশের গন্ধ। এই যেন এক মৃত্যুপুরী চট্টগ্রাম। এভাবেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ চট্টগ্রামের বেশ কিছু মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়  দগ্ধরোগী আর এসময় আহাজারী করা রোগীর স্বজন,বিভিন্ন সামাজিক অঙ্গসংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলাবাহিনী, সাংবাদিক, উৎসুক জনতা সব মিলেইয়ে বেসামাল হয়ে পরে চমেক চত্ত্বর। এই বেসামাল কে সামাল দিয়ে দগ্ধ আহত রোগীদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ৪ জুুন শনিবার রাত ১০টার পর থেকে টানা ২৪ ঘন্টা  কাজ করেছে র‍্যাব-৭।র‍্যাব-৭ অবগত হওয়ার সাথে সাথে  মেডিসিন,ব্লাড ডোনেট, ৭(সাত)টি পেট্রোল, ৫(পাঁচ)টি সিভিল টিম এবং ১(এক) টি লাইফ সাপোর্ট এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সহ মেডিকেল টিম নিয়ে চমেক হাসপাতালসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কাজ করেছে।৫০জন র‍্যাব ব্লাড দিয়েছেন বলে জানা যায়।
শনিবার দিবাগত রাত থেকেই র‍্যাপিড একশান ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৭) এইসেবা গুলি নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করেছেন।ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতা করার পাশাপাশি ব্যাটালিয়নের সকল সদস্য সন্ধানী ব্লাড দিয়ে ব্লাডের চাহিদা কিছুটা পুরন করেন,তাদের নিজেস্ব লাইফ সাপোর্ট এম্বুলেন্স দিয়ে সীতাকুণ্ড থেকে রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।ভীড় করা জনতাকে শৃঙ্খলা বজায় রেখে সহযোগিতা করেন।
রিপোর্ট লিখাব্দি জানা যায়, শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন লাগে।গত ২৪ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন।  সেখানে একের পর এক কনটেইনার বিস্ফোরিত হচ্ছিলো দাউ দাউ করে জ্বলছিলো আগুনের লেলিহান শিখা।চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনায় সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহত প্রায় চার শতাধিক মানুষ।এটাই চট্টগ্রামের ইতিহাসে সেরা ভয়াবহ দুর্ঘটনা।নিহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী রয়েছেন ৫ জন। তবে তাদের নাম জানা যায়নি। অনেকের এখনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।নিখোঁজ রয়েছে অহরহ।
র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এম এ ইউসুফ (পিএসসি) জানান,আমরা প্রতিটি ঘটনা স্পটে যাই।লোমহর্ষক ঘটনা দেখে আমরা শোকাহত।র‍্যাব-৭ এর পক্ষ হতে  ০৭(সাত)টি পেট্রোল, ৫(পাঁচ)টি সিভিল টিম এবং ১(এক)টি লাইফ সাপোর্ট এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সহ মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার সময় থেকে অদ্যাবধি নিয়োজিত রয়েছে। উক্ত হৃদয় বিদারক ঘটনায় র‌্যাব শোকাহত।
উপস্থিত দায়িত্বরত র‍্যাব-৭ কর্মকর্তা জানান,সীতাকুণ্ডের আগুনের ঘটনায় র‍্যাব-৭ এর পক্ষ হতে গভীর শোক জানাচ্ছি।র‍্যাব-৭ এর পুরা ব্যাটালিয়ন ব্লাড ডোনেট করেছি,সেই সাথে আশাকরছি যথেষ্ট ব্লাড সন্ধ্যানীতে রয়েছে।তিনি আরো বলেন- দেশের যেকোনো  বড় দূর্যোগে র‍্যাব পাশে ছিল,আগামীতেও  থাকবে।
দায়িত্বরত র‍্যাব-৭ এর আরএমও ডা.শফিকুল ইসলাম বলেন,শনিবার  দিবাগত রাত থেকে টানা ২৪ঘন্টা আমরা কয়েক ধাপে রোগী সনাক্ত করে চমেক বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি দেই।পরে সকাল হতে না হতেই আমাদের চিকিৎসা সেবার পরিধি বেড়ে বহুগুণ বেড়ে যায়।যেমন মরদেহ, আহত রোগীর চাপ বেড়ে যায় সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে নির্দেশ মোতাবেক স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্যসেবার বুথও বাড়ানো হয়।যথেষ্ট ভালোসেবা দেয়ার চেষ্টা করেছি আমরা।আমরা সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।নিহতদের আত্বার মাগফিরাত কামনা করছি।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ। অবৈধ ব্যাটারী রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে চট্টগ্রাম মহানগরী রিক্সা মালিক চালক ঐক্য পরিষদের এক সভা আজ সন্ধ্যা ৭ টায় লালখান বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের আহŸায়ক আব্দুল কাদের মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমজাদ হোসেন হাজারী। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বাবু টিটু মহাজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল জাহেদ জসিম, রিকশা মালিক পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম। সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ না করে প্যাডেল রিকশা বন্ধ করার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে তা আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে রিকশা উচ্ছেদের এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাই আগামী দিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর রিকশা মালিকদের এক প্রতিনিধি সভার ডাক দিয়ে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে এ ধরণের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন উচ্চ আদালতের রায়কে অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। আগামীতে এধরণের কর্মকাÐ রুখে দিতে আমরা আবারও উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব। তাই সময় থাকতে এ ধরণের অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট উদাত্ত আহŸান জানাচ্ছি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-মহানগরী রিকশা মালিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম কোম্পানী, মোঃ করিম কোম্পানী, মোখলেচুর রহমান, সিটি রিকশা মালিক পরিষদের সদস্য মোঃ সোহাগ, মোঃ মহিবুল্লাহ, লিটন দাশ, মুহাম্মদ সোলায়মান প্রমুখ।

Leave a Reply