চমেকে ৬৬ রোহিঙ্গাদের খাবার ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন বাংলাদেশ যুবকল্যাণ মানবাধিকার ফাউন্ডেশন
বিশ্ব মানবতা যখন ডুকরি ডুকরি কাঁদছে ঠিক তখনি আর্থিক সহায়তা ও খাবার দিয়ে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেন বাংলাদেশ যুবকল্যাণ মানবাধিকার ফাউন্ডেশন। রোহিঙ্গা মুসলমানেরা দীর্ঘদিন যাবৎ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একটু বাঁচার আশায় অবস্থান নেন পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশের সীমান্তে। যেখানে তাদের জীবন যাচ্ছে কখনো অনাহারে আবার কখনো অর্ধহারে। মানবেতর জীবন জাপন করতে গিয়ে শিশু,নারী ও বয়স্করা হয়ে পড়ছে অসুস্থ। তাদের অনেকে চিকিৎসা পাচ্ছে আবার অনেকে বিনা চিকিৎসায় পড়ে আছে বিশাল নীল আকাশের নীচে। আবার অনেকে ভর্তি হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক)। আজ তাদের চিকিৎসা সহায়তা ও খাবার প্রদান করতে বাংলাদেশ যুব কল্যাণ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের একদল প্রতিনিধি যান হাসপাতালে। প্রতিনিধি দলে উপস্তিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট ধৃতিমান আইচ, সাধারণ সম্পাদক ডা: আর,কে,রুবেল, সংগঠনের সহ-সভাপতি এডভোকেট নীলু কান্তি দাশ নীলমণি, অধ্যক্ষ মাওলানা এম সোলাইমান কাসেমী, দোলন কান্তি দাশ, আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন,অধ্যাপক রমিজ আহমদ,ডা: রাজীব চক্রবর্তী, মো: এয়াকুব,ডা: বরুন কুমার আচার্য্য, ডা: মো: এনায়েত,এডভোকেট তৌহিদুর রহমান তুহিন, আবুল কালাম, মো: নাছির উদ্দিন,মোহাম্মদ হাসান প্রমুখ। এতে প্রতিনিধি দল তাদের ব্রিফিং এ বলেন বার্মায় রোহিঙ্গায় মুসলিম-হিন্দু নারী-পুরুষ, শিশু হত্যা, নির্যাতন, বর্বরোচিত হামলার বিষয়ে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং তাদেরকে বাংলাদেশে শরনার্থী শিবির খুলে আশ্রয় দেওয়ায় বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া গুরুতর অসুস্থ, আহত রোহিঙ্গাদের স্বসম্মানে বার্মায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বার্মা সরকারকে জাতি সংঘের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগের জন্য সকল মানবাধিকার সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অংসান সূচীর নোবেল পুরস্কার ফেরৎ দেওয়ারও আহবান জানান। তাছাড়া সংগঠন কর্তৃক রোহিঙ্গা শরনার্থী ও নির্যাতিত, আহতদের সহায়তা প্রদানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়।