১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৭:৩৯/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৭:৩৯ অপরাহ্ণ

দাউদকান্দিতে রিং পরানোর নামে বাল্যবিবাহ কনে বলছে, আমি তাকে তিন বছর ধরে ভালোবাসি

     

নিজস্ব প্রতিনিধি
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাল্যবিবাহের প্রস্তুতি অতঃপর রিং পরানোর নামে বিবাহের সংবাদ পাওয়া গেছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ঢাকারগাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা এই বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের ডেকে পাঠান। বৃহত্তর দাউদকান্দি ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক মো. আলী আশরাফ খান, নারী উন্নয়ন কর্মী সাংবাদিক মালীনা আক্তার মিলি, সেতুবন্ধনের সেক্রেটারী সাইফুল ইসলাম স্বপন, সাংবাদিক জসিম উদ্দিন জয়, ডাঃ মোহাম্মদ আবু ফরহাদ মাহবুব, তরুণ সমাজসেবী অনিক ইসলাম ও মোঃ রাজিব হোসেন প্রমুখ কনের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সত্যত খুঁজে পান। তারা বিবাহের ব্যাপাওে জানতে চাইলে, কনের অভিভাবক বিবাহ নয়, রিং পরানো হয়েছে বলে জানান। পরে পাত্রীর বয়সের প্রমাণপত্র দেখতে চাইলে, সঠিক কাগজপত্র উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয় কনের পরিবার। এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোসাঃ জায়েদা আক্তার, সমাজসেবী মোঃ মনির হোসেন, মোঃ রাশেদ এ হাসান, মোঃ বাবুল মুন্সী, মোঃ আবু মুছা প্রমুখ।
জানা যায়, রিং পরানোর নামে কনে-দাউদকান্দি উপজেলার শহীদনগর এম.এ. জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মাকসুদা আক্তার, পিতা- মোঃ বাচ্চু মিয়া, গ্রাম- ঢাকারগাঁও (সরদার বাড়ি)-এর, বর-আব্দুল মালেক মিয়া (২৮), পিতা- রমিজ উদ্দিন, এই গ্রাম-ঢাকারগাঁও মুন্সী বাড়ির ভাড়াটিয়ার সাথে প্রশাসনের নির্দেশকে অমান্য করে অতি গোপনে বিবাহের কার্য সম্পাদন হয় দুই পক্ষের সম্মতিতে।
এব্যাপারে দাউদকান্দি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা বলেন, ‘বাল্যবিয়ের মত অপরাধকে কেউ উৎসাহিত করবেন না। বাল্যবিবাহকে সবাই ‘না’ বলুন। এরপরেও যদি কেউ আইনকে অবজ্ঞা করে তাহলে তাকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে’।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ আলাম বলেন,‘আমরা বাল্যবিবাহকে সব সময়-ই ‘না’ বলি। বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। এর ফলে ব্যক্তি-পরিবার তথা সমাজে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হয়’। তিনি আরো বলেন,‘সামাজিক এসব অবক্ষয় রোধে ব্যাপক জনসচেতনা সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই। এব্যাপারে সমাজের সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে’।
স্থানীয় উদীয়মান তরুণ আবু মুছা ও যুবক মোঃ বাবুল মুন্সী বলেন, ‘অভিভাবকরা আমাদের এলাকার ছোট ছোট মেয়েদের বিয়ে দিতে বাধ্য হয়-একশ্রেণির বখাটেদের ভয়ে। স্কুলপড়–য়া ছাত্রীরা প্রতিদিনই ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে। এই দিকে প্রশাসনের কোন খেয়াল নেই’।
কনে মাকসুদা আক্তার বলেন,‘ আমি আব্দুল মালেককে তিন বছর আগ থেকে ভালোবাসি! সে বিদেশে চলে যাবে বলেই আমরা এখন বিয়ে করছি’। মাকসুদা আরো বলেন,‘ আমার জন্ম তারিখ- ১৮ জানুয়ারি ২০০১।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply