১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১:৩০/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ১:৩০ অপরাহ্ণ

তালতলীর পর্যটন কেন্দ্র সোনাকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের অর্থনীতিতে এক সময় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাবে

     

কে.এম. রিয়াজুল ইসলাম বরগুনা থেকে 

দেশের অর্থনীতির বিশাল সম্ভবনাময় খাত পর্যটন শিল্প। বাংলার অপরূপ প্রাকৃতিক নৈসর্গ যেন শিল্পীর রঙতুলির মতো আকা শিল্পকর্ম। এতো বৈচিত্রময় প্রাকৃতিক নৈসর্গ পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় কি না তাতে সন্দেহ রয়েছে। আর এ কারনেই বাংলাদেশকে পযর্টন শিল্পের অমিত সম্ভাবনাময় দেশ বলা হয়। পৃথিবীর কোথাও এতো দীর্ঘ রূপালী বালুকনাময় আবৃত সমুদ্র সৈকত আর পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। কক্সবাজার ও কুয়াকাটার পাশাপাশি প্রস্তাবিত পর্যটন কেন্দ্র তালতলীর সোনাকাটা সমুদ্র সৈকতকে পর্যটন নগরীর বৈশিষ্ট নিয়ে সাজাতে পারলে এক সময় জাতীয় বাজেটের অধিকাংশই যোগার হয়ে যাবে। পর্যটনকে দেশের অর্থনীতির প্রধান খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষে কক্সবাজার ও কুয়াকাটার সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিবেদিত অনেক মেধাবী ও পরিশ্রমী ধনাট্য উদ্যোক্তা এগিয়ে আসলে ও তালতলীর সোনাকাটায় তেমন কোন উদোক্তা এখন পর্যন্ত এগিয়ে আসেননি। তবে পর্যটন শিল্পের বিশাল সম্ভবনাকে কাছে লাগানোর জন্য তালতলীর সোনাকাটার প্রতি বেশ কিছু উদ্যোগতাদের দৃষ্টি পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। দেশি বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য এখানে বিশেষ কিছু সুযোগ সুবিধা থাকা একান্ত দরকার। বিভিন্ন গ্র“প কোম্পানী গুলো কক্সবাজার ও কুয়াকাটার বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি তালতলীর সোনাকাটাকে একটু প্রাধান্য দিয়ে কাজ শুরু করলে এতোদিনে কক্সবাজার ও কুয়াকাটার কাছাকাছি না হলেও উন্ন্য়ন কর্মকান্ডে সোনাকাটা এতটা পিছিয়ে থাকতো না। কক্সবাজারের মত কুয়াকাটায় ও পর্যটকদের থাকা খাওয়ার জন্য অনেক হোটেল-মোটেল-গেষ্ট হাউস রয়েছে। আর ও নতুন নতুন তৈরি হচ্ছে। সোনাকাটায় সে অনুযায়ী তেমন কোন হোটেল-মোটেল ও গেষ্ট হাউস এখোনে গড়ে ওঠেনি। যার কারনে সোনাকাটার উন্নয়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন উদোক্তাদের ও উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা অতিব জরুরী। সরকারের পাশাপাশি উদোক্তদের বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহনের মাধ্যমে এক সময় সোনাকাটা পর্যটন শিল্পের একটি বিশাল বিল্পব ঘটবে। হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে এখানে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মতো বাংলাদেরেও পুড়ো অর্থণীতি বদলে যাবে। উপকূলীয় অঞ্চলের অর্থনীতিতে ব্যাপক পারিবর্তন আসবে। দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখানে নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয় উপজেলা প্রসাশন সহ সমাজ সচেতন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ফায়ার সার্ভিস,হাসপাতালসহ এখানে অনেক কিছু এখন ও স্থাপন করা হয়নি। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পর্যটকদের জন্য এখানে কিছু কিছু সুবিদা একান্ত প্রয়োজন। সকল ধর্মের উপাসনালয় এখানে এখনো গড়ে ওঠেনি, প্রস্তাবিত পর্যটন কেন্দ্রে কবরস্থান থেকে শুরু করে শশানঘাট পর্যন্ত সরকারের তত্তাবধানে পরিচালিত হওয়া দরকার। বড় ধরনের হোটেল-মোটেল না থাকার পর্যটকদের ম্যানেজ মেন্ট করার ও তেমন লোকবল এখানে নেই। পর্যটকদের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কেনাকাটা ও রান্নবান্না করারও লোক মিলছেনা। এখানে ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসে লোক নিয়োগ দিয়ে সরকারী ভাবে প্রশিক্ষন দেয়া উচিত। সোনাকাটায় যদি বড় বড় হোটেল-মোটেল-গেষ্ট হাউস থাকতো আর প্রতিটি রুমে বিশুদ্ধ পানি,নিজিস্ব বিদ্যুৎ সরবাহ সহ প্রতিটি রুমে ইন্টারনেট থাকতো তাহলে অতি কম খরচে দেশ বিদেশের পর্যটকরা তালতলী সোনাকাটায় এক মাস অবকাস জীবন যাপন করতে ও কোনরূপ দিধাবোধ করতো না। পর্যটকরা নদীমাতৃক প্রাকৃতিক সৌন্দার্য উপভোগ করে সোনাকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমন করে একই স্থান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যোঅস্থ দেখতে পাড়েন। সারা বিশ্বের পর্যটকদের এখানে সংযুক করার জন্য আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করে বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত পর্যটকদের অবকাশ যাপনে বাংলার সুন্দরতম স্থান তালতলীর ফাতরার জঙ্গল নামে এক সময়ের পরিচিত সোনাকাটা পর্যটন কেন্দ্র, সরকারের মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেয়া উচিত। সরকার যদি তালতলীর সোনাকাটার সঙ্গে উন্নত যোগাযোগের জন্য কুয়াকাটার সাথে আন্দার মানিক নদীতে নিশানবাড়িয়া ব্রীজ বা ফেরী তৈরি করে দেয়,তাহলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আর দারিদ্র বেকারত্ব অশিক্ষা থাকবেনা। পযর্টকদের জন্য যে সামাজিক নিরাপত্তা ও সুন্দার পরিবেশ দরকার তা ইতিমধ্যে এখানে তৈরি হতে শুরু করেছে। সময়ের চাহিদার সাথে সকল ধরনের আনন্দ বিনোদনের ব্যবস্থা থাকা এখানে একান্ত দরকার। এখানে বিনিয়োগ কারী উদোক্তরা বিনিয়োগ করলে সোনকাটা সহ গোটা বরিশাল বিভাগে অর্থনীতিতে এক সময় একটি ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। সরকার যোগাযোগ অবকাঠানো সোনাকাটার সঙ্গে আরও উন্নত করলে অদুর ভবিষৎতে এখানে ব্যাপক উন্ন্য়ন কর্মকান্ড সৃষ্টি হবে, ফলে এখানে হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। ঢাকা,কলকাতা, পাটনা,কাঠমুন্ড এই চারটি রাজধানী শহরের কাছের সমূদ্র সৈকত কুয়াকাটা ও সোনাকাটা। আর একারনেই এক সময় উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য বিশাল অর্থনৈতিক সম্পদ হতে পারে প্রস্তাবিত পর্যটন কেন্দ্র তালতলীর সোনাকাটা।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply