২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৯:৩৯/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারে ১৯ মাদক ব্যবসায়ীকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড

     

টেকনাফ প্রতিনিধি

কক্সবাজারে ইয়াবা পাচারের অভিযোগে ১৯ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন কক্সবাজারের একটি আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ওসমান গণি ইয়াবা নিয়ে প্রথম চাঞ্চল্যকর এ রায় ঘোষণা করেন।

সূত্র মতে, একটি ইয়াবা পাচার মামলায় (এস,টি ১০১৩/১৬) ১৯ জন আসামীকে দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সাথে ৫ হাজার টাকা জরিমানা,অনাদায়ে আরো ৩ মাস কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। আসামীরা সবাই কারাগারে রয়েছে। আদালত সূত্র মতে, ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দুটি বোটে করে পাচারের সময় বঙ্গোপসাগর থেকে চার লাখ ইয়াবাসহ ১৯ জনকে আটক করা হয়। ইয়াবা পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামিরা সবাই কারাগারে ছিলেন। জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত এস.টি ১০১৩/১৬ নং মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে এ রায় দেন। আসামিরা সবাই জেলা কারাগারে রয়েছেন। আটককৃত পাচারকারীরা হচ্ছে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দ িণ লেঙ্গুরবিল এলাকার আমির হামজার ছেলে সামশুল আলম (৩৫), লম্বরি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ইলিয়াছ (২৫), লেঙ্গুরবিলের জাহিদ হোসেনের ছেলে আজিুল (২২), নুর হোসেনের ছেলে মকবুল (২৫), আবুল হোসেনের ছেলে অছি উল্লাহ(২২), জাকির আহমদের ছেলে জাহিদ হোসেন (৩০), লম্বরি আবদুর রহিমের ছেলে ফজলুর কমির (২৭), সাবরাংয়ের আলী আহমদের ছেলে ইমাম হোসেন(৩৫), লেঙ্গুরবিলের নবী হোছনের ছেলে রুবেল (২৫), আবদুল মালেকের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৪), মৌলভী পাড়ার আবদুল সালামের ছেলে নুর আলম(২৫), দক্ষিণ লম্বরির নুরুল হকের ছেলে খাইরুল আমিন (২২), আবদুল সালামের ছেলে জিয়াউর রহমান (২২) ও আবদুল হাকিমের ছেলে রফিক (১৬),তৈয়ব হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ (১৮), আবদুল মোনাফের ছেলে আয়ুব আলী (২৪), জাহাঙ্গীর আলম (৩২), আবদুর রাজ্জাকের ছেলে রুবেল (১৮),রাশেদুল হক (২৬)। টেকনাফ স্টেশনের ওই সময়ের কোস্টগার্ড কর্মকর্তা ডিকসন চৌধুরী জানান, মিয়ানমারের দিক থেকে দুটি ট্রলার বাংলাদেশ সীমানায় আসলে তাদের থামতে সংকেত দেওয়া হয়। কিন্তু তারা মিয়ানমারের দিকে পালানো চেষ্টা করলে কোস্টগার্ড জওয়ানরা ট্রলার দুটি জব্দ করে। পরে ট্রলারে তল্লাশী চালিয়ে ৪ লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ ১৯ জন পাচারকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ফরিদুল আলম জানান, রায় ঘোষণার সময় সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কোস্টগার্ড বাদী হয়ে আটক ১৯ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করে। পরে একই বছরের ১৯ এপ্রিল পুলিশ আদালতের কাছে চার্জশিট দেয়। এ নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর আদালত চার্জগঠন করেন। অবশেষে দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত মামলাটির রায় দিয়েছেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply