২৭ এপ্রিল ২০২৪ / ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৯:০৯/ শনিবার
এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ৯:০৯ অপরাহ্ণ

ইউটিউব এর বাংলাদেশী জনক কে এই জাভেদ করিম ?

     

ইউটিউব শব্দটি দুনিয়া জুড়ে পরিচিত একটি নাম।এটির জনক বাংলাদেশী জাভেদ করিম। তিন জনের একজন তিনি। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাভেদ করিম ১৯৭৯ সালে জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন।বাবা নাইমুল করিম, বাংলাদেশী একজন প্রবাসী বিজ্ঞানী জাভেদ করিম ।মা ক্রিস্টিনা করিম, একজন জার্মান বিজ্ঞানী এবং গবেষক।২০০৫ সালে এখান থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন  ।তিনি ২০০৭ সালের ১৩ মে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা করেন । যা ছিল এক বিরল অর্জন। ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের করা বক্তৃতার জন্য বিশ্বের তরুণ সমাজে অনুপ্রেরণীয় তারকাদের তালিকায় তার নাম উঠে আসে ।

তিনি ছোটবেলা থেকেই সৃজনশীল ছিলেন। ইউটিউব ছাড়াও পোর্টেবল ত্রিমাত্রিক গ্রাফিক্স, সলভিং ড্যাড পাজল, থ্রিডি স্প্রিং সিমুলেশন, রোবোটিক ওয়েবক্যাম, রেডিওসিটি ইনজিন, রে-ট্রেসার, লাইফ থ্রিডি, কোয়াক ২ মডেল ভিউয়ারসহ বেশ কিছু প্রজেক্টের উদ্ভাবকও তিনি।

জানা গেছে, ১৯৯২ সালে নাইমুল করিম সপরিবারে আমেরিকা পাড়ি দেন।জাভেদ করিমের ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত বেড়ে উঠা জার্মানিতে হলেও পরবর্তীতে পড়ালেখা করেন আমেরিকায় ।জাভেদ করিম স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন ।

ভিডিও আপলোড ও প্লের জন্য বিশ্বের সেরা সাইট হলো ইউটিউব ।এই ইউটিউব শব্দটির সাথে পরিচিত নয় এমন শিক্ষিত মানুষ এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
দৈনিক কোটি কোটি গ্রাহক বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে  বৃহত্তম ভিডিও আপলোডিং সাইট ইউটিউবে লগইন করেন ।সৃজনশীলতায় ভরে  উঠে ইউটিউব । কোটি কোটি দর্শকেের চোখ দিন রাত থাকে এই ইউটিউবে।

এই ইউটিউব যাত্রার শুরু হয় যেই তিনজনের হাত ধরে তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আলোচিত এই জাভেদ করিম।জাভেদ করিম ২০০৫ সালে”সাদ হারলি’ ও স্টিভ চেনে’র সঙ্গে মিলে জনপ্রিয় ভিডিও বিনিময় ওয়েবসাইট এই ইউটিউব তৈরি করেন।যা এখন বিশ্বের কাছে বিশ্বয়।

২০০৫ সালে অনলাইন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান পেপালে কর্মরত অবস্থায় তাঁরা তিনজন ইউটিউব তৈরির পরিকল্পনা করেন। ওই বছরই তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে http://www.youtube.com ডোমেইন নিবন্ধন করেন।ডোমেইন নাম নিবন্ধনের পর তিন তরুণ প্রকৌশলী শুরু করেন সাইট ডিজাইনের কাজ ।

কয়েক মাসের চেষ্টায় দাঁড় করে ফেললেন সুন্দর একটি সাইট। একই বছরের ২৩ এপ্রিলে জাভেদ করিম ‘মি: এট জু’ নামক প্রথম ভিডিও আপলোড করেন যেখানে, সান দিয়াগো পার্কে তাঁকে হাতিশালায় দাঁড়ানো অবস্থায় দেখা যায় ।

ছবি) সাইটটির উদ্দেশ্য হচ্ছে, ব্যবহারকারীর আপলোড করা ভিডিও স্ট্রিমিং (ভিডিও ফাইলের আকার ছোট করে প্রদর্শনের বিশেষ প্রযুক্তি) করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দেওয়া।

সাইটটিতে ব্যক্তিগত, চ্যানেল, ইতিহাস, সংস্কৃতি, দূরশিক্ষণসহ বিভিন্ন ভিডিও আপলোড ও ডাউনলোড করা যায়।

ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন এ সাইটে তিন বিলিয়ন বার ভিডিও দেখেন এবং প্রতি মিনিটে এখানে ৪৮ ঘণ্টা ভিডিও আপলোড করেন ।
খুব কম সময়েই ব্যাপক জনপ্রিয় এই সাইটটিতে বিনিয়োগের পরিমান ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ ডলার । বিনিয়োগ কারী প্রতিষ্ঠান স্কুইয়া ক্যাপিটাল । ২০০৬ সালে সার্চ ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠান গুগল ১৬৫ কোটি ডলারে ইউটিউব সাইটটি কিনে নেয়।

বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী এই প্রতিভাবানের জন্য শুভ কামনা ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply