২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ২:৩৮/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ২:৩৮ অপরাহ্ণ

চাঁদ মামাকে ডাকা হচ্ছে ‘ওয়ার্ম মুন’, রহস্য কী!

     

মানুষের মাঝে কৌতূহলের অন্ত নেই পৃথিবী একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে। ঋতু ও তিথি ভেদে এই ধূসর উপগ্রহকে পিঙ্ক মুন, ব্লু মুন, সুপার মুন নামে ডাকা হলেও এবার চাঁদ মামাকে ডাকা হচ্ছে ‘ওয়ার্ম মুন’ বা পোকামাকড়ের চাঁদ নামে।

গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দোল উৎসবের রাতে যে চাঁদ দেখা গিয়েছিল তাকে অনেকেই ওয়ার্ম মুন বা পোকামাকড়ের চাঁদ বলে সম্বোধন করছেন। কেউবা একে ক্রো মুন বা কাক-চাঁদ নামেও ডাকছেন। যদিও এর সঙ্গে বিজ্ঞানের কোনো সংযোগ নেই বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, বিষয়টির সবটাই কাকতালিয় ও জনশ্রুতি।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী তথা কলকাতার ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স-এর কর্মকর্তা সন্দীপকুমার চক্রবর্তী বলেন ‘ওয়ার্ম মুন’ বা পোকামাকড়ের চাঁদের সঙ্গে মহাকাশ বিজ্ঞানের কোনো সম্পর্ক নেই। মূলত আমেরিকা থেকে এই ওয়ার্ম মুনের ধারণাটি এসেছে।’

বিষয়টির কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আমেরিকায় মার্চ মাস নাগাদ বরফ গলতে শুরু করে। সে সময় বরফাবৃত গাছের বাকলে লেগে থাকা পোকারা বাইরে বেরিসে আসে। তখন সে সব পোকামাকড় খেতে জড়ো হয় বিভিন্ন পাখি। সে কারণেই এমন নাম দেওয়া হয়েছে।’

এমনিতেই বিষুবরেখার নিকটবর্তী দেশগুলিতে এই সময় চাঁদকে অনেক বড় দেখায়। উত্তর আমেরিকার উপজাতিদের একাংশ এই বিশেষ সময়ের চাঁদকে ক্রো মুন বলে থাকেন। তারা বিশ্বাস করেন চাঁদের এই অবস্থা শীতের বিদায়বার্তা ঘোষণা করে।

সাধারণত প্রতি মাসেই একটি ফুল মুন এবং একটি নিউ মুন থাকে। কিন্তু কখনও কখনও একই মাসে দু’টি ফুল মুন হলে, তখন একটিকে (দ্বিতীয়টিকে) ব্লু মুন বলা হয়। এর আগে, ২০১৮ সালে পরপর দু’বার এই বিরল নীল চাঁদ দেখা গিয়েছিল। প্রথমবার দেখা গিয়েছিল ৩১ জানুয়ারি। আর দ্বিতীয়বার দেখা গিয়েছিল ৩১ মার্চ। তারও আগে ২০০৭ সালে একই মাসের ৩০ দিনের মধ্যে নীল চাঁদের দেখা পাওয়া গিয়েছিল। সেই বছর ৩০ জুন দেখা গিয়েছিল এই রেয়ার ব্লু মুন বা বিরল নীল চাঁদ। এরকম একই মাসে ৩০ দিনের মধ্যে আবার নীল চাঁদ দেখা যাবে ২০৫০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। আর এমনি ব্লু মুন দেখা যেতে পারে ২০২৩ সালের ৩১ অগস্ট, এমনটাই জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply