২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১০:২৪/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ১০:২৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্স ২০২১-২২ অর্থ বছরে রাজস্ব আয় চারশত ঊনিশ কোটি তিপান্ন লাখেরও উপরে তবু জ্বরাজীর্ণ অফিসে কোন সংস্কার নেই

     

নিজস্ব প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার এর কার্যালয়, সদর রেকর্ডরুম, চান্দগাঁও, পাহাড়তলী ও  সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস নিয়ে গঠিত রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্স ফি বছর জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব যোগান দেয়। গত অর্থ বছরে (২০২১-২২) এই অফিসসমূহ চারশত ঊনিশ কোটি তিপান্ন লাখ তিন হাজার পঁচিশ (৪১৯,৫৩,০৩,০২৫) টাকা রাজস্ব আদায় করে । তবু এসব অফিসগুলোতে দাপ্তরিক অবকাঠামোগত বিবিধ সমস্যার অন্ত নেই। রয়েছে প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবও। এখানে অস্বস্তি ও অস্বাস্থ‍্যকর পরিবেশে সেবাপ্রার্থীদের সেবা নিতে যেমন কষ্ট হচ্ছে, তেমনি দাপ্তরিক অনুকূল পরিবেশের অভাবে অনেক দুর্ভোগের মধ‍্যে কাজ করে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

প্রতিদিন শত শত সেবাগ্রহীতার পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠা এসব অফিসে ১ জন জেলা রেজিস্ট্রার, ৪ জন সাব-রেজিস্ট্রার ও ২৫ জন স্থায়ী কর্মচারীসহ প্রায় সাড়ে তিনশ’ নকল নবিস ও চারশতাধিক দলিল লেখক সংশ্লিষ্ট সেবামূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত রয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উল্লিখিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক ভবন ও বাউন্ডারি ওয়াল, দরজা-জানালা, সিঁড়ি, ফ্লোর স্পেস সবকিছুই বিধ্বস্ত, মলিন ও জ্বরাজীর্ণ। পুরো কমপ্লেক্সটা দেখে মনে হয় যেন শতাব্দী প্রাচীন অবহেলিত একটি পরিত্যক্ত ভবন। রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের পর্যাপ্ত জায়গা আছে কিন্ত এতে নেই দূরদর্শী ও পরিকল্পনাভিত্তিক যুগসই কোন অবকাঠামো । অথচ এসব অফিসেই রয়েছে মানুষের মহামূল্যবান স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র। সহসা এর বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে মূূল্যবান রেকর্ডপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশংঙ্কা তো রয়েছেই, উপরন্তু অতি প্রাচীন ভবন ধ্বসে পড়ে মানুষের প্রাণপাত যে ঘটাবে না তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply