২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:২৩/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ৪:২৩ অপরাহ্ণ

স্বাগতম ২০২৩ সাল নতুন বছরে জনপ্রত্যাশা

     

মাহমুদুল হক আনসারী

 

২০২৩ নতুন বছরকে স্বাগত জানাচ্ছি।২০২২ সাল কেমন গেছে সেটা বলে লিখে পিছনে যেতে চাই না। তবুও বিগত বছরের কিছু কথা স্থৃতি কথায় কথায় এসে যায়। পুরনো বছরটা পাওয়া না পাওয়ার অনেক কথা আছে। পারিবারি সামাজিক এবং রাষ্টীয়ভাবে অনেক ভালো ছিলাম। রাজনৈতিক হাঙ্গামা, হরতাল, ধর্মঘট, জালা ও পুড়াও ছিল না। মহামারি করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রনের মধ্যে ছিল, জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার সচেতনাতা বৃদ্ধি পায়। স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপকভাবে সফলতা অর্জিত হয়। শিক্ষার পাঠ কার্যক্রম চালু হয়। ছাত্র-ছাত্রীতাদের পাঠকার্যক্রমে অংশ নিতে পেরেছে। ব্যাপকভাবে শহর ও গ্রামে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। দেশের রোডঘাট কালভার্ট ব্রিজের চেহারা পরিবর্তন হয়েছে।

সারা দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড দেখার মতো সফলতা অর্জিত হয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়নে মানুষ যাতায়াতে ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে। এবং দিন দিন এ অগ্রগতি উন্নয়ন অব্যাহতভাবে চলছে। দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রগতিতে দেশের আমজনতা মহাখুশি। তবে বিগত বছরে সফলতার সাথে কয়েকটি বিষয়ে জনগন সরকারের প্রতি রাগ ও অভিমানী হয়ে উঠেছে। যেমন দ্রব্যেমূল্যের অনিয়ান্ত্রিত গতি। ওষুধপত্রের আকাশচুম্বি মূল্য বৃদ্ধি। পরিবহন খাতে ভাড়া বৃদ্ধি। অফিস আদালতে ভোগান্তি ও হয়রানি বৃদ্ধি পেয়েছে।জনগনের বেতন ভাতা বৃদ্ধি না হলেও ব্যায় বহু গুণ বেড়ে গেছে। এ সব কারণে জনগণ একটু পারিবারিকভাবে চাপের মধ্যে এখনো আছে।

ব্যয়ভার জনগন সামলাতে পারছে না। মানুষ করোনাকে জয় করতে পারলেও জীবনযাপনের ব্যায় ভার সামলাতে পারছে না। সেদিকে দেশের মানুষ খুবই পারিবারিক  ও সামাজিকভাবে অস্থিরতার মধ্যে আছে।

অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে মানুষের ব্যয় বেড়ে গেছে। মানুষ সঞ্চয় ভেঙ্গে খরচ করছে। অর্থনৈতিক নিরাপত্তার স্থান ব্যাংকের অর্থ লুটপাতে সংবাদে জনগন ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থ তুলে ফেলার দৃশ্য দেখা যায়। দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংকের টাকা মেরে খাওয়ার প্রবনতা জনগন দেখতে পেয়েছে। ফলে আমানতদারি জনগন   অর্থলগ্নি প্রতিষ্টানের উপর হতে বিশ্বাস হারাতে যাচ্ছে জনগন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। পরিস্থিতি দুনিয়ার মানুষকে অস্থিরতার মধ্যে ফেলছে। সে পরিস্থিতি বাংলাদেশেও নানাভাবে প্রভাব ফেলেছে। দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। খুন,হত্যা, রাহাজানি , ছিনতাই, অনেকটা রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আছে। জঙ্গি, সন্ত্রাসী, তৎপরতা নিয়ন্ত্রনে ছিল এবং আছে, আইনশৃংখলা বাহিনীর মধ্যে এটা অনেক বড় সফলতা । মোটামোটিভাবে বিগত বছরে জনগন স্বস্থির মধ্যে ছিল বলে বলা যায়।

আগামী বছর কেমন যাবে বাংলাদেশের জনগণে রমধ্যে সে কথা আগাম বলা মুশকিল, জাতীয় নির্বাচন সামনে নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নানামুখী কর্মসূচী দিতে শুরু করেছে, তাদের কর্মসূচী নিয়ে জনগনের মধ্যে বিভিন্নভাবে আলোচনা পর্যালোচনা চলছে। বর্তমান সরকারের বিরোদ্ধে বিরোধী জোটও দলের কর্মসূচী কী হবে এবং কতোটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবে সে বিষয়গুলো এখন জনগনের পর্যালোচনায় রয়েছে।

তবু ও বলা যায় ২০২৩ সাল সময়টা বাংলাদেশের জনগনের জন্য অস্থিরতার সময় বলে মনে হয়। যদি রাজনৈতিক হাঙ্গামা, ধর্মঘট হরতাল দেখা দেয়, তাহলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, ব্যবসা ,বানিজ্য, আমদানী , রফতানি সব কিছুর মধ্যে বিরোপ প্রভাব পড়বে।

জনগন  চায় না দেশে হিংসা করে হাঙ্গামা বাঁধুক। গনতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক, যতো সময়ে নিযার্তন অনুষ্টান সম্পন্ন হউক,  জনগন ও রাজনৈতিক দল জোট তারা ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রকে লালন পালন করুক সেটায় জনগনের চিন্তা ও মতামত, বিশৃংখল পরিস্থিতি ও পরিবেশ সাধারণ মানুষ চায়না আর যারা বিশৃংখলা নৈরাজ্য জনবিরোধী কর্মকান্ড করবে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে কোনো বাঁধার কারণ নেই; নতুন বছর দেশ জাতির জন্য সার্বিক সফলতা বয়ে আনুক।পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে শান্তি ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হউক, দুনিয়ার সকল মানুষ ও প্রাণী শান্তিপূর্ণ ভাবে পৃথিবীতে বাস করুক। জনগনের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হউক, অন্যায়ভাবে জুলুম ব্যাবিচার নির্যাতন বন্ধ হউক, ধর্মীয়ভাব সম্প্রীতি অব্যাহত থাকুক।

বাংলাদেশের জনগণের সুখ শান্তি সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় সরকারের ভূমিকা ও দায়িত্ব পালন সঠিক নিয়মে অব্যাহত রাথতে হবে। নতুন বছরে অফিস-আদালত, সেবাখাতকে দুর্নীতি মৃক্ত করতে হবে। জনগনের  ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবী পূরণ করতে হবে। নিত্যপণ্যের মূল্য যে ভাবেই হউক ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় বন্ধ করতে হবে। সরকারী পরিবহনখাত, বিমান, রেল, নৌ স্থল খাতকে দুর্নিতি মৃক্তভাবে পরিচালনা করতে হবে। সব ধরনের দুর্নিতি অনিয়ম বন্ধ করে আদর্শিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে ২০২৩ সালকে সু-স্বাগতম।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply