২৪ এপ্রিল ২০২৪ / ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৯:৪২/ বুধবার
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ

যুব সমাজ মুক্তি সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধ চেতনায় ধারণ করলেই ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়ন হবে

     

মো. আবদুর রহিম

‘বাংলাদেশের যুব সমাজই পারবে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে।’ Ñএই বিশ^াস ও প্রত্যাশা বাংলার সফল প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার। বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশ ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়ন করেছে। সামনে আছে রূপকল্প ২০৪১ এবং ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০। এসব পরিকল্পনা তরুণ সমাজকে ঘিরে। প্রজন্ম পরম্পরায় যুগোপযোগী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেই তো বাংলাদেশকে সামনে এগোতে হবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশই একদিন গোটা বিশ^কে চমকে দেবে দিকনির্দেশনা দেবে। তরুণ সমাজ হচ্ছে একটা জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকার আগামীর স্বপ্ন দেখে তরুণদের ঘিরে। দেশের তরুণদের শিক্ষা-দীক্ষায় মুক্তি সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ করতে হবে। পৃথিবীর অনেক দেশ এখন বয়োবৃদ্ধদের দেশে পরিণত হয়েছে। সেদিক থেকে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়ে, বাংলাদেশের যুব সমাজ দেশের বড় একটা শক্তি। বঙ্গবন্ধু কন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা চান বাংলার যুব সমাজ দেশের সেবক হয়ে দেশ এবং পরিবারকে সহায়তা করবে। তিনি বিশ^াস করেন আমাদের তরুণ সমাজই সেই ২০৪১ এর কারিগর হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও দর্শন গোরবোজ্জ্বল সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাঁর প্রতিটি পথনির্দেশনা একবিংশ শতাব্দী নয়, আরও শত বছর পেরিয়েও আধুনিক ও প্রাসঙ্গিক থাকবে। আমাদের মুক্তিসংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির ইতিহাসের সমৃদ্ধ ও অমূল্য দু’টি অভিধা। এ দু’টি শব্দকে কেউ ইতিহাস থেকে সরাতে পারবে না। তবে ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ এ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের কিছু অমূল্য সেগুলোকে চরমভাবে বিকৃত করা হয়েছে। সে সময় দেশে ২টি ধারা সৃষ্টি করা হয়েছে ফলে এখনো একটি পক্ষ থেকে মুক্তিসংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিষয়গুলোকে সরাসরি গোয়েবলসীয় মিথ্যাচার এবং সত্যের সঙ্গে মিথ্যার মিশ্রন ঘটানো হয়েছে Ñ হচ্ছে। সেই সময়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসে সত্যের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে এবং সত্য-মিথ্যা মিলে একাকার হয়ে যাওয়ায় দেশের মানুষ বিশেষ করে যুব সমাজ সত্য-মিথ্যার পার্থক্য বুঝতে বেগ পাচ্ছে। এমন হচ্ছে মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়ে সত্য মিথ্যাকে একই পাল্লায় ওজন করার চেষ্টা করচ্ছে। স্বাধীন এ বাংলায় দীর্ঘ সময় স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন Ñ তারা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধী। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খুনিদের পথ ধরে যারা ক্ষমতায় এলেন প্রথম সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান। তিনি সামরিক আদেশ দ্বারা দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল ১৯৭২ এর জাতীয় সংবিধান থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জন্ম হয় এমন সব বাক্য, শব্দ ও অনুচ্ছেদ বাতিল করে দেন। ফলে কোনটি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ আর কোনটি নয়, সেটি বোঝার কোনো উপায় থাকল না। ১৯৭৫ এর পরে এ শাসক মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিসংগ্রামের বিষয়ে মানুষকে সত্য জানতে দেননি। তিনিই মিথ্যা আর সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ করে প্রজন্মের মনকে দুষিত করে দেন। ফলে ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত সংগঠিত উজ্জ্বল ঘটনাবলি যেমন ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ এর ৬ দফার আন্দোলন, ১৯৬৮’র আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৬৯ এর গনঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ এর অসহযোগ আন্দোলন সহ সংগঠিত উজ্জ্বল ঘটনাবলি এবং এ সব আন্দোলন ও ঘটনাবলির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আড়াল করার জন্যই সংবিধানে প্রথম পৃষ্ঠায় শুরুতে প্রস্তাবনার দ্বিতীয় ১৯৭২ এর সংবিধানের ছিল জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি।’ এখানে জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রাম, এইটুকু অত্যন্ত তাৎপর্যময় ও গুরুত্বপূর্ণ, আরও সুনির্দিষ্টভাবে গুরুত্বপূর্ণ ‘মুক্তি ও সংগ্রাম’ এই দুটি শব্দ। সংবিধানে উপরোক্ত প্রস্তাবনার মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন করার প্রধান ও মৌলিক লক্ষ্যকে নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৯৪৭ এর পর থেকে ২৩ বছরের সংগ্রাম, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে মানুষের ঐক্যবদ্ধ মতামত ও সমর্থনেই এটা সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ মতামতকে এবং এ রাষ্ট্রের লক্ষ্যকে মরহুম জিয়াউর রহমান পরিবর্তন করে দিলেন সামরিক ফরমান বলে। এই চতুর সামরিক শাসক ‘মুক্তি ও সংগ্রাম’, এ দু’টি শব্দ বাতিল করে সেখানে বসালেন যথাক্রমে ‘স্বাধীনতা ও যুদ্ধ’। জাতীয় চেতনার উৎস ও অনুপ্রেরণা সৃষ্টির জায়গা বিবেচনায় মুক্তি ও সংগ্রাম, শব্দ দু’টি তাৎপর্যের বিশাল তাকে জিয়াউর রহমান খাটো করে দিল। তাঁর পেছনের কারণ হলো সেই ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু মুক্তি ও সংগ্রামকে ১৯৭১ সালের মধ্যে গন্ডিবদ্ধ করে দেয়া হলো এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করা হলো। জিয়া সুচতুরতায় স্বাধীনতা ও যুদ্ধ এ দু’টি শব্দের দ্বারা সবকিছু গন্ডিবদ্ধ করে দিল। সংগ্রাম শব্দ বাদ দিলে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে বাঙালির যেসব গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রয়েছে, সেগুলো মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সৃষ্টির বড় বড় জায়গা, সেগুলো  স্হান করে দেয়া হলো। শুধু তাই নয় ও সময়ে বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি শাসকেরা যতরকম অত্যাচর, নির্যাতন, খুন, বঞ্চনা ও বৈষম্যের স্টিমরোলার চালিয়েছিল তার সবকিছুই জিয়া ইতিহাসের আড়ালে ফেলে দিল। কৌশলে জিয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সৃষ্টিকারী জায়গাগুলোই ইতিহাস, সাহিত্য, গল্প, উপন্যাস, চলচ্চিত্র, শিক্ষা ব্যবস্থার পাঠক্রম থেকে বাদ করে দিল এবং প্রজন্মের মনের ভিতরে যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সৃষ্টি হতে না পারে সেই কাজটিই হলো মাত্র দু’টি শব্দ ‘স্বাধীনতা ও যুদ্ধ’ সংবিধানে যুক্ত করার মাধ্যমে এবং জিয়া তা-ই করলেন। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বিশাল একটি আদর্শ ‘ধর্ম নিরপেক্ষ’ এটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মৌলিক আদর্শ হিসেবে ১৯৭২ এর সংবিধানের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠা করেন। এই ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটির মূল কথা ছিল ধর্ম নিয়ে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না। তবে প্রতিটি ধর্ম স্ব-স্ব জায়গায় মর্যাদা ভোগ করবে, রাষ্ট্র সব ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে এবং প্রয়োজনমতো সব ধর্মকে সমভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দেবে রাষ্ট্র। সব ধর্মের মানুষ যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করার একটি স্বীকৃতি দিল সংবিধান। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র বানানোর লক্ষ্যে ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শকে অবলম্বন করে নবপ্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলাদেশকে পরিচালনা শুরু করেন। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করে সামরিক আদেশ দ্বারা জিয়াউর রহমান ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শকে সংবিধানকে থেকে বাতিল করে দেয়। ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দে পরিবর্তনের পর জিয়া সেই পাকিস্তানী ধর্মীয় রাজনীতি বাংলাদেশে প্রবর্তন করে ১৯৭১ এর যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াত, মুসলিম লীগ সহ ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠীকে সক্রিয় করে তুলেন। মোটা কথায় জেনারেল জিয়াউর রহমান সুকৌশলে সংবিধান ‘মুক্তি সংগ্রাম’ এর স্থলে ‘স্বাধীনতা ও যুদ্ধ’ শব্দ যুক্ত করে এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি বাতিল করে বাংলাদেশের হাজার বছরের স্বীকৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে দেন। তাঁর হাত ধরেই রাষ্ট্র ও রাজনীতির ছত্র ছায়ায় ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি হয় এবং ধর্মের নামে অধর্মের কাজ বিশেষ করে ধর্মীয় বিভেদ রক্তারক্তি, হাঙ্গামা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে দেয়া হয়। যা পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর পুত্র তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাপকতা বৃদ্ধি পায়। দেশে বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান, বিদেশি উগ্রবাদীদের লালন-পালন, প্রশিক্ষণ প্রদান, অবৈধ অস্ত্র আমদানি, সন্ত্রাসী আমদানি করা হয়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে খালেদা জিয়া জামায়াত, ফ্রিডম পার্টির মাধ্যমে বিশেষ করে সেই ১৯৭৫ এর খুনী ও ১৯৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের সক্রিয় রাজনীতিতে আনার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশকে আফগানিস্তান বানানোর তৎপরতা শুরু করে। তাদের হাত ধরে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র, জঙ্গিরাষ্ট্র, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন রাষ্ট্রে পরিণত হলো। দেশ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিতাড়িত করে, ইতিহাস বিকৃতি করে এবং বাঙালি জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নির্বাসনে পাঠানো হলো। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা লাগাতার তিন মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পাওয়ার কারণে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে উঠে। ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে এখন উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান। কিন্তু সেই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মানবতাবিরোধী রাজনৈতিক পক্ষ জিয়াউর রহমানের রেখে যাওয়া দল ও তার পথ ধরেই ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদীদের রাজনৈতিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে তাঁর স্ত্রী ও ছেলে এবং তাঁর রাজনৈতিক অনুসারীরা। ফলে দেশ এখনো বিভক্ত বিভাজনে। একদিকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অপরদিকে উগ্র পরাজিত ও খুনীদের অবস্থান। আমাদের দেশের প্রজন্ম ও যুব সমাজ রাজনীতির কুটকৌশল যাচাই-বাছাইয়ে অনেকটাই অপারগ। নতুন প্রজন্মকে উগ্র মানসিকতায় গড়ে তুলতে উগ্রবাদীরা সক্রিয়। তাঁরা অর্থবিত্তের মাধ্যমে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে, অপপ্রচার, গুজব, ধর্মীয় বিধানের অপব্যাখ্যা, অপপ্রয়োগ, মিথ্যাচারের মাধ্যমে প্রজন্মকে বিপথগামী করে চলেছে। এ থেকে উত্তরনে রাজনীতিকে মানুষের কল্যাণে গুরুত্বে রাখতে হবে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ এর ইতিহাস, ঐতিহ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম জীবন ও তাঁর আদর্শ, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংস্কৃতি, মানবতা, ধর্মনিরপেক্ষতার আসল কথা, মহানবীজীর জীবনকর্ম প্রজন্মের নিকট তুলে ধরতে হবে। সংকীর্ণ স্বার্থবাদী রাজনীতির কুফল, অবৈধ সম্পদের কুফল, সাম্প্রদায়িকতার কুফল, বিভেদ সৃষ্টির কুফল, জাতীয়তাবাদের চেতনাকে বিকৃত করার কুফল, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের কুফল, শিক্ষায়, রাজনীতিতে, সমাজনীতিতে, রাষ্ট্রনীতিতে সর্বোপরি প্রচার মাধ্যম অনলাইন মাধ্যম সহ সর্বত্র কুফলের বিষয়টি ছড়িয়ে দিতে হবে। দেশের সুশীলদের মগজে প্রকৃত সত্য ও জাতির সঠিক কথাগুলো ধারন করতে হবে। জ্ঞানপাপী, যারা সচেতনতায় দেশ, জাতির ক্ষতি করে, শুভকে পরিহার করে অশুভকে তুলে ধরে, যারা সত্য মিথ্যার সংমিশ্রণ করে তাদের এই তৎপরতাকে প্রতিহত করতে শুভ শক্তিকে বেশি বেশি তৎপর হতে হবে। দেশ-জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি, সামাজিক সুরক্ষা ও মানবিকতার যে কর্ম সম্পাদন হচ্ছে সেগুলো প্রতিনিয়ত তুলে ধরা এখনই জরুরী। দেশের নতুন প্রজন্ম যাতে প্রজন্ম পরম্পরায় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠে সেই পথেই দেশকে হাটতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জীবন চরিত, তাঁর আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে চলমান কর্মধারা, স্বজাতির স্বার্থনির্ভর রাজনীতি যুব সমাজ ধারণ করলেই আমাদের দেশের তরুণ সমাজ উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িকতার কবর রচনা করতে পারবে এবং ২০৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়নে সক্ষম হবে। আসুন যুব ও তরুণ সমাজকে আমরা দেশপ্রেমে বলিয়ান করে গড়ি তুলে।সাধারন সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply