২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১২:৫৭/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ১২:৫৭ পূর্বাহ্ণ

জাতির পিতাকে হত্যার কলংক থেকে দেশকে মুক্ত করতে চাই জনতার ঐক্য

     

মো. আবদুর রহিম

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধি টুঙ্গি পাড়ায়। তিনি পিতা শেখ লুৎফর রহমান আর মা সায়েরা খাতুনের সাথে চিরনিদ্রায়। পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৭৬ থেকে ২০২২ দীর্ঘ সময়ে গিয়েছি ১০ বার মাত্র। প্রতিদিনই কত মানুষ শ্রদ্ধা জানায় পিতাকে, জেয়ারত করে ফাতেহা পাঠ করে। অনেক মানুষ পবিত্র কোরআন খতম করে দোয়া করে। জানি না পিতা মুজিব কেমন আছেন পরপাড়ে। পবিত্র ইসলাম আল্লাহর কোরআন আর নবীজী হাদিস নির্ভর একটি সত্য ধর্ম। জাতির পিতা একজন খাঁটি মুসলমান, খাঁটি বাঙালি। তিনি জীবনে কল্যাণ করেছেন, আর্তের সেবা করেছেন, দুঃখী মানুষের ত্রাণকর্তা ছিলেন। মানুষের দোয়া আর মানুষের ভালবাসাই তো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পথ দেখাতো নিশ্চয়ই মানুষের জন্য, পবিত্র ইসলামের খেদমতের জন্য তিনি আল্লাহর দরবারে অবশ্যই দয়া করুনা পাবেন। নিশ্চয় জাতির পিতার জায়গা পবিত্র বেহেস্তে। আমরা যারা জীবিত আছি, আমরা যারা তার অনুসারী, আমরা যারা তাঁর স্বাধীন করা বাংলাদেশে বেঁচে আছি স্বাধীন নাগরিক হিসেবে। আমরা জাতির পিতাকে কিভাবে দেখি? কিভাবে মূল্যায়ন করি? বঙ্গবন্ধু’র বাংলায় ২০২২ সালে গণশুনানীর রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ১৭ কোটি মানুষের বাস। তিনি যখন শাহাদাত বরণ করেন তখন স্বাধীন বাংলায় ছিল ৮ কোটি মানুষ। বর্তমান ১৭ কোটি মানুষ এর মধ্যে যারা বঙ্গবন্ধুর অবদান অবমূল্যায়ন করে না, যারা জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে না, যারা স্বাধীন বাংলায় জন্মগ্রহণ করে মা, মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ নয়। সেই সব মানুসের সংখ্যা কত ? যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বজাতির বিপক্ষে ছিল, মানবতাববিরোধী অপরাধ করেছে, খুন ধর্ষন করেছে, লুটপাট করেছে, পাকিস্তানিদের পক্ষে দালালি করেছে তাদের সংখ্যা কত ? এ বাংলায় যারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে খুনের সাথে সরাসরি নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের লিপ্ত এবং বেনিফিশিয়ারী তাদের সংখ্যা কত ?
মোট কথায় যদি বলি দেশপ্রেমি বিবর্জিত, স্বজাতির প্রতি দায়বোধ বিবর্জিত, অকৃতজ্ঞ, খুনি, মিরজাফর, মোস্তাকদের বংশধরের সংখ্যা কত? এসব যদি বাদ দেয়া হয় বাংলার ১৭ কোটি মানুষদের বেশির ভাগ মানুষকি দেশপ্রেমিক, বঙ্গবন্ধু প্রেমিক, স্বজাতির প্রেমিক নয় ? এ বাংলাদেশ লক্ষ শহীদের প্রাণ, নারীর ইজ্জত আর ত্যাগে গড়ে উঠা দেশ। স্বাধীন বাংলার স্থপতি, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে আজো যারা বেঈমানি করে, আজো যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বাংলার প্রতি বিশ^স্থ নয়, অনুগত নয়, যারা এ স্বাধীন বাংলাকে মেনে নিতে পারেনি। স্বাধীন দেশে বসবাস করে, স্বাধীনতার সুফল ভোগ দখল করে, যাবতীয় স্বার্থ হাসিল করে, সেই সব কুলাঙ্গার, অকৃতজ্ঞদের জন্যই বলতে হয়। কবে চলে যাই জানিনা। তবে জাতিকে প্রজন্মকে বলতে চাই সেই টুঙ্গি পাড়ায় শ্যামল ছায়ায় শেখ লুৎফর রহমান ও মোছাম্মৎ সায়েরা খাতুনের ঘরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম নিয়ে তিনি তাঁর শ্রম ঘাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও কর্ম দিয়ে নিজ ঘর, পরিবার, দল জয় করে সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মুক্তির দূতে পরিণত হয়েছিলেন। তিনি আজ বিশে^ স্বীকৃতি জাতীয় নেতা, একটি জাতির পিতা, তাঁর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব প্রামান্য দলিল, তিনি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। কিন্তু প্রশ্ন হলো শোকের মাস বিদায় হলো। বিদায়ের শেষ দিন সূর্য অস্তমিত হওয়ার পরই আমি এই লেখাটি শুরু করলাম কারণ ১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট দীর্ঘ ৩১ দিন দেশবাসী জাতির পিতার শাহাদতের মাসটিকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন নানা ভাবে। কেউ চোখের জলে, কেউ পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করে, কেউ দোয়া মাহফিল করে, কেউ অভুক্তদের খাদ্য দিয়ে, বস্ত্রহীনদের বস্ত্র দিয়ে, কেউ জেয়ারত করে, কেউ বা আলোচনা করে, প্রবন্ধ লিখে মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। পিতার শাহাদাততের আগস্ট, শোকের আগস্ট, রক্ত স্নাত শোকাবহ আগস্ট এ নানাভাবে পালিত কর্মকাণ্ড কেউ অনুপ্রাণিত হয়ে যদি বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করে থাকে তবেই তো শোকের মাস স্বার্থক হলো। যদি কোন বাঙালির সন্তান তাঁর জাতির পিতাকে বুকে হৃদয়ে ধারণ না করে বিপদগামী হয়ে যায় তাকে তো আর বাঙালির সুসন্তান বলা যাবে না। ঘাতক আর অকৃতজ্ঞ এই দুজনের শাস্তি দেবেন স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। প্রিয় প্রজন্মের জন্য বলতে হয়। স্বাধীন এই বাংলার মানুষ নানা বর্ণে, নানা গোত্রে, নানা ধর্মে-বর্ণে সম্প্রদায়ে বিভক্ত। এ বাংলার মানুষতো সবাই জানে-মানে এই দেশ রক্তে স্বাধীন। এদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলায় বড় এক রাজনৈতিক পক্ষ আছে যারা শোক দিবস পালন করে না, ১০ জানুয়ারি জাতির পিতার শুভাগমনের দিবস, তার জন্ম দিবস পালন করে না। তারা এখনো রাজপথে প্রকাশের শ্লোগান দেয় ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকার।’ তারা শ্লোগান দেয় জালো, জালো, আগুন জালো।’ তারা কারা ? তারা যদি এদেশের নাগরিক হন, তারা যদি এদেশের আলো-বাতাসে বসবাস করেন তাদের এ শ্লোগান গুলো কি ফৌজদারি অপরাধে পড়ে না ? রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাসীনদের দলীয় নেতা-কর্মীদের সামনে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সামনে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে চলেছে। এগুলো কি গণতন্ত্রের পরীক্ষা ? এসব শ্লোগান কি জাতির কল্যাণ্যের জন্য ? না দেশে আরো খুন করার জন্য! তারা তো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ৩ নভেম্বরের মত ঘটনা ঘটাতে শ্লোগান দিচ্ছে। তারাতো ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ঘটনার মত ঘটনা ঘটানোর পায়তারা করছে। তাদের পরিচয় কি ? তারা খুনি মোস্তাক, জিয়া, তারেকের উত্তর সুরি, তারা মানবতার দুশমন। এসব দুশমনদের কারা লালন-পালন করছে ? এর মধ্য দিয়ে প্রিয় প্রজন্মের কাছে কি বার্তা পৌছে যাচ্ছে। বিষয়টি কি এতই গ্রহণযোগ্য ? জাতির পিতাকে অস্বীকার অসম্মান, ছোট করে এবং মহান মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সব রাজনৈতিক ইতিহাস ও মূল্যবোধের অবজ্ঞা, অবহেলা ও অমান্য করে বাংলাদেশে রাজনীতি করা যায় এবং ক্ষমতায় ও যাওয়া যায়, কেউ কিছু করতে পারছে না। যারা এদেশ স্বাধীন করার জন্য বঙ্গবন্ধুর আহবানে জীবন দিয়েছে। যারা গাজী হয়ে বেছে আছেন তারা। তাদের প্রজন্ম কোথায় ? রাষ্ট্র কোথায় ? রাষ্ট্র, সমাজ ও সংগঠনের সর্বত্র রাজনীতিগতভাবে এমন চরম বিভাজনকেও মেনে নিতে হবে ? ১৯৫২, ১৯৬২, ১৯৬৪, ১৯৬৮, ১৯৬৯, ১৯৭০ ও ১৯৭১ এ বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে যেভাবে যে মাত্রায় ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, তা কি আর কখনো হবে? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ধর্মীয় রাজনীতি, বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অপরাধ এ সব ধরনের শোষণ ও অধিকারহীনতার কবল থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ এ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে খুন করে দুই সামরিক শাসকের হাত ধরে ১৯৭১ এ পরাজিত জামায়াত, মুসলিম লীগ এবং অন্যান্য পাকিস্তানী সহযোগী দল সমূহের নেতা ও কর্মীরা প্রতিষ্ঠিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে এদেশে ২টি পক্ষ জন্ম দিয়েছে। স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিকে মোকাবিলা করছে বাংলার শান্তিকামী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম। যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, দর্শন ও মূল্যবোধকে ধারণ এবং তার বিস্তারে কাজ করেন। যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ অপশক্তি, যারা স্বাধীন বাংলাকে ধারন করে না, যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, দর্শন ও মূল্যবোধ ধারণ করে না। তারা সেই ১৯৭১এ পরাজিত অপশক্তি ও চীনা সমর্থক গোষ্ঠী। তারা হয়ত দেশের ১৫ থেকে ২০ ভাগ হবে। ১৯৭২ এ জাসদের ব্যানারে চলে যায় স্বাধীনতা বিরোধী সেই পরাজিতরা। তারাই জাসদের ব্যানার ব্যবহার করে ‘গণবাহিনীতে’ যোগদান করে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের পথ বেছে নেয়। ১৯৭৩ সালে ৭৩টি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্রলুট করে, দেশে ১ হাজার ৮৯৬টি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত ৭ জন সংসদ সদস্যকে হত্যাকা করে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করে, ১৯৭২ সালের নভেম্বরে একদিনে ২৭টি পাটের গুদামে আগুন দেয়। সেই জাসদ সেনাবাহিনীতে বিভাজন সৃষ্টি করে। তাদের কারণেই জাতির পিতা হত্যার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। দেশের অভ্যন্তরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, সেনাবাহিনীতে গড়ে তোলা হয় ষড়যন্ত্রের নীল নকসা। দেশ-বিদেশের ষড়যন্ত্রে পরাজিতরা সফল হয় জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এখন আমাদের মনোজগতের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। প্রিয় প্রজন্মের মনোজগতে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সময়ের মধ্যে মাত্র সাড়ে তিন বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্র পুর্ণগঠনের সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই সময়ে যদি আমরা ফিরে তাকাই তাহলে কি দেখি ? জাতির পিতাকে একদিনও শান্তিতে ঘুমাতে দেয়নি একটি চক্র। স্বাধীনতার পর স্বাধীনতার শক্তি, আর তার বিপরক্ষে ছিল পরাজিত অপশক্তি। সেই সময় জাতির পিতার বিপক্ষে, স্বাধীনতার বিপক্ষে দেশপূর্ণগঠনের বিপক্ষে, খুনি, ধর্ষক, লুণ্ঠনকারী পরাজিতরা ঐক্যবদ্ধ ছিল। স্বাধীনতার পর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র ছিল। অস্ত্র ছিল পরাজিত অপশক্তির হাতে। সেই সময় দেশ-বিদেশের চক্রান্ত ও মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে, দেশ পূনর্গঠনকে বাধাগ্রস্থ করতে জন্ম নিয়েছিল বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের ব্যানার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ও সর্বহারা পার্টি। সেই সময় চীন ও আমেরিকার মদদে গড়ে উঠে এই দলটি। এ দলের পতাকা তুলে আশ্রয় নেয় পরাজিতরা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের নির্মম ঘটনার সিঁড়ি বেয়ে সেনাবাহিনীর কাঁধে ভর কর রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতাসীন হন প্রথম সামরিক প্রশাসক ও বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বঘোষিত হত্যাকারীদের বিচারের পথ বন্ধ করে দেন। তিনিই হত্যাকারীদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকুরি দেন। তিনিই বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতি প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেন। জিয়ার হাত ধরেই বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা শুরু। তাঁর সিঁড়ি বেয়ে তাঁর স্ত্রী-পুত্ররা বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতি স্থায়ী করার চেষ্টা চালায়। জিয়ার পথেই হাঁটে স্বৈরাচার এরশাদ। দুই সামরিক শাসক ১৯৭১ এ পরাজিত জামায়াত, মুসলিম লীগ ও খুনীদের ফ্রিডম পার্টি বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ডের রাজনীতি জন্ম দেয়। এদেশে গড়ে তুলে সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন। জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ, হিযবুত তাহরী, আনছারুল্লাহ বাংলা টিম ইত্যাদি। সশস্ত্র জঙ্গিরা যেসব হত্যাকাণ্ড চালায় তার লক্ষ্য ও স্পষ্টতই রাজনৈতিক। হত্যাকাণ্ডের রাজনীতির শুরু ১৯৭৫ সালের পর থেকে। এ ধারার আরেকটি বড় ও নগ্ন বহিঃপ্রকাশ ঘটে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। সেই দিন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ নিশ্চিত করতে চালানো হয় গ্রেনেড হামলা। এই হামলায় ২৪ জন নিহত হয়। আজো যখন গুনতে হচ্ছে, ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’। তা থেকেই প্রমাণিত হয় হত্যাকাণ্ডের রাজনীতি আজো চলমান। আজো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা খুনিদের টার্গেট। প্রিয় প্রজন্ম, প্রিয় বাংলাদেশ, আজ আমরা সংখ্যায় ১৭ কোটি। আসুন না আমরা দেশকে হত্যার কলংক থেকে মুক্তি দিতে জনতার ঐক্য গড়ে তুলি। আসুন, আমরা সব বাঙালির ঘরকে দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলি সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায়।সাধারন সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদ।

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply